আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নারী অধিকার সমাচার

সভ্য সমাজের নিশান বরদারের ভূমিকা পালনকারী আমেরিকায় নারীর ক্ষমতায়ন কিংবা মর্যাদা কোনোটাই প্রশ্নাতীত নয়। আমেরিকান সমাজের উচ্চ পর্যায়েও নারী নির্যাতনের যেসব ঘটনা ঘটে তা তৃতীয় বিশ্বের জন্যও লজ্জাদায়ক। সাবেক প্রেসিডেন্ট রিগানের কন্যাও ছিলেন নির্মম নির্যাতনের শিকার। রিগানকন্যা মোরিনের বিয়ে হয়েছিল ওয়াশিংটনের এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে। এক সময়ের গায়িকা ও অভিনেত্রী মোরিনা নিজেই বলেছেন তার দুর্ভোগের কথা। তার ভাষায়, '১৯৬১ সাল। আমার বয়স তখন ২০। আমি আমার চেয়ে ১০ বছরের বেশি বয়স্ক এক ব্যক্তিকে বিয়ে করি। আমার প্রথম স্বামী নিষ্ঠুরভাবে প্রায়ই প্রহার করত। তার শারীরিক অত্যাচারের জন্য আমি প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছিলাম। কোনো কোনো রাতে আমার প্রতি তার শারীরিক অত্যাচার শুরু না হলেও আমি জেগে অপেক্ষা করতাম কখন অত্যাচার শুরু হবে। অত্যাচারের মধ্যে কিল, ঘুষি, লাথি, চপেটাঘাত নিয়মিত ব্যাপার ছিল। আমি তার ভয়ে সর্বদা ভীত অবস্থায় বাস করতাম।' মোরিন তার জবানিতে বলেছেন, 'সে দিনটার কথা আমার আজও মনে পড়ে। বরফ পড়ছে। খারাপ আবহাওয়ার জন্য রাস্তায় গাড়ি ও বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আমার কর্মস্থল থেকে বাড়ি পেঁৗছতে এক ঘণ্টা দেরি হলো। আমার স্বামী অত্যন্ত রেগে গেলেন। সন্দেহ করলেন আমি অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। আমি যত তাকে বুঝাতে চাইলাম সে আরও বেশি রেগে যেতে লাগল। এক পর্যায়ে আমাকে সে কিল, ঘুষি মারতে লাগল। আমি অবাক হয়ে গেলাম ও প্রতিবাদ করার শক্তি হারিয়ে ফেললাম। সারা রাত চোখে-মুখে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলাম। আমি সে রাতে ঘুমোতে ব্যর্থ হই। তবুও পরদিন সকালের খাবার টেবিলে তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে গেলাম। কিন্তু ফল হলো উল্টো। গ্লাস দিয়ে সে আমার মাথায় প্রচণ্ড আঘাত করল।' মোরিন বলেছেন, তার স্বামী এক রাতে তাকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করেছিল। একপর্যায়ে মেঝেতে ফেলে পিটাতে লাগল এবং বলতে থাকল, 'কোনো পুরুষই আর তোর দিকে ফিরে তাকাবে না।' বিস্ময়কর হলেও সত্যি, মোরিন স্বামীর অত্যাচার সম্পর্কে তার পিতা প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানকে জানানো সত্ত্বেও তিনি মেয়ের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে চাননি। যুক্তরাষ্ট্রে নারী অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত- এমন দাবি করা হলেও নারীরা সেখানে পণ্য হিসেবেই বিবেচিত। এ দেশটিতে বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপনে নারীকে যেভাবে ব্যবহার করা হয়, তা কোনোভাবেই মাতৃ জাতির মর্যাদার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পরিচায়ক নয়।গ্রন্থনা : আবদুল খালেক আতিক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.