আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বসন্তের বর্ষন বেলা-২

কখনো সুরের ছন্দ মেলেনা,তো কখনো তাল তবু গেয়ে যেতে হয় মিলিয়ে সাথে সময়ের সুর-তাল!

সেই রাতের পর থেকে আমি কেন জানি নিজেকে আরো বেশি গুটিয়ে রাখতে শুরু করলাম,বিশেষত,মা এর কাছ থেকে!মা সেটা বুঝেছে কি না কে জানে!কারণ,মা নিজেও কেমন যেনো ছাড়া ছাড়া ভাব বজায় রাখছে। এর মধ্যে একবার মামাত ভাইয়ের বউ এসেছিলেন,কথার ইঙ্গিতে কিছু বুঝাতে চাচ্ছিলেন,কিন্তু আমি ইচ্ছে করেই বুঝেও না বুঝার ভান ধরে ছিলাম!
আমি জানি,আত্নীয়-স্বজনরা বেশ মজাই পাচ্ছে,আমাদের এমন অবস্থা দেখে!আসলে সমাজে ব্যাক্তিত্ব কিংবা নিজস্ব পরিচয় নিয়ে আলাদা ভাবে বেঁচে থাকা অনেক কঠিন!সবাই ই চায়,যেনো অন্যরা তার মতো চলে,তার থেকে বেশি দূরে যেতে না পারে।

প্রায় ছয় বছর পর দরজা খুলে মিতু আপু,মানে আমার মুপ্পুকে দেখে আমি কেন জানি খুব একটা অবাক হলাম না!মানে হতে পারলাম না,শুধু ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রইলাম। কারণ,আমার মনে হলো অবচেতন মনেই হোক,আমি মিতু আপুরই অপেক্ষা করছিলাম,এবং আমি জানতাম ও দেশে ফিরবে ক'দিনের মধ্যেই! আমাকে এভাবে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মুপ্পু বলল,
-নিতুমণি,কেউ দরজায় আসলে তাকে সালাম দিতে হয়,আর ভেতরে আসতে দিতে হয়,তাই না?
আমি ছল ছল চোখে হাসার চেষ্টা করলাম,সালাম দিয়ে দরজা থেকে সরে দাঁড়ালাম। ও ভেতরে ঢুকলে দরজা লাগিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরলাম।

অনুভব করতে চাইলাম,আমার সেই মুপ্পুকে,যার গলা জড়িয়ে আমি ঘুমাতাম,যার হাত ধরে আমি স্কুলে যেতাম। ইশশ...৬টা বছর কতো ই না দীর্ঘ একটা সময়!কিচ্ছু বলতে পারলাম না,শুধু দু'বোনের চোখের পানি অনেক কথা বলে দিলো।
মায়ের এক্সপ্রেশনে আমি কিছুটা অবাক হলাম!তারমানে আমার মতো মা ও মনে মনে তৈরী ছিলেন!আপুকে অবশ্য চমকাতে দেখলাম না,মা আপুকে জড়িয়ে ধরে স্বাভাবিক কন্ঠেই বললেন,
-যা হাত-মুখ ধুয়ে নে,আমি খাবার দিচ্ছি। '' যেনো মেয়ে তার মাত্র ক্লাস থেকে ফিরলেন!
আপু আমাদের সেই চেনা ছোট্ট চুড়ুই পাখির বাসার মতো ঘরটাতে ঢুকে দু'হাত মেলে চোখ বুজে নিঃশ্বাস নিয়ে বলল,
-ইশশ... কত্ত বছর পর,সেই রুমটা,সেই জানালা,আর...ঐ গাছগুলো?ও গুলো আছে নারে এখনো?
আমি হেসে মাথা নাড়লাম।
-হুম,ঘরটা আগের মতোই আছে,আবার আগের চাইতে সুন্দরও হয়েছে বলা যায়! বদলায়নি অনেক কিছুই আমার মতো,তাই না?
কথাটা শুনতে কেমন জানি লাগলো!আমি কিছু না বলে চুপচাপ রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম।


