আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সরকারের মেয়াদ কত দিন

বর্তমান সরকার কত দিন টিকবে? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মনে। বিএনপি বলছে, দুই-আড়াই বছর। আওয়ামী লীগ বলছে, পাঁচ বছর পূর্ণ করবে ক্ষমতার মেয়াদ। এক দিন আগেও তারা ক্ষমতা ছাড়বে না। গত আট বছর ধরে বিএনপি ক্ষমতার বাইরে।

এই কারণে এবার তাদের ধারণা ছিল অন্যরকম। বাস্তবতার ধারেকাছে না ঘেঁষে ভুল পথেই ছিল তাদের গত এক বছরের রাজনীতি। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা ভুল স্বীকার করেন না। তারা মনে করেন ভুল স্বীকার করলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। জনগণের কাছে ইজ্জত-সম্মান বলে কিছুই থাকবে না।

এই কারণে আমাদের নেতা-নেত্রীরা বসে থাকেন অহমিকা আর দাম্ভিকতা নিয়ে। ইতিহাস থেকেও শিক্ষা নেন না তারা। বিএনপি মনে করছে তাদের সব সিদ্ধান্ত ভুলের ঊর্ধ্বে। একের পর এক সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ের কারণেই হয়তো এই আত্ম অহমিকা। ক্ষমতাকে ঘরের দরজায় কড়া নাড়তে দেখে অনেকেই তখন মাথা ঠিক রাখতে পারেননি।

শুরু করেছিলেন ছায়া মন্ত্রিসভা গঠন, দেশ-বিদেশে নিয়োগ পরিকল্পনা, কে কোথায় বসবেন, সবকিছুরই। শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়, প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়েও তাদের নানারকম পরিকল্পনা ছিল। বাদ ছিল না মিডিয়া হাউসগুলোও। বিএনপি চেয়ারপারসনের অফিসের অনেক উচ্চ পর্যায়ের কর্মচারীকে দেখেছি বিভিন্ন অফিসে নামের তালিকা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে। ধরাকে সরা জ্ঞানও ছিল তাদের।

সেই কর্মচারীরা ভুলে গিয়েছিলেন কবিতার সেই লাইনগুলো-

"রথযাত্রা, লোকারণ্য, মহাধুমধাম-

ভক্তেরা লুটায়ে পথে করিছে প্রণাম।

পথ ভাবে 'আমি দেবো', রথ ভাবে 'আমি',

মূর্তি ভাবে 'আমি দেবো'- হাসে অন্তযামী। "

অবশ্য কর্মচারীদের আমি দোষ দেই না। মূল বিএনপিরও একটি গ্রুপের ধারণা ছিল বিদেশিরা তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। যেন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশে একটাই কাজ, বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানো।

এই দেশগুলো প্রয়োজনে এ ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করে ফেলবে। হেফাজত জেহাদ করবে। জামায়াত সাতক্ষীরার মতো গোটা দেশ দখল করবে। সবকিছুতেই তাদের আস্থা ছিল। শুধু আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে পারেননি দেশের মানুষের প্রতি।

এই কারণে তারা নির্বাচন বর্জনের পথ বেছে নেন। সম্পর্ক নষ্ট করেন প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির ঢাকা সফরের সময় তারা টানা আন্দোলন করেছেন। শুধু তাই নয়, বিএনপি চেয়ারপারসন পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি বাতিল করে সাক্ষাৎ করলেন না ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে। রাজনীতি ও কূটনীতিতে একটা শিষ্টাচার বলে কথা থাকে।

এখানে তাও মানা হয়নি। বিএনপি চেয়ারপারসন ভারত গিয়ে তাদের আতিথেয়তা নিলেন। নৈশভোজেও অংশ নিলেন। দেখা করলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। বিরোধী দলও বাদ যায়নি।

