আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুর্নীতির অভিযোগে ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে

বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ঘিরে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, তাতে ক্রিকেট নিয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আজ শনিবার বাংলা একাডেমী মিলনায়তনে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপের ২৯তম পর্বে প্যানেল আলোচকেরা এ মন্তব্য করেন।
আজকের সংলাপ অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন সদরুল আমীন এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানিয়া আমীর।
বিবিসি বাংলা ও বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন যৌথভাবে এ সংলাপ আয়োজন করে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ঘিরে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, তা কি দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যেক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে—এক দর্শকের প্রশ্নের জবাবে এ বি তাজুল ইসলাম বলেন, যে অভিযোগ উঠেছে তা যদি সত্য বলে প্রমাণিত হয়, তবে ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) উচিত হবে তাঁদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা।

তিনি বলেন, ‘অভিযোগ সত্য হলে অবশ্যই ভাবমূর্তি সংকট হবে, তবে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে সেটা হবে না। সরকারের এ বিষয়ে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়া উচিত। বর্তমান সরকার ক্রিকেটারদের প্লট দিয়েছে, গাড়ি দিয়েছে, তারপরও তাঁরা কেন এমন করবে?’
অভিযোগ প্রমাণ হলে সরকার ক্রিকেটারদের দেওয়া প্লট, গাড়ি ফিরিয়ে নেবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তাজুল বলেন, ফিরিয়ে নেওয়া ঠিক হবে না, তবে দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
মীর মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দুর্নীতি খেলার মাঠেও প্রবেশ করেছে। এখন ক্রিকেট খেলা দেখতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই খটকা লাগবে।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষী ক্রিকেটারদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত।
তানিয়া আমীর বলেন, ‘প্রভাব পড়বেই, সে প্রভাব কতটুকু সামলানো যাবে, সেটা দেখার বিষয়। ক্রিকেট আর ‘ফেয়ার প্লে’ সমার্থক। এমনিতেই বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সংকট আছে, সেখানে এটা আরও ক্ষতি করতে পারে। ’
তবে সদরুল আমীন বলেন, ক্রিকেটের ভবিষ্যতের ক্ষতি হবে না, তবে খেলার আনন্দ নষ্ট করে দেবে।

এমনিতেই ক্রিকেট খেলায় এখন অনেক টাকা, ক্রিকেটাররা বিজ্ঞাপন করেও অনেক টাকা পান। এরপর আর তরুণ ক্রিকেটারদের লোভ করা উচিত নয়।
বিএনপি নেতা তারেক রহমানের ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন কি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে, নাকি সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে—এমন প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম দাবি করেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বিচার বিভাগ স্বাধীন। তিনি বলেন, সরকার কাউকে কাজ করতে বাধা বা নির্দেশনা দেয় না।
তবে এর বিরোধিতা করে মীর নাসির বলেন, ‘আইন প্রতিমন্ত্রী যেদিন বললেন, তার পরদিন আদালত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পরোয়ানা দিলেন।

যেদিন আদালতে আবেদন জমা দেওয়া হলো, সেদিনই শুনানি করে আদেশ দেওয়া হলো। স্পষ্টই বোঝা যায়, সরকারের ইঙ্গিতে দুদক আবেদন করেছে। তারা সরকারের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। ’
দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না দাবি করে সদরুল আমীন বলেন, দুদক পক্ষপাতদুষ্ট।
তানিয়া আমীর বলেন, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুদকের যে কার্যক্রম দেখা গেছে এখন তা দেখা যাচ্ছে না।

এ ছাড়া সংলাপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ দর্শকও দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না বলে মত দিয়েছেন।
ওয়ালিউর রহমানের প্রযোজনায় সংলাপ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন আকবর হোসেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৪ জুন থেকে বিবিসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হবে। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।