আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গাড়ির গল্প

জীবনটা দুই দমের......এক কদমেই যেন কেউ হার না মানে

একজন যন্ত্র প্রকৌশলীর ছাত্র হিসাবে গাড়ি আর রোবটের প্রতি আমার আগ্রহ অসীম। রাতের বেলা ঘুমানোর সময় প্রায়শই স্বপ্ন দেখি আমিই বি এম ডব্লিউ কোম্পানি চালাইতেসি।
গাড়ি। এককথায় মানুষের আরামের জন্য বানানো একটি বাহন। তাবত দুনিয়ার এমন কোন মানুষ বোধহয় নেই যে গাড়ি পছন্দ করে না।

নানা রঙের নানা ডিজাইনের সুন্দর সুন্দর গাড়িগুলো যখন আমাদের পাশ দিয়ে ছুটে যায়, মুগ্ধ নয়নে আমরা সেদিকে তাকিয়ে থাকি। কিন্তু আজ যে গাড়িগুলো আমরা দেখছি তা কিন্তু শুরুতেই এমনটা ছিল না। তাই গাড়ি নিয়ে যখন বলবই ঠিক করলাম তো আগে কিছুটা ইতিহাস নিয়েই বলি। আজকের পর্বটা কেবল ইতিহাস নিয়েই।
সর্বপ্রথম যে গাড়ি (গাড়ির মত বাহন) বানানো হয় তার মূল জ্বালানি ছিল বাষ্প, আর এর ডিজাইন করেন Ferdinand Verbiest নামের একজন ভদ্রলোক ১৬৭২ সালে।

কিন্তু তার ডিজাইন করা এই বাহনটি চিনা সম্রাটের সম্মানে বানানো হলেও কোন চালক বা যাত্রী বহন করতে পারত না। তাই আদতে তার নাম প্রচার করার মত কিছুই না।
এরপর যার নাম আসে তিনি হলেন Nicolas-Joseph Cugnot। তিনি ১৭৬৯ সালে বাষ্প চালিত গাড়ি বানান। তার এই বানানোর শখ শুধু গাড়ির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না।

তিনি ফরাসী আর্মির জন্য স্টিম ট্রাকটরও বানান।
যত যই হোক না কেন এইসকল গাড়ি বা বাহনের জ্বালানির দ্বহন (যেমনঃকয়লা) ইঞ্জিনের বাইরেই হত যেটাকে বলা হয় External Combustion। আরও লক্ষ্য করলে দেখা যাবে জ্বালানি হিসাবে শুধু কয়লা আর working fluid হিসাবে বাষ্পকে ব্যবহার করা হয়েছে( জ্বালানি আর working fluid এর পার্থক্য কি তা পরে জানাচ্ছি)।
১৮০৭ সালে Nicéphore Niépce নামের একজন ভদ্রলোক এবং তার ভাই Claude এমন একখানা ইঞ্জিন আবিষ্কার করলেন যেখানে জ্বালানির দ্বহন ইঞ্জিনের ভেতরে হয়। যাকে বলা হয় Internal Combustion Engine. কিন্তু তারা এই ইঞ্জিন গাড়ির জন্য ব্যবহার না করে করলেন নৌকার জন্য।

কাকতালীয়ভাবে ওই একই বছর সুইস আবিষ্কারক François Isaac de Rivaz একই রকম ইঞ্জিনের ডিজাইন করেন de Rivaz internal combustion engine আর এর নামকরণ করেন ।
আজকে যার কথা বলে শেষ করব তার নাম কার্ল বেঞ্জ।

মার্সিটিজ বেঞ্জের জনক। ১৮৭৮ সালে তিনি তার ইঞ্জিনের ডিজাইন করেন, আর নিজের নামে তা পেটেন্ট করে নেন পরের বছরই, তার মানে ১৮৭৯। তিনি প্রথম সম্পূর্ণ মোটরযাম বানান ১৮৮৫ সালে।

এরই মধ্যে তিনি নিজের নামে একখানা কোম্পানিও খুলে বসেন। গাড়ির পেছনে যে শুধু তিনিই কাজ করেছেন তাই নয়। তার স্ত্রী বের্থা বেঞ্জও অনেক সাহায্য করেছেন
এবং তার স্বামীর কাজ যে যুক্তিযুক্ত তা প্রমান করেন। গাড়ি তারা বানালেও এটা খুব একটা সহজলভ্য ছিল না। যার কারণে ১৮৮৮ থেকে ১৮৯৩ পর্যন্ত তারা মাত্র ২৫ খানা গাড়িই বিক্রি করতেন পেরেছিলেন।


(চলবে)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।