তখন আমাকে একজন ভারতীয় কূটনৈতিক বলেছিলেন, সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়াকে। লাল গালিচা সংবর্ধনা, প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজ, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ, বিশেষ ফ্লাইটে আজমির সফর, ব্ল্যাক ক্যাট নিরাপত্তা, কোনো কিছুই বাদ ছিল না। অথচ জবাবে নড়াইলের জামাতা, ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির ঢাকা সফরের সময় জামায়াতকে দিয়ে হরতাল করায় বিএনপি। আর এই হরতালের অজুহাতে প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন না বিএনপি চেয়ারপারসন। হয়তো ধারণা ছিল ভারতকে অপদস্ত করলে পাকিস্তান খুশি হবে।

এমন আরেকটি ভুলও বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর করেছিল। তখন প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক ছিল উষ্ণ। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় বসার পর এক দিন ভারতীয় কূটনীতিক মাথুরের বিদায়ী অনুষ্ঠানে গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনসহ প্রভাবশালী ক্ষমতাবানদের অনেককে দেখেছিলাম। শুনেছিলাম, ২০০১ সালের নির্বাচনে ভারতের প্রচ্ছন্ন সমর্থন ছিল বিএনপির প্রতি। আওয়ামী লীগের এই নিয়ে অনুযোগ ছিল অনেক।

সেই সমর্থনের জবাব ভারত পেয়েছিল চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র আটক, বগুড়ায় গুলি উদ্ধারসহ আরও অনেক ঘটনায়। প্রতিবেশী দেশের বিচ্ছিন্নবাদীরা বাংলাদেশে ঘাঁটি তৈরি করে অবলীলায়। জঙ্গিবাদেরও বড় ঘাঁটি হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। গ্রেনেড হামলাসহ অনেক বড় ধরনের নাশকতা ছিল নিত্যব্যাপার। বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের উৎকণ্ঠার শেষ ছিল না।

ওয়ান-ইলেভেনের পর পরিস্থিতি বদল হতে থাকে। বর্তমান অবস্থা আমাদের সবারই জানা।

আজকের লেখাটি শুরু করেছিলাম সরকার কতদিন ক্ষমতায় থাকবে তা নিয়ে। মাঝে টেনে আনলাম ভারত প্রসঙ্গ। আসলে ক্ষমতা পরিবর্তন হয় কয়েক ভাবে।

গণতান্ত্রিক সমাজে ক্ষমতা হস্তান্তরের মূল মাধ্যম নির্বাচন। এরপর গণতান্ত্রিক সরকার পরিবর্তন হতে পারে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে। আমাদের দেশে গণঅভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তন হয়েছিল ১৯৯০ সালে। সামরিক অভ্যুত্থানে ১৯৭৫ এবং ১৯৮২ সালে। বাংলাদেশে বর্তমানে এর কোনোটারই সম্ভাবনা নেই।

পথ একটাই, তা হলো নির্বাচন। আওয়ামী লীগের অনেক ব্যর্থতার কারণে বিএনপি একটি পজেটিভ অবস্থানে ছিল। গত পাঁচ বছর স্থানীয় সরকার পর্যায়ের প্রতিটি নির্বাচনে তারা ভালো করেছিল। তাই এবার ক্ষমতার লড়াইয়ে সরকারি দল কৌশলের আশ্রয় নেয়। এই কৌশল ছিল বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখা।

সরকারি দলকে এই কাজে সহায়তা করে বিএনপির একটি গ্রুপ। তারা অবস্থান নেয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না। সেদিন বিএনপির প্রবীণ নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের একজন ঘনিষ্ঠ সহকর্মী আসেন আমার অফিসে। তাকে প্রশ্ন করলাম, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হলে দাউদকান্দির ফলাফল কি হতো? ড. খন্দকার মোশাররফকে কেউ কি হারাতে পারতেন? তিনি জবাব দিলেন, পারতেন না। ড. মোশাররফ জয়ী হতেন।

কুমিল্লার লোক হিসেবে আমারও তাই মনে হয়। এই যুগে কারচুপি সম্ভব নয়। এখন প্রতিটি মানুষের হাতে একটি করে মোবাইল ফোন। কেন্দ্রভিত্তিক দখল করার মতো পর্যাপ্ত জনবলও দরকার। ৫ জানুয়ারির আগের ৬ মাস আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক বিপর্যয় ছিল সারা দেশে।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর নির্ভরশীল ছিল আওয়ামী লীগ। মাঠে দলের নেতা-কর্মীরা ছিল সিদ্ধান্তহীন। সাতক্ষীরাসহ ১৯টি জেলা ছিল বিএনপি-জামায়াতের নিয়ন্ত্রণে। গাছ কেটে ফেলা কিংবা সড়ক বিচ্ছিন্ন করার খবর থানায় টেলিফোন করে কোনো আওয়ামী লীগ কর্মী কোথায়ও জানাননি। তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।

