আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাধুরী: নক্ষত্র যখন নারী

বলিউড, যেখানে বিয়ে হলে কিংবা একটু বয়স হলেই ফুরিয়ে যায় নায়িকার আবেদন তা তিনি যত বড় নায়িকাই হোন না কেন, সেখানে একমাত্র মাধুরীই সাহস করে বলতে পারেন ‘বয়স একটা সংখ্যা মাত্র, একশ বছর বয়স হলেও প্রতিভা তো ফুরিয়ে যায় না। ’

পুরুষ-প্রধান বলিউডে নারীরা আসেন, জয় করেন, দর্শক হৃদয়ে ঝড় তোলেন, হয়ে ওঠেন পুরুষের কামনার প্রতীক। তারপর তাদের আবেদন দ্রুত ফুরিয়ে যায়। পুরুষের তুলনায় অনেক দ্রুত নারীরা তারকা খ্যাতি পান বটে কিন্তু উল্কা বা ধূমকেতুর মতোই উজ্জ্বল দ্রুতি ছড়িয়ে তারা হারিয়ে যান, ফুরিয়ে যান। আবার নতুন কেউ আসে দর্শক হৃদয়ে ঝড় তুলতে, হয়ে ওঠে পুরুষের স্বপ্নকন্যা।

অনীল কাপুর, সঞ্জয় দত্ত, সানি দেওল, অক্ষয় কুমার, শাহরুখ, সালমান, আমীর খানরা নায়ক হিসেবে টিকে আছেন তিন বা দুই দশক ধরে। কিন্তু তাদের সমসাময়িক নায়িকাদের কথা একটু ভাবুন। মিনাক্ষী শেষাদ্রি, জুহি চাওলা, রাভিনা টেন্ডন, কারিশমা কাপুর, আয়শা জুলকা, মনীষা কৈরালা, সোনালি বেন্দ্রে, কাজল, রানি মুখার্জি কিংবা আশি, নব্বই দশকে দর্শকহৃদয়ে রাজত্ব করা অন্য নায়িকারা আজ কোথায়? কেউ-বা হারিয়ে গেছেন ইন্ডাস্ট্রি থেকে, আর কেউ হয়তো টিভি সিরিয়ালে বা সিনেমায় ক্যারেকটার রোলে কোনোক্রমে টিকে আছেন। এভাবেই পুরুষের স্বপ্নকন্যারা মিলিয়ে যান স্বপ্নের মতোই।

কিন্তু ধ্রুবতারার আলো নিয়ে এখনও দ্যুতিমান যে নারী তার নাম মাধুরী দীক্ষিত।

শতবর্ষের বলিউডের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী। দীর্ঘদিন পর প্রধান চরিত্রে ফিরে এসেও যিনি প্রমাণ করেছেন তিনি উল্কা নন, নক্ষত্র।

অশোক কুমার একসময় চিরসবুজ খ্যাতি পেয়েছিলেন। কারণ তিনি শোভনা সমর্থ এবং তার মেয়ে তনুজার বিপরীতে রোমান্টিক নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।

মাধুরীও সেদিক থেকে চিরসবুজ তারকার কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন।

বিনোদ খান্নার বিপরীতে ‘দয়াবান’ (১৯৮৮) এবং তার ছেলে অক্ষয় খান্নার বিপরীতে ‘মহব্বত’ (১৯৯৭) সিনেমায় রোমান্টিক নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন এবং একটুও বেমানান লাগেনি তাকে।

মাধুরীর জন্ম ১৯৬৭ সালের ১৫ মে, মুম্বাইতে, চিতপাওন ব্রাহ্মণ পরিবারে। বাবার নাম শংকর দীক্ষিত, মায়ের নাম স্নেহলতা। মহারাষ্ট্রের চিতপাওন ব্রাহ্মণরা মনে করেন বর্ণ হিসেবে তারা শ্রেষ্ঠ। মাধুরী অবশ্য তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছেন কৌলিন্যে নয়, প্রতিভায়।

কারণ বলিউডে ফিল্মি কৌলিন্য তার ছিল না। তিনি কাপুর, খান, দেওল বা খান্না ছিলেন না। পরিবারের প্রতিষ্ঠিত কারও হাত ধরে এই মারাঠি নারী সিনেমায় আসেননি।

মাধুরীর শিক্ষাজীবন শুরু হয় মুম্বাইতে। ডিভাইন চাইল্ড হাইস্কুলের ছাত্রী ছিলেন তিনি।

