আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সীতাকুণ্ডে শিবমেলা

হিন্দু মন্দিরের জন্য বিখ্যাত সীতাকুণ্ড। অল্প পরিসরে এ জায়গায় রয়েছে বেশ কয়েকটি মন্দির। সীতাকুণ্ড বাজারের ভেতর থেকে ছোট্ট রাস্তা চলে গেছে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের দিকে। এ সড়কের দুই পাশেই মন্দিরগুলো রয়েছে।

পথে রয়েছে শংকর মঠ, শ্মশান, গিরিশ ধর্মশালা, ননী গোপাল তীর্থ মন্দির, ভৈরব ধর্মশালা, ভবানী মন্দির, শয়ম্ভুনাথ মন্দির ইত্যাদি।

শয়ম্ভুনাথের সামনেই চন্দ্রনাথ পাহাড়ের গোড়া। এখান থেকে চন্দ্রনাথের চূড়ার উচ্চতা প্রায় ৩৬৫ মিটার বা প্রায় ১২শ’ ফুট। চূড়ায় ওঠার পথটি বেশ দুর্গম। পাহাড় কেটে বানানো সিড়ির ধাপগুলো বেশ উঁচু। তাই একটু উঠলেই হাঁপিয়ে যেতে হয়।

কিছুটা পথ কষ্ট করে উঠলেই প্রাচীন দুটি বট বৃক্ষের পাশে দুটি মন্দির। পুরানো মন্দিরটির নাম বিরূপাক্ষ মন্দির। এ জায়গাটির উচ্চতা প্রায় দু’শো মিটার। এখান থেকে দক্ষিণ দিকে তাকালে দেখা মেলে বিস্তীর্ণ বঙ্গোপসাগর।

পূর্ব দিকে পথ চলে গেছে পাহাড়ের একেবারে চূড়ায় চন্দ্রনাথ মন্দিরে।

সেখানে দাঁড়িয়ে চারপাশের দৃশ্য দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়।

শিবমেলায় নানান ধরনের পুতুল। ছবি: মুস্তাফিজ মামুন/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

সীতাকুণ্ড পাহাড়ের নিচে পুকুরে পুণ্যার্থীদের পুণ্যগোসল। ছবি: মুস্তাফিজ মামুন/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

প্রতিবছর শিব চতুর্দশী পূজা উপলক্ষে সীতাকুণ্ডে বসে মেলা। মূল আনুষ্ঠানিকতা তিন দিনের হলেও মেলা চলে সপ্তাহব্যাপী।

এ সময়ে লাখো হিন্দু ভক্ত আর পর্যটকের পাহাড় বেয়ে চন্দ্রনাথ মন্দিরে ওঠার দৃশ্য দূর থেকে পিঁপড়ার সারির মতো মনে হয়।

বিভিন্ন মন্দিরে পূজা ভক্তদের সবার কাছেই মূল আকর্ষণ থাকে পাহাড়ের চূড়ার চন্দ্রনাথ মন্দির।

সীতাকুণ্ডের মেলা দেখে ঘুরে আসতে পারেন সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক। চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়া থেকে পূর্ব দিকে নিচে নামলেই এ পার্কের শুরু। দেশের প্রথম এই ইকো পার্ক চন্দ্রনাথ পাহাড় আর আশপাশের এলাকা মিলিয়ে ২০০৪ সালে গড়ে তোলা হয়।

পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে নানান প্রজাতির গাছপালা ছাড়াও এ পার্কের ভেতরে রয়েছে কয়েকটি ছোট বড় পাহাড়ি ঝর্ণা।

যেভাবে যাবেন

ঢাকা-চট্টগ্রাম বাস কিংবা রেলেগাড়িতে চড়ে সীতাকুণ্ড নামতে পারেন। চট্টগ্রামের ট্রেন সাধারণত সীতাকুণ্ড স্টেশনে না থামলেও মেলার সময় থামে।

ঢাকার ফকিরাপুল, কমলাপুর, সায়দাবাদ থেকে গ্রিনলাইন, সোহাগ, সৌদিয়া, টি আর, হানিফ ইত্যাদি পরিবহনের এসি বাস যায় চট্টগ্রামে।

পুণ্যার্থী আর পর্যকটদের সারি।

ছবি: মুস্তাফিজ মামুন/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

বিরূপাক্ষ মন্দির। ছবি: মুস্তাফিজ মামুন/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

এছাড়া এস আলম, সৌদিয়া, ইউনিক, শ্যামলী, হানিফ, ঈগল প্রভৃতি পরিবহনের নন এসি বাসও আছে। ভাড়া ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা।

চট্টগ্রাম শহর থেকে বাস কিংবা অটো রিকশায় সহজেই আসা যায় সীতাকুণ্ড।  

ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের সময়সূচিগুলো হল: মহানগর প্রভাতী সকাল ৭টা ৪০ মিনিট।

চট্টলা এক্সপ্রেস সকাল ৯টা ২০ মিনিট, মহানগর গোধুলী বিকাল ৩টা, সুবর্ণ এক্সপ্রেস বিকাল ৪টা ২০ মিনিট, তূর্ণা রাত ১১টা। ভাড়া ১৬০ থেকে ১ হাজার ৯৩ টাকা।

থাকার জায়গা

সীতাকুণ্ডে পর্যটকদের থাকার ভালো ব্যবস্থা নেই। বেড়ানোর পর দিন শেষে চট্টগ্রাম শহরে এসে থাকতে হবে। এ শহরে বিভিন্ন মানের বেশ কিছু হোটেল আছে।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.