কেন জানি মুপ্পুর সামনে আমার অস্বস্তি লাগছিলো! ওর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারছিলাম না,ওর জল থৈ থৈ চোখ দু'টো সব বলে দিচ্ছিলো,যা সহ্য করা আমার জন্য অনেক কষ্টকর!
খাবার টেবিলে এসে মুপ্পু উচ্ছ্বাসিত কন্ঠে বলতে লাগল,
-ওরে ওরে ওরে,আমার প্রিয় নতুন আলুর সাথে মুরগীর ঝোল!ইশশ...কত্তদিন পর!আর ওটা কি?লাউ পাতার ভর্তা!ওহহো!কইরে বুড়ি,জলদি আয়,আমার আর তর সইছে না।
আমি হাসতে হাসতে ওর আর মায়ের জন্য প্লেট সাজালাম। আজ প্রায় অনেক বছর পর আমরা মা-মেয়েরা একসাথে দুপুরের খাবার খেতে বসেছি। কিন্তু কেন জানি তেমন কোন সুখানুভূতি ভেতরে কাজ করছে না!আমরা মানুষরা আসলেই কেমন জানি!কোন কিছুতেই মন ভরে না। এই যে এত বছর পর আমরা একসাথে হলাম,কই সেই খুশী নিয়েই মশগুল থাকবো তা না...
রাতে চা খেতে খেতে মুপ্পু আমাদেরকে জাপানের গল্প শোনাচ্ছিলো,আমিও বেশ আগ্রহ নিয়ে শুনছিলাম।

হঠাত ই মা বলে উঠলো,
-মুহিন কবে আসবেরে মিতু?
সাথে সাথেই আমি আর আপু মনে হয় স্ট্যাচু হয়ে গেলাম। মুপ্পু একবার আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
-জানিনা।
বলেই ও আবার গল্পে ফিরে যাচ্ছিলো,কিন্তু মা আবার বলে উঠলেন,
-জানিনা মানে কি?তুই কি ডিসিশন নিয়েছিস?কি করছিস কিছু তো জানাবি না জানি,কিন্তু মুহিন কি করছে সেটা তো বলবি?
আপু একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল,আমি কিছু বলতে চাচ্ছিলাম,কিন্তু বলতে পারলাম না শুধু মাথা নিচু করে রইলাম।
-মুহিন সম্ভবত জুন-জুলাইয়ের দিকে আসবে।
মা আবারো জিজ্ঞেস করলেন,
-কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ও?
আপু এবার কিছুটা বিরক্ত গলায় বলল,
-মা তুমি তো সবই জানো,এখানে আমার সিদ্ধান্তের আর কি বাকী আছে বল?আর তার সিদ্ধান্ত জানারই বা কি আছে? ডাক্তার বলে দিয়েছে,আমার কখনো বেবি হবে না,যদি কখনো আল্লাহর অনেক দয়া হয়,তাহলে হয়তো...আর এটা জানার পরেও মুহিন অনেকদিন অপেক্ষা করেছিলো কিন্তু এখন আর করতে চাইছে না,আর যেহেতু সে বিয়ে করবেই তাই ওর পরিবার চেয়েছিলো বিয়েটা নিতুর সাথেই হোক!যেটা আমার বা নিতুর পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব না!সুতরাং ওরা এখন অন্য মেয়ে দেখছে,এবং মেয়ে ঠিক হলে মুহিন এসে বিয়ে করবে,ব্যাস।


আপুর কথা শেষ হলেও আমরা তিন জনই নিরব রইলাম। মায়ের মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে,তিনি প্রচন্ড অসন্তুষ্ট হয়েছেন আপুর এমন কথা শুনে। নিচু কন্ঠে বললেন,
-তোর বড় মামী বলছিলো,ওদের প্রস্তাবটা নিয়ে আরেকবার ভাবতে!সবই তো আমাদের চেনা-জানা,আর সংসার ও তোরই,ক্ষতি কি নিতু গেলে!
কথাটা শুনে আমার কেমন যে অনুভূতি হচ্ছে নিজেও বুঝতে পারছি না! একবার আপুর মুখের দিকে তাকালাম,
ও স্বাভাবিক ভাবেই বলল,
-মা,তুমিও কি বড় মামীর সাথে একমত?
মা হ্যাঁ/না কিছুই বললেন না। আপুই আবার বললো,
-মা,এতো পাষাণ হইয়ো না প্লিজ!আমি কষ্ট যা পাওয়ার পাচ্ছি,বাট নিতুর উপর এত বড় জলুম করতে যেও না।
আমি আবারো আপুর মুখের দিকে তাকালাম,শেষের দিকে কন্ঠটা কাঁপছিলো যেনো! আহারে,কি কষ্টের পাহাড় টাই না বুকের ভেতর পুষে রেখেছে আমার বোনটা!না পারছে কাউকে বলতে না পারছে সহ্য করতে,কেবল ভেতরে ভেতরে মরছে।