মুম্বাই ইউনিভার্সিটির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি কত্থক নাচের তালিম নেওয়া নৃত্যশিল্পী।

অনেক বাঙালি দর্শকই মনে করেন সুচিত্রা সেনের চেহারা, বিশেষ করে তার হাসির সঙ্গে মাধুরীর বেশ সাদৃশ্য রয়েছে। চলচ্চিত্রে মাধুরী তার ক্যারিয়ার শুরু করেন বাঙালি নারীর চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমেই। তাপস পালের বিপরীতে মাধুরী অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘অবোধ’ মুক্তি পায় ১৯৮৪ সালে।

সেখানে মাধুরীর ভূমিকা ছিল এক নিষ্পাপ বালিকাবধূর, যে বিবাহিত জীবনের কোনো মানেই বোঝে না। সিনেমাটি বক্সঅফিসে সাফল্য না পেলেও তার অভিনয় প্রশংসা পেয়েছিল।

৮৪ থেকে ৮৮। আট বছরে মাধুরীর আরও আটটি সিনেমা মুক্তি পায়। কিন্তু কোনোটিই বক্স অফিসে সাফল্য পায়নি।

অন্য কোনো মেয়ে হলে এই আটবছরে হতাশ হয়ে সরে যেতেন। কিন্তু হতাশা নামক শব্দটি মাধুরীর অভিধানে ছিল না। প্রকৃত বৃষ জাতকের মতোই তিনি ছিলেন ধৈর্যশীল ও নিজের লক্ষ্য অর্জনে অবিচল।

১৯৮৮ সালেই মুক্তি পেল এন চন্দ্রর সিনেমা ‘তেজাব’। অনীল কাপুরের বিপরীতে মাধুরী।

সিনেমায় তার অভিনীত চরিত্রের নাম ছিল ‘মোহিনী’। ‘মোহিনী’র মোহিনী হাসির জাদুতে সত্যিই মুগ্ধ হল দর্শক। ব্লকবাস্টার হিট হল ‘তেজাব’। মাধুরী তার ‘এক দো তিন’ নাচের ছন্দে স্রেফ লাস্যময়ীই প্রমাণিত হলেন না, সেইসঙ্গে তিনি যে অভিনেত্রী হিসেবেও দারুণ, তারও সাক্ষর রাখলেন। সেবার ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার না জিতলেও সেরা অভিনেত্রী হিসেবে নমিনেশন পেয়েছিলেন তিনি।

‘এক দো তিনে’র মাধ্যমে নৃত্যকুশলী হিসেবেও পরিচিতি পেলেন মাধুরী। এরপর মাধুরীর জন্য একের পর এক জনপ্রিয় নাচের নির্দেশনা দিয়েছেন কোরিওগ্রাফার সরোজ খান। আর ক্রমশ মাধুরীর নৃত্য হয়ে উঠেছে কিংবদন্তি।

১৯৮৯ সালে সুভাষ ঘাই পরিচালিত ‘রাম-লক্ষ্মণ’ও সুপারডুপার হিট। এখানেও মাধুরীর বিপরীতে ছিলেন অনীল।

এ বছরেই মিঠুন চক্রবর্তীর বিপরীতে ‘প্রেম প্রতিজ্ঞা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য আবার ফিল্মফেয়ারে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন।

এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি মাধুরীকে। একের পর এক ব্যবসাসফল সিনেমা। সে সময়ের হিট ছবি ‘ত্রিদেব, ‘পারিন্দা’ দুটিতেই মাধুরী ছিলেন, যদিও গল্পে তার তেমন ভূমিকা ছিল না।

১৯৯০ সালে মুক্তি পায় মাধুরী ও আমির খান অভিনীত প্রেমের সিনেমা ‘দিল’।

এ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রথমবারের মতো সেরা অভিনেত্রীর ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতে নেন মাধুরী।

৯১ সালে মাধুরী, সঞ্জয় দত্ত এবং সালমান খান অভিনীত ত্রিভুজ প্রেমের সিনেমা ‘সাজন’ মাধুরীকে বলিউডের এক নম্বর নায়িকার আসন দিয়ে দেয়। এই সিনেমার প্রায় প্রতিটি গানের সঙ্গে মাধুরীর নাচ তাকে দর্শকের স্বপ্নকন্যায় পরিণত করে। সিনেমার গল্পও ছিল মূলত তাকে কেন্দ্র করেই। তাই তিনি যে একাধারে সুন্দরী ও সুঅভিনেত্রী তা প্রমাণিত হয়ে যায় আবারও।

