আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হৃদরোগ চিকিৎসার পঞ্চশক্তি

হৃদরোগ বেশ কয়েকটি কারণে হওয়া সমন্বিত এক রোগ। এর অর্থ হচ্ছে, এই রোগ বেশ কয়েকটি কারণে হতে পারে। বেশ কয়েকটি কারণের ভেতর থেকে মাত্র একটি কারণের চিকিৎসা করলে সফল হওয়া সম্ভব নয়। যদি একটা কারণকে শেষ করে ভালো পরিণাম পেতে হয়, তাহলে সেই কারণের পেছনের লুকিয়ে থাকা সমস্যাকে পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারণের পেছনে কারণ খুঁজে যে চিকিৎসা পদ্ধতি দেওয়া হয়, সেটি হল- সিএডিপিআর।

হৃদরোগ চিকিৎসার পঞ্চশক্তি হিসেবে এগিয়ে চলেছে সিএডিপিআর প্রোগ্রাম। সিএডিপিআর হৃদরোগের চিকিৎসায় পাঁচটি পর্যায়ের প্রয়োগ করে। এই প্রোগ্রাম হচ্ছে নন-ইনভেসিভ অর্থাৎ বিনা সার্জারির প্রোগ্রাম। সিএডিপিআর-এ এই পর্যায়ের পূর্ণরূপে এবং অত্যন্ত সঠিক পদ্ধতিতে পালন করা হয়। বাস্তবে এই প্রোগ্রামের রূপরেখা এতটা ব্যবহারিক যে, প্রতিটি ব্যক্তি এটাকে সহজেই পালন করতে পারেন।

এই পাঁচটি পর্যায়ের মধ্যে প্রতিটি পর্যায়ের বিভিন্ন অবয়ব রয়েছে আর হৃদরোগকে কম করার কাজে এসব বিভিন্ন অবয়ব আলাদা আলাদা ভূমিকা পালন করে। এই প্রোগ্রামের সবদিক থেকে সম্পূর্ণই এই প্রোগামকে এতটা প্রভাবশালী করে তুলেছে। আরেকটু ভালো করে বোঝার চেষ্টা করা যাক যে, যদি আমরা লোহার পাঁচটি আলাদা আলাদা ছড়ি নিই, তাহলে যে কোনো একটা ছড়িকে সহজেই মুড়ে ফেলা যেতে পারে... কিন্তু আমরা যদি পাঁচটি ছড়িকে একসঙ্গে রাখি, তাহলে সেগুলোর শক্তি এক বিশাল রূপ ধারণ করে নেয় আর তখন সেগুলোকে মোড়া অসম্ভব হয়ে ওঠে। এবার নিজেদের হাতকেই উদাহরণ হিসাবে নিতে পারেন। আপনার হাতে যদি একটা আঙ্গুল থাকে, তাহলে আপনি সেটার সহায়তায় দশটা কাজ করতে পারবেন।

এবার যদি সেই আঙ্গুলটার সঙ্গে আর একটা আঙ্গুল-বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠকে জুড়ে দেওয়া যায়, তাহলে আপনি সেই দুটি আঙ্গুলের সহায়তায় একশটা কাজ করে নিতে পারবেন। পাঁচটা আঙ্গুল একসঙ্গে হওয়ামাত্র আপনি হাজার কাজ করতে পারবেন। হাত পূর্ণ হতেই হাতের কার্যকুশলতাও বেড়ে ওঠে। পাঁচ পর্যায় আর সেগুলোর অবয়বগুলোর পালনের দ্বারা প্রোগ্রমের শক্তি অত্যন্ত বেড়ে ওঠে আর এর দ্বারা শীঘ্রই ভালো পরিণাম পাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে। এই পাঁচটা পর্যায় হচ্ছে- শিক্ষা, মানসিক চাপ কমানো, ভোজনে পরিবর্তন, যোগ-ধ্যান এবং ব্যায়াম।

এছাড়া রক্তচাপ, সুগারের কোলেস্টেরল, ট্রাইগি্লসরাইডস আর হৃদরোগের উপরে এসবের প্রভাব রোগীদের ভালোভাবে জানা উচিত। হৃদয় ধমনীগুলোয় অবরোধ, তার জ্ঞান, হৃদরোগের পরিধি ও পরিচিতি এবং পরীক্ষণ, মানসিক ও আত্দিক চাপের প্রভাব, তার প্রকারভেদ- রোগীদের এগুলোও শেখা উচিত।

ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস, সহযোগী অধ্যাপক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা। ফোন : ০১৭২১-৮৬৮৬০৬

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.