আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তথ্যপ্রযুক্তি অধ্যাদেশ নাগরিক অধিকার ক্ষ

বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতারি ক্ষমতা দিয়ে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধ্যাদেশকে একটি কালা কানুন হিসেবে অভিহিত করেছেন মিডিয়া ও আইন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, সাধারণত সামরিক শাসনের আমলে এ ধরনের অধ্যাদেশ জারি ও আইন হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তখন যথেচ্ছভাবে সর্বোচ্চ ক্ষমতা ব্যবহারের অধিকার দেওয়া হয়। গণতান্ত্রিক সমাজে এ আইন নাগরিক অধিকার সীমিত করবে এবং জনভোগান্তি বাড়াবে। এই আইনের কারণে ভিন্নমত প্রকাশে মানুষ সন্ত্রস্ত থাকবে। এতে মানবিধার রক্ষা কঠিন হয়ে পড়বে। নাগরিকদের মৌলিক অধিকারও ব্যাহত হবে এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিঘি্নত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া ইন্টারনেট যখন শক্তিশালী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তখন কথায় কথায় জামিন অযোগ্য মামলা ও শাস্তির বিধান ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন তারা। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন, প্রবীণ সাংবাদিক ও সাবেক পার্লামেন্টারিয়ান এবিএম মূসা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান, আইন বিশেষজ্ঞ ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. আসিফ নজরুল।

সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত সংশোধিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০১৩-এর কঠোর সমালোচনা করে তারা বলেছেন, এ আইনের ৫৪, ৫৬, ৫৭ ও ৬১ ধারায় আমলযোগ্য নয় এমন অপরাধকে ও আমলযোগ্য এবং লঘু অপরাধকেও জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। এসব ধারায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়াই পুলিশকে সরাসরি মামলা করা ও পরোয়ানা ছাড়া গ্রেফতার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

অপরাধগুলোর মধ্যে রয়েছে, অনুমতি ছাড়া অন্যের তথ্য নষ্ট করা বা অন্যের ফাইল থেকে তথ্য উদ্ধার বা বিনা অনুমতিতে তথ্য সংগ্রহ করা বা পোস্ট করা বা কোনো উপাত্ত বা উপাত্তভাণ্ডার থেকে আংশিক তথ্য নিয়ে ব্যবহার করা, অনুমতি ছাড়া কোনো পণ্য বা সেবা বাজারজাত করা এবং অযাচিত ইলেকট্রনিক মেইল পাঠানো। কারসাজি করে কোনো ব্যক্তির সেবা গ্রহণ বাবদ ধার্য চার্জ অন্যের হিসাবে জমা করাও আইনে অজামিনযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এ ছাড়া কম্পিউটার হ্যাক করা, কম্পিউটারে ভাইরাস ছড়ানো বা ছড়ানোর চেষ্টা, ইলেকট্রনিক মাধ্যমে মিথ্যা, অশ্লীল বা মানহানিকর তথ্য প্রকাশ-সংক্রান্ত অপরাধ এই ধারায় গণ্য হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগলে বা কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া হলেও আইনে একই অপরাধ বলে গণ্য হবে। আইনে এসব অপরাধের ক্ষেত্রে শাস্তির মেয়াদ ১০ বছর থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ১৪ বছর এবং নূ্যনতম শাস্তি হবে সাত বছর করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আইনের ভীতিকর দিক হলো, সংশোধনী দিয়ে নিষিদ্ধ করা হলেও তবে যোজনের মাধ্যমে একই আইনে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সরকার ক্ষেত্রমতে নিয়ন্ত্রক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা কোনো পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করার ক্ষমতাও নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন।

জন ভোগান্তি বাড়বে ও মৌলিক অধিকার ব্যাহত হবে

-ড. গোলাম রহমান

ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গোলাম রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রস্তাবিত আইনে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার ও সরাসরি মামলা করার ক্ষমতা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অবাধ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, এতে সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আইনে এমন কিছু থাকা উচিত নয়, যাতে আইনের কারণে জনমনে হয়রানির বা ভীতি সৃষ্টি হয়। সরকারকে এটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। কিন্তু প্রস্তাবিত আইনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে যে অবাধ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তাতে আইনের অপব্যবহার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ আমাদের অতীত অভিজ্ঞতায় আমরা আইনকে রাষ্ট্রের পক্ষে, ন্যায্য বিচারের পক্ষে প্রয়োগ না হয়ে উল্টোটা হতে দেখেছি। সেক্ষেত্রে প্রস্তাবিত আইনের কিছু ধারায় নিরপরাধ ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ভীতির কারণ রয়েছে। যদি তা হয়, জনভোগান্তি বাড়বে এবং সংবিধানে প্রদত্ত নাগরিকদের মৌলিক অধিকারও এতে ব্যাহত হবে। তিনি আরও বলেন, সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও সামাজিক অবক্ষয় রোধের জন্য আইন জরুরি। আইটির প্রসার ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপকতার কারণে অবশ্যই নতুন আইনের প্রয়োজন রয়েছে। সেটা হতে হবে জনকল্যাণে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য। সমাজকে টেকনোলজির ভয়াবহ কুপ্রভাব থেকে রক্ষার জন্য। মানুষের অধিকার যেন ক্ষুণ্ন না হয়, জন স্বার্থ যেন বিঘি্নত না হয়, তথ্য প্রবাহের স্বাধীনতা যেন অব্যাহত থাকে আইনে এসব বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকা উচিত নয়।

বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতারের বিধান একটি কালা কানুন

-এবিএম মূসা

প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দীর্ঘ কর্মময় জীবনে অনেক রাজনৈতিক উত্থান-পতন দেখেছি। অনেক মার্শাল ল' দেখেছি। সামরিক শাসনের আমলে এ ধরনের আইন ছিল। যখন ব্যক্তির সব ধরনের স্বাধীনতা হরণ করা হয়। তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের যথেচ্ছ ক্ষমতা ব্যবহারের ক্ষমতা দেওয়া হতো। তিনি বলেন, বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতারের বিধান একটি কালা কানুন হতে বাধ্য। যারা আইটি নিয়ে কাজ করেন তাদের এই ধরনের কালা কানুন আদালতে চ্যালেঞ্জ করা দরকার। জনগণের এ বিষয়ে আদালতের কাছে আইনগত প্রটেকশন চাওয়া উচিত।

সাবেক পার্লামেন্টারিয়ান এবিএম মূসা আরও বলেন, আইটি বিষয়ে আমার কোনো জ্ঞান নেই। তবে এটুকু বুঝতে পারছি, যে প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল যুগের প্রবর্তনের কথা বলেছিলেন, ক্ষমতায় এসে সর্বক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলেছিলেন। সেই তিনি প্রযুক্তি প্রসারে কোনো রকম বাধা-নিষেধ আরোপ করবেন কিনা জানি না। করলে এটা হবে বিস্ময়কর! আমি শুধু বুঝতে পারছি, যে কোনো আইনে নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ হলে সে মত প্রকাশ করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে এ আইন শুধু তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। আমার ভয় হচ্ছে, নাগরিক অধিকার সীমিত করার জন্য এ আইন হয়তো ভবিষ্যতে অন্যান্য ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হতে পারে। এটা হবে ইন্টারনেট বা তথ্য প্রযুক্তিগতভাবে বাংলাদেশের মানুষের মতপ্রকাশের অধিকার ক্ষুণ্ন করার প্রথম পদক্ষেপ। কারণ কেউ অন্যায় করে থাকলে আগে বলতে হবে তুমি আইন লঙ্ঘন করেছ। তারপর সে অপরাধ আদালতে প্রমাণ করতে হবে। তারপর শাস্তির প্রশ্ন। কিন্তু আইন হচ্ছে, আপনি বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করবেন। আদালত থেকে জামিন নেওয়ার অধিকারও কেড়ে নেবেন-তাহলে তো সেই ইংরেজি প্রবাদটি বলতে হয়, ইউ ক্যান নট স্যুট মি ফার্স্ট অ্যান্ড আসকিং কোশ্চেন নেঙ্ট।

আইনটি কার্যকর হলে নাগরিকদের আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলবে

-আসিফ নজরুল

ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সংশোধিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, খুবই খারাপ একটা আইন হতে যাচ্ছে। বাকস্বাধীনতা, ব্যক্তির স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে যারা কাজ করেন, তাদের জন্য এ আইন হুমকির সৃষ্টি করবে। এ আইনের কারণে ভিন্নমত প্রকাশ করার ক্ষেত্রে মানুষ সন্ত্রস্ত থাকবে। এ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধান-প্রদত্ত মৌলিক অধিকার ও বাকস্বাধীনতার অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগে এ আইনে বাকস্বাধীনতায় এক ধরনের সুরক্ষা ছিল। কিন্তু অপরাধ আমলযোগ্য করার প্রস্তাব করায় সেই সুরক্ষা নষ্ট হবে। মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করার ক্ষেত্রে এ আইনটি অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। এ ছাড়া এ আইনের কয়েকটি ধারায় আইনটির অপব্যবহারের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। ফলে এই আইনটি কার্যকর হলে রাষ্ট্র ও সমাজের নাগরিকদের আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলবে।

সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের কথা যারা এই আইনটি করার জন্য উদ্যোগী হয়েছেন, ৬ মাস পর তারা যখন ক্ষমতায় থাকবেন না, তখন এই আইনটি তাদের বিরুদ্ধে ভয়াবহভাবে অপপ্রয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ দাবি করে আসছে বিএনপি আমলে তাদের ২৬ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এখন পরবর্তী সরকার যদি নেতা-কর্মীর নাম ঠিকানা ছাড়া এই ২৬ হাজার হত্যার মিথ্যা অভিযোগ তোলার দায়ই তাদের ওপর আরোপ করে আওয়ামী লীগের তো কোনো জবাব থাকবে না। এখনো সময় আছে, গণতান্ত্রিক সমাজের উপযোগী করে আইন সংশোধনের জন্য তিনি পরামর্শ দেন।

জানা যায়, তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার রোধেই এই আইনের কয়েকটি ধারার অপরাধকে অজামিনযোগ্য করা হয়েছে। আমলযোগ্য অপরাধ কেউ করলে পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতারের বিধান রাখা হয়েছে। আইনটি ভেটিংয়ের (পরীক্ষা-নিরীক্ষা) জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ভেটিং পেলেই অধ্যাদেশ আকারে তা জারি করা হবে। এর নাম হবে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০১৩।এই আইনের বিতর্কিত ধারা হিসেবে উঠে এসেছে ৫৪, ৫৬, ৫৭ ও ৬১ ধারায় সংগঠিত অপরাধ ও শাস্তির বিধানগুলো। ৫৪ ধারার অপরাধ : কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মালিক অথবা জিম্মাদারের অনুমতি ছাড়া তার নথিতে থাকা তথ্য নষ্ট করা বা ফাইল থেকে তথ্য উদ্ধার বা সংগ্রহ করার জন্য কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম ও নেটওয়ার্কে প্রবেশ করা বা তা করতে অন্য কাউকে সহায়তা করা।

কোনো উপাত্ত বা উপাত্তভাণ্ডার থেকে আংশিক তথ্য নিয়ে ব্যবহার করাকেও অপরাধ হিসেবে ধরা হয়েছে। কম্পিউটারে ভাইরাস ছড়ানো বা ছড়ানোর চেষ্টা, ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো কম্পিউটার বা নেটওয়ার্কের উপাত্তভাণ্ডারের ক্ষতিসাধন করা, অন্য কোনো প্রোগ্রামের ক্ষতি করে নেটওয়ার্কের বিঘ্ন সৃষ্টি করা বা করার চেষ্টা, কম্পিউটার নেটওয়ার্কে অবৈধ প্রবেশে সহায়তা করা, অনুমতি ছাড়া কোনো পণ্য বা সেবা বাজারজাত করা, অযাচিত ইলেকট্রনিক মেইল পাঠানো, কারসাজি করে কোনো ব্যক্তির সেবা গ্রহণ বাবদ ধার্য চার্জ অন্যের হিসাবে জমা করাও অজামিনযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। ৫৬ ধারায় বলা হয়েছে, এই ধারায় কম্পিউটার সিস্টেমের হ্যাকিং-সংক্রান্ত অপরাধের শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে কম্পিউটারের তথ্য নষ্ট, বাতিল বা পরিবর্তন করা অজামিনযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে। মালিক বা দায়িত্বশীল ব্যক্তি না হয়ে কেউ কোনো কম্পিউটার, সার্ভার, নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক সিস্টেমে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ক্ষতি করাও একই ধরনের অপরাধ বলে গণ্য হবে। ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে, ইলেকট্রনিক মাধ্যমে মিথ্যা, অশ্লীল বা মানহানিকর তথ্য প্রকাশ-সংক্রান্ত অপরাধ এই ধারায় গণ্য হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে মিথ্যা ও অশ্লীল কিছু প্রকাশ করলে এবং তার কারণে মানহানি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগলে বা কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া হলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। ৬১ ধারায় বলা হয়েছে, সংরক্ষিত সিস্টেমে প্রবেশ এই ধারার অন্যতম অপরাধ। সংরক্ষিত সিস্টেম হিসেবে ঘোষণা করা সত্ত্বেও কোনো ব্যক্তির তাতে অননুমোদিতভাবে প্রবেশ করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ছাড়া আইনের ৭৬(১) ধারা সংশোধন করে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা কোনো পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে এই আইনের অধীনে কোনো অপরাধ একই সঙ্গে তদন্ত করা যাবে না। যদি কোনো মামলার তদন্তের কোনো পর্যায়ে দেখা যায়, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত পরিচালনার দায়িত্ব পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে নিয়ন্ত্রক বা তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা তাদের কাছ থেকে পুলিশ কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা প্রয়োজন, তবে সরকার বা ক্ষেত্রমতো, সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদেশের মাধ্যমে হস্তান্তর করতে পারবে।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.