১৯৯৩ সালে সঞ্জয় দত্ত ও জ্যাকিশ্রফের বিপরীতে ‘খলনায়ক’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য আবার সেরা অভিনেত্রীর ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার।

মাধুরীর বৈশিষ্ট্য হল, নাচ, অভিনয়, গুরুগম্ভীর, কমেডি সব কিছুতেই তিনি ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তিনি যেমন সুন্দরী তেমনি আবেদনময়ী। বিশেষ করে তার হাসিতে মোহিত হন দর্শক। তার মতো এমন বহুমুখী প্রতিভাধর অভিনেত্রী বলিউডে বিরল।

মাধুরীর কথা বলতে গেলে তার নৃত্যকুশলতার কথা না বললেই নয়। পণ্ডিত বিরজু মহারাজের মতো কিংবদন্তি নৃত্যগুরুর নির্দেশনায় নেচেছেন তিনি।

‘ধক ধক করনে লাগা’, ‘চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায়’ ‘তু শায়ের হ্যায়’, ‘এক লাড়কি হ্যায়’, ‘মার ডালা’-সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের সঙ্গে তার নাচ দর্শক হৃদয়ে ঝড় তুলেছে।

মাধুরী অভিনয় করেছেন অনীল কাপুর, সঞ্জয় দত্ত, আমীর খান, শাহরুখ খানসহ প্রথম সারির বলিউডি নায়কদের বিপরীতে। অনীল কাপুর ও শাহরুখ খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেকগুলো হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি।

‘আনজাম’, ‘সংগীত’, ‘মৃত্যুদণ্ড’, ‘প্রেমগ্রন্থ’, ‘খলনায়ক’-সহ অসংখ্য সিনেমায় তার সিরিয়াস অভিনয় সমালোচকদের ভূয়ষী প্রশংসা পেয়েছে। ‘রাজা’ ও ‘খেল’-এর মতো সিনেমা দিয়ে প্রমাণ করেছেন কমেডিতেও তার জুড়ি নেই।

‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’, ‘রাজা’ প্রতিটি সিনেমার কাহিনি আবর্তিত হয়েছে তাকে কেন্দ্র করেই। বলা যায় তিনি একাই সিনেমাগুলোকে টেনে নিয়ে গেছেন।

অভিনয় ক্যারিয়ারে ছয়টি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ঘরে তুলেছেন মাধুরী।

চারটি সেরা অভিনেত্রী হিসেবে, একটি পার্শ¦চরিত্রে সেরা অভিনয়ের জন্য, আরেকটি বলিউডে ক্যারিয়ারের ২৫ বছর পূর্তির জন্য বিশেষ পুরস্কার। ১৩ বার সেরা অভিনেত্রীর জন্য ফিল্মফেয়ার নমিনেশন পেয়েছেন। ২০০৮ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী সম্মাননা দিয়েছে।

ব্যক্তিজীবনে স্ক্যান্ডাল থেকে সর্বদা দূরে থাকতেন মাধুরী। ‘থানেদার’ সিনেমায় সঞ্জয় দত্তর সঙ্গে তার পর্দারসায়ন দর্শকের মন জয় করলে তাদের দুজনের ব্যক্তিগত রোমান্সের গুজব ছড়ায়।

কিন্তু নিজের ইমেজ সম্পর্কে সচেতন মাধুরী বিবাহিত সঞ্জয়ের জীবন থেকে আলগোছে সরে যান।

১৯৯৯ সালে মাধুরী বিয়ে করেন মার্কিন প্রবাসী ভারতীয় হার্ট সার্জন শ্রীরাম নেনেকে। বিয়ের ক্ষেত্রেও হিসেবী মাধুরী প্রমাণ করেন তার সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক। ভারতের শতকোটি দর্শকের স্বপ্নকন্যা মাধুরী বিয়ে করলেন এমন একজনকে, যিনি তার অভিনীত কোনো সিনেমাই বিয়ের আগে দেখেননি। তিনি মাধুরীকে একজন সংবেদনশীল ভারতীয় নারী হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন।

ফলে বিয়ের পর শ্রীরাম নেনের কোনো স্বপ্নভঙ্গের বালাই ছিল না।

বিয়ের পর ২০০০ সালে ‘গজগামিনী’, ২০০১ সালে ‘লজ্জা’ এবং ২০০২ সালে মুক্তি পায় মাধুরী অভিনীত ‘দেবদাস’। সেখানে চন্দ্রমুখীর ভূমিকায় তার অভিনয় দেখে ড. নেনে স্ত্রীকে বলেছিলেন, “তুমি তো বেশ ভালো অভিনয় কর। তোমার নাচও খুব সুন্দর। ”