আজকাল দিন গুলো কেমন যেনো অদ্ভুদ সুন্দর ভাবে কাটছে,এমন বৈচিত্র্যময় দিন শেষ কবে কাটিয়েছিলাম মনে নেই। আসার সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই আপু একটা স্কুলে জয়েন করেছে,ওখানকার এসি.হেড আপুর বান্ধবী ছিলো।
মা এখন ঠিক আগের মতো আমাদের জন্য রান্না করেন,যেভাবে আগে বাবা থাকা কালে করতেন,সেই স্বাদ আর আগ্রহ নিয়ে। মিতু'পু মাঝে মাঝে মা কে নিয়ে ছুটির দিনে বাজার করতে বের হয়,সেদিন দু'জনের বাজার গুলো দেখার মতো হয়!!বাসায় থাকলে দু'জন মিলে ঘরের জিনিসপত্র একবার এপাশে তো আরেকবার ওপাশে করে। সেই আগের মতোই সকাল সকাল আমরা দু'বোনই বেড়িয়ে যাই,আবার দিন শেষে এক সাথেই ফিরি।

প্রায় ছয় বছর দেশের বাইরে থেকে আসার পর মুপ্পুর কীর্তি দেখলে না হেসে উপায় নেই!
প্রায় প্রতিদিনই বিকেলে আমাকে নিয়ে সে রিকশায় ঘুরতে বের হবে,সে নাকি ঢাকা শহর চিনে না!তাই রিকশায় করে তার শহর চিনতে হয়! টং এর দোকানের চা থেকে শুরু করে ঝালমুড়ি পর্যন্ত সব কিছুই যেনো সে প্রথম খাচ্ছে এমন ভাব! তবে বিদেশে থেকে আসলেও অন্যদের মতো ওর দেশ নিয়ে কোন খুঁত খুঁতে ভাব নেই,বলতে শোনা যায় না,'উফফ,কি ধূলোরে'! কিংবা 'নাহ,দেশের কোন উন্নতি হইলো না,অথচ বিদেশে...ব্লা,ব্লা!' ভাবখানা এমন,যেনো এই ধূলোবালির শহরটাই তার অনেক প্রিয়!এই রাস্তার পাশের ফুচকা অনেক অমৃত!
মিতু'পুর চাকরী নিয়ে মামারা কিছুটা উচ্চ-বাচ্চ করেছিলেন,এমন চাকরী টা তাদের মোটেও পছন্দ হয়নি!ক'টাকাই বা বেতন পাবে,এখন তো আবারও ওকেই সংসারের হাল ধরতে হবে ইত্যাদি চিন্তা মার্কা কথা!
অবশ্য মুপ্পু চাইলে যেকোন ভালো কোম্পানি বা ভার্সিটিতে জয়েন করতে পারতো,কিন্তু সে তা না করে জয়েন করেছে একটা বাচ্চাদের স্কুলে। কেন?সেটা আমরা কেউ ই জিজ্ঞেস করিনি। বাবা চলে যাওয়ার পর আপুর সংসারে দায়িত্ব বুঝে নেয়াটাও কেউ তেমন ভালো চোখে দেখেননি,ওর একার সেই প্রচেষ্টা গুলোকে তখন সবার চোখেও বিরক্ত লাগতো!আর তাই বলা যায় ওর সংসারের এই পরিণতিতে অনেকেই মনে মনে খুশী!
মা প্রায়ই আমাকে চুপে চুপে জিজ্ঞেস করেন,মুহিন ভাইয়ের সাথে আপুর যোগাযোগ হয় কি না! কিংবা আপু মুহিন ভাইয়ের কথা কিছু বলে কি না। আমি কখনো হু/হ্যা করি আবার কখনো চুপ থাকি।
আপু এখানে আসার পর মুহিন ভাই ক'বার ফোন করেছিলেন,আমি দেখেছি আপু খুব দায়সারা ভাবেই কথা বলেছে।

একটা সময় পর আর কোন ফোন আসেনি। আমি মাঝে মাঝে আপুর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি!বুঝার চেষ্টা করি,
আগের চেয়েও অনেক চাপা স্বভাবের হয়ে গেছে আপু,ও ভাবে,ও কিচ্ছু না বললে,প্রকাশ না করলে আর কেউ কিছুই বুঝবে না! বোকা একটা... কষ্ট কখনো কখনো আগুনের মতো হয়। তাই পোড়ার গন্ধ কিংবা কষ্টের ফ্যাকাশে রংটা সব সময় লুকিয়ে রাখা যায় না। আর ওর চোখ?
মানুষের চোখ হচ্ছে ভয়ংকর রকমের আয়না!একবার তাকালেই অনেক কথা দেখা যায় স্পষ্ট ভাবে। মুপ্পুর চোখ দু'টোও তাই অনেক কথা বলে দেয়,যা ও বলে না।