হাইব্রিড নেতা ও মন্ত্রীরা তাদের এলাকায় যেতেন র্যাব, পুলিশ প্রহরা নিয়ে। র্যাব, পুলিশ পাহারা নিয়ে কেন্দ্র দখল করা যায় না। বিএনপির একজন সাবেক এমপি আমাকে বললেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল ভুল। আর এবার না যাওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল। তার মতের সঙ্গে আমিও একমত।

বিএনপি এবার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যস্থতায় ১২টি মন্ত্রণালয় নিলে এর সঙ্গে যোগ হতো এরশাদের ৬টি। ১৮টি মন্ত্রণালয়ে ভিন্ন ঘরানার মন্ত্রী থাকলে প্রশাসন নিরপেক্ষ হয়ে যেত। আওয়ামী লীগ কর্মীরা হতো বিভ্রান্ত। এর মধ্যে নির্বাচনী মাঠে সেনাবাহিনী যোগ হলে বদলে যেত অনেক কিছু। আওয়ামী লীগের হিসাব-নিকাশ পাল্টে যেত।

কোথায়ও কারচুপির চেষ্টা হলে জনগণ তাদের ভোটাধিকার রক্ষা করত। ভোটাধিকার রক্ষা করতে না পারলে জনগণ নিজেরাই নেমে আসত রাজপথে। তখন আজকের রাজনৈতিক হিসাব বদলে যেত।

এখন কঠিন সংকটের মধ্যে বিএনপিকে যেতে হবে। কারণ ৫ জানুয়ারির পর আওয়ামী লীগের লুকিয়ে থাকা কর্মীরা আবার বের হয়ে এসেছেন।

তারা শক্ত অবস্থান নিতে শুরু করেছেন সারা দেশে। এখন খুব সহজে রাজপথ নিয়ন্ত্রণে নেওয়া সম্ভব হবে না। অপেক্ষায় থাকতে হবে বিএনপিকে। এই অপেক্ষার মেয়াদ কতদিন হবে তা বলা মুশকিল। কারণ পশ্চিমা বিশ্ব বিএনপির জামায়াত নীতিকে খুব বেশি ভালোভাবে নিচ্ছে না।

শিবিরকে সেরা সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা তারই নমুনা। আর আওয়ামী লীগ তার পাঁচ বছরের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে চললে হিসাব-নিকাশ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এর মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে হাইব্রিড নেতৃত্বকে আওয়ামী লীগ অপসারণ করেছে। এখন মন্ত্রিসভাতে হাইব্রিডের সংখ্যা হাতেগোনা কয়েকজন। বাকি সবাই দক্ষ রাজনীতিবিদ।

তারা লড়াই করবে অন্যভাবে। কারণ তারা জানে, নির্বাচন নিয়ে নানামুখী প্রশ্ন আছে। ১৫৩টি এলাকার মানুষ ভোট দিতে পারেনি। বাকিগুলোর প্রার্থী নিয়েও কথা আছে। প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে যায়নি।

তারপরও কোনো কোনো প্রার্থীকে জোর করে বাঙ্ ভরতে দেখা গেছে। বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মতিয়া চৌধুরীর মতো নেত্রীও। তাই উন্নয়ন আর সুশাসন নিয়েই চলতে হবে সরকারকে। জনগণকে আস্থায় রেখেই চলতে হবে সরকারকে। জনগণের আস্থা যতদিন থাকবে ততদিন এই সরকার ক্ষমতায় থাকবে।

যেদিন আস্থা নষ্ট হবে, সেদিন এক মুহূর্তও ক্ষমতায় থাকা সম্ভব নয়। যে কোনো ভুলই সর্বনাশ করতে পারে।