‘লজ্জা’ সিনেমায় মাধুরী অভিনয় করেন এক যাত্রা-অভিনেত্রীর ভূমিকায়।

সেখানে তার অভিনীত চরিত্রের নাম ছিল ‘জানকী’। নারী অধিকারের পক্ষে ওই সিনেমায় প্রতিটি প্রধান নারী চরিত্রের নাম ছিল সীতার বিভিন্ন নামানুসারে। সেখানে জানকী প্রশ্ন তোলে সীতার অগ্নিপরীক্ষার যৌক্তিকতা ও পুরুষতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে। অসাধারণ অভিনয় করে মাধুরী সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেন।

‘গজগামিনী’ ছিল আর্টফিল্ম।

মাধুরীর ভক্ত বিখ্যাত শিল্পী মকবুল ফিদা হোসেনের নির্মাণ ছিল এটি। এই সিনেমায় প্রাচীনযুগ থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত শ্বাশত ভারতীয় নারীর রূপকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে। মকবুল ফিদা হোসেন এই শিল্পচিত্রটিকে মূলত মাধুরীর সৌন্দর্যের বেদীতে তার অর্ঘ্য হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।

এরপর সংসার সন্তান নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন মাধুরী। প্রবাসে তিনি সাধারণ এক গৃহবধূর সরল জীবন উপভোগ করেন।

২০০৭ সালে ‘আজা নাচলে’ মুক্তি পেলেও সেটাকে তার কামব্যাক ফিল্ম বলা চলে না।

এর মধ্যে টিভি রিয়েলিটি শো ‘ঝলক দিখলা জা’র মাধ্যমে ছোটপর্দাতে জনপ্রিয় হয়েছেন তিনি।

চলতি বছরের শুরুতে মুক্তি পেয়েছে মাধুরী অভিনীত ডার্ক কমেডি ‘দেড় ইশকিয়া’। বক্স অফিসে ব্যর্থ হলেও  সমালোচকদের কাছে প্রশংসা পেয়েছে সিনেমাটি। প্রশংসিত হয়েছে বেগম পারার ভূমিকায় মাধুরীর অভিনয়।

এর আগে ‘ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ সিনেমায় আইটেম সং ‘ঘাগরা’ দিয়ে মাধুরী প্রমাণ করেছেন এই বয়সেও সৌন্দর্যে ও আবেদনে তিনি অনবদ্য।

৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এ উপলক্ষে ৭ মার্চ মুক্তি পাচ্ছে মাধুরী অভিনীত ‘গুলাব গ্যাং’। এ সিনেমায় মাধুরীকে দেখা যাবে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার একজন লড়াকু সৈনিক হিসেবে। ভারতের এক নারী সংগঠনের নেত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

কাহিনির প্রয়োজনে বেশকিছু অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়েছে তাকে। টাইকোনডো প্রশিক্ষণ এক্ষেত্রে কাজে এসেছে তার। ‘গুলাব গ্যাং’ অনেক দিক থেকেই মাধুরী ভক্তদের জন্য চমক নিয়ে আসছে। এখানে এই প্রথম জুহি চাওলার সঙ্গে অভিনয় করছেন মাধুরী। জুহি এখানে নেতিবাচক চরিত্রে মাধুরী-বিরোধী রূপ নিয়ে পর্দায় আসছেন।

অভিনয় জীবনেও দুজনের মধ্যে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল এক সময়। পর্দায় তাদের অভিনয় যুদ্ধ দেখা যাবে।

এই সিনেমায় প্রথমবারের মতো মাধুরীর গানও শোনা যাবে। তার মা উচ্চাঙ্গসংগীতে তালিম নেওয়া শিল্পী ছিলেন। এ সিনেমায় মায়ের সঙ্গে একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন মাধুরী।

‘গুলাব গ্যাং’ বক্স অফিসে কেমন ব্যবসা করবে তা সময়ই বলে দেবে। ব্যবসা যেমনই করুক, মাধুরী দীক্ষিত প্রমাণ করেছেন তিনি শতবর্ষের বলিউডে ধ্রুবতারা, হাজার তারার ভিড়ে যিনি হারিয়ে যান না এবং যার জ্যোতি অমলিন।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।