আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বকে পুরবে হাতের মুঠোয় আউটারনেট

'বিশ্বজাল' জগতে আসছে নতুন বিপ্লব। যেখানে কোনো ইন্টারনেট বা মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই তারাও সংযুক্ত হতে পারবেন 'বিশ্বজাল'-এ। সাহারা মরুভূমি কিংবা আমাজন বন অথবা গহীন পার্বত্য অঞ্চলেও 'ইন্টারনেট'-এর সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে বিনা খরচায় স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সুযোগ পাবেন বিশ্ববাসী। আর এ জন্যই আসছে 'আউটার নেট'। ইতোমধ্যেই এই নেটওয়ার্ক অবকাঠামো তৈরির কাজ শুরু করছে নিউইয়র্কভিত্তিক অলাভজনক সংগঠন- মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (এমডিআইএফ)।

সবার জন্য তারহীন যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পৃথিবী থেকে ৬০০ কিলোমিটার ওপর থেকে ১৫০টি মাইক্রো স্যাটেলাইট-কিউব স্যাট-এর মাধ্যমে পরিচালিত হবে বিনামূল্যে ইন্টারনেট ডাটা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ। আর এই এই নেটওয়ার্ক অবকাঠামো তৈরি করা সম্ভব হলে ইন্টারনেট ব্যবহারে কোনো সরকারি বিধিনিষেধ আরোপের সুযোগ বা ফিল্টার করার সুযোগ থাকবে না। সাধারণের আরাধ্য এই সেবা দিতে গত ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু করে এমডিআইএফ। তৈরি করে একটি রূপকল্প। আউটারনেট পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মহাবিশ্বে পৃথিবীর চারপাশ ঘিরে থাকবে শত শত কিউব স্যাটেলাইট।

যা হবে অনেকটা নক্ষত্রপুঞ্জের মতো। এসব স্যাটেলাইট ডাটা পাঠানো হবে ভূপৃষ্ঠে অবস্থিত বিভিন্ন কেন্দ্রে, যেখান থেকে তা ছড়িয়ে পড়বে পুরো বিশ্বে। এই নেটওয়ার্ক সিস্টেমের আওতায় মাটিতেও কিছু স্টেশন স্থাপন করা হবে। ফলে পৃথিবীর প্রায় প্রতি ইঞ্চি ভূমি থাকবে এই নেটওয়ার্কের অধীনে। আউটারনেটে সংযুক্ত থাকা যাবে যে কোনো সাধারণ কম্পিউটার অথবা মোবাইল ফোনের সাহায্যে।

আর এ জন্য প্রতিটি কিউব স্যাটেলাইট তৈরি করে মহাকাশে পাঠাতে খরচ হবে ১ থেকে ৩ লাখ ডলার। এই অর্থ সংগ্রহ করতে মাঠে নেমেছে অলাভজনক এই প্রতিষ্ঠানটি। এমডিআইএফ জানিয়েছে, মানুষের থেকে পৃথিবীতে এখন ইলেকট্রনিক গেজেটের সংখ্যা বেশি। কিন্তু বিশ্বের ৪০ শতাংশ মানুষের কাছে এখনো পেঁৗছয়নি ইন্টারনেট। সরকারি বিধিনিষেধের চেয়ে ইন্টারনেটের অতিরিক্ত খরচকেই এর অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন এমডিআইএফ গবেষকরা।

প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সুবিধা নিয়ে যেতে অবকাঠামো স্থাপন খরচও একটি বড় কারণ। তাই 'আউটারনেট' বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে সাইবেরিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা আফ্রিকার দুর্গম কোনো গ্রামেও পেঁৗছে যাবে। তবে এ জন্য বিশ্ববাসীকে অপেক্ষা করতে হবে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত। 'আউটারনেট' প্রকল্পের টাইমলাইন অনুযায়ী।

২০১৩ সালের ডিসেম্বরের প্রথম ধাপের কারিগরি গবেষণার কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি।

আর চলতি বছরের জুনে শুরু হবে অবকাঠামো স্থাপনের কাজ। এ সময়ে প্রটোটাইপ স্যাটেলাইট ডেভেলপ করে এগুলো মহাকাশে নিক্ষেপ করা হবে। সেপ্টেম্বরে ভ্রাম্যমাণ অবস্থায়ও এই নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সক্ষমতা যাচাই করা হবে। ১০১৫ সালের জানুয়ারিতে নক্ষত্রপুঞ্জে কিউবগুলোর মাধ্যমে নিজস্ব একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করা হবে।

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/index.php     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.