আমাদের দেশের সরকারগুলো ক্ষমতায় থাকলে ভুল করে। কিন্তু নিজেদের ভুলের কথা মনে রাখতে পারে না। আওয়ামী লীগ পাঁচ বছর পর ৩৬ জন মন্ত্রীকে বাদ দিল।

অথচ গত পাঁচ বছর তাদেরকে আদরে আপ্যায়নে রেখেছিল। বিএনপিরও অনেক ভুল ছিল ক্ষমতায় থাকার সময়। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ভুল ছিল সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদকে আশ্রয়, প্রশয় দেওয়া। এখনো এই মীমাংসা তারা শেষ করতে পারেনি। এই মীমাংসা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আরেকটি নির্বাচন কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বিএনপির জন্য।

বাস্তবতায় তাদেরকে থাকতে হবে। মনে হয় না তারা সেটা থাকবে। কারণ জগতে সুখে থাকতে অনেকেরই ভালো লাগে না।

জীবনে সুখ এক কঠিন অধ্যায়। বড় ধনীদের দেখেছি মনে সুখ নেই।

রাষ্ট্রীয় জীবনে রাজা-বাদশারাও সুখ খোঁজেন যার যার মতো। দিলি্লর বাদশাহ আওরঙ্গজেবও সুখী ছিলেন না। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রাজসিংহ উপন্যাসে আওরঙ্গজেবের সে যন্ত্রণার কথাই লেখেন। বাদশাহ আওরঙ্গজেব শেষ বয়সে রাজপুত-কন্যা নির্মল কুমারীর প্রেমে পড়েন। নির্মলের বুদ্ধি, চতুরতা আর সাহস মুগ্ধ করে বাদশাহকে।

জোর করে রংমহলে নির্মলকে আটক না করে বাদশাহ তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। জবাবে নির্মল বলেন, রূপনগরের রাজকন্যাকে একদা তিনি বলেছেন, বিয়ে করতে চান আলমগীর বাদশাকে। কারণ ছোটবেলা থেকে নির্মল বাঘ পুষতেন। বাঘকে বশ করাতেই তার আনন্দ ছিল। বাদশাকে বশ করতে পারলে তার একই আনন্দ হবে।

নির্মল বলেন, 'আমার ভাগ্যবশত অবিবাহিত অবস্থায় আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় নাই। আমি যে দীন-দরিদ্রকে স্বামীত্বে বরণ করিয়াছি, তাহাতে আমি সুখী। এক্ষণে আমায় বিদায় দিন। "

আওরঙ্গজেব দুঃখিত হয়ে বললেন- "দুনিয়ার বাদশাহ হইলেও কেহ সুখী হয় না- কাহারও সাধ মিটে না। এই পৃথিবীতে আমি কেবল তোমায় ভালোবাসিয়াছি, অতএব তোমায় আটকাইব না- ছাড়িয়া দিব।

তুমি যাহাতে সুখী হও, তাহাই করিব। যাহাতে দুঃখ পাও তাহা করিব না। " 'নির্মলের মতো কথোপকথনে সাহস, বাকচাতুর্য এবং স্পষ্ট বক্তব্য মোগল বাদশাহ আর কোথাও দেখেন নাই। যদি কোনো রাজা-শিবাজি বা রাজসিংহ, যদি কোনো সেনাপতি-দিলি্লর কোনো দরবারে, যদি কোনো শাহজাদা-আজিম কি আকবর, এরূপ সাহসে স্পষ্ট কথা বলিত, আওরঙ্গজেব তাহা সহ্য করিতেন না। ' আওয়ামী লীগ যত শক্তিশালী অবস্থান নির্বাচনে দেখানোর চেষ্টা করত তাতে লাভ হতো না।

তর্জন, গর্জনে লাভ হতো না। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ তারা সহ্য করতে পারেননি। বিএনপি নির্বাচনে গেলেই জিতত। আওয়ামী লীগের কোনো বাড়াবাড়ি কাজে আসত না। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করে বিপাকে পড়েছে।

এখন আফসোসে কাজ নেই। অপেক্ষার কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রচার করেই আপাতত তাদের সময় কাটাতে হবে।

লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.