কতোবার ও কথা বলতে বলতে থেমে যায়,কথার মাঝখানে ভাইয়ার নাম আসতেই ধাক্কা খায়,কতোবার যে ভাইয়ার স্মৃতি জড়িত কিছু দেখে ও নিজেকে হারিয়ে ফেলে তার কোন ইয়াত্তা নেই,অথচ জিজ্ঞেস করলে খুব সুন্দর করে এড়িয়ে যায়।
আমি হঠাত করে জিজ্ঞেস করে বসি,'আচ্ছা,তোর আর মুহিন ভাইয়ের মধ্যে ভালোবাসা কেমন ছিলোরে?'
ও ভ্রু কুঁচকে আমার দিকে তাকায়,
-কেমন ছিলো মানে?
-মানে কেমন ছিলো?সরব নাকি নিরব?
মুপ্পু হাসল খানিকটা,
-ওর ভালোবাসা সরব ই ছিলো বলা যায়,কোন না কোন ভাবে বুঝাতোই! মুখে বলা থেকে শুরু করে রাগ-অভিমান, বোকামী,সবই করতো!
-আর তোর ভালোবাসা?
-নিরব... অনেক নিরব ছিলো!এখানে যতোদিন ছিলাম,ততোদিন তোদের কথা,তোদের নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম,আর ওখানে চাকরী-পড়াশুনা নিয়ে। সাধারনত বাঙ্গালী মেয়েদের অভিযোগ থাকে,যে তাদের মানুষটা বিদেশ-বিভূঁইয়ে তাদেরকে সময় দেয় না,কিন্তু আমার ক্ষেত্রে ছিলো উল্টো!
-তুই ভাইয়া কে ভালোবাসতি না?!
মুপ্পু সাথে সাথে উত্তর দিলো না,খানিক পর বলল,
-আসলে আমি খুব ভয় পেতাম সব সময়!আমার মনে হতো,আমি যা কিছুই খুব বেশি ভালোবাসি,তা ই আমার কাছ থেকে দূরে সরে যায়!আমি আমার জীবনে খুব ভালোবাসা কারো কাছ থেকে একবারের বেশি পাইনি!আমার মনে হতো,মুহিনকেও আমি হারিয়ে ফেলবো!তাই কখনোই নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করতে চাইতাম না!মনে হতো আমি ওকে খুশী করতে পারবো না,কিন্তু যখন মাঝে মাঝে যদি কখনো ওর মনের মতো কিছু করতাম,মানুষটা তখন এত্ত খুশী হতো,যে দেখে ভয়ই লাগতো! কিন্তু শেষের দুটো বছর খুব খারাপ গিয়েছেরে!এতোটা বদ মেজাজ আর অধৈর্য্য আচরন করতো যে,আমিও মেজাজ সামলাতে পারতাম না!এমন অবস্থা হয়েছিলো,যে দিন শেষে কেউ বাড়িই ফিরতে চাইতাম না,ঝগড়া করার ভয়ে!
বলতে বলতে আপু আবারো মনের জগতে হারিয়ে গেলো! আমি বইয়ের পাতা উল্টাতে উল্টাতে বললাম,
-কিন্তু হলো তো তাই,তুই তো মানুষটাকে হারিয়েই ফেললি!তুই কখনো বুঝাতে চাসনি বলেই,আজ সে তোর চোখের ভাষা পড়তে পারেনি!তোর হারাবার ভয় এতোটাই দূরত্ব তৈরী করে ফেলেছিলো,যে মানুষটা তোর কষ্ট বুঝতে ভুলে গিয়েছিলো! পুর্ণেন্দু পত্রীর সেই কবিতাটার কথা তোর মনে আছে?ঐ যে,
''বুকের মধ্যে বাহান্নটা মেহগনি কাঠের আলমারি।
আমার যা কিছু প্রিয় জিনিস,সব সেইখানে।
নিজের এবং সমকালের সমস্ত
ভাঙা ফুলদানির টুকরো
সব ঐ বাহান্নটা আলমারির অন্ধকার খুপরীর
থাকে-থাকে, খাঁজে-খাঁজে বুকের মধ্যে।

'' মনে আছে? তুই বুকের ভেতর কাঠের আলমারিতে সব কিছু লুকিয়ে রেখে ভেবেছিলি সব থাকবে জমা সযত্নে!কিন্তু থাকে কি আসলে? থাকে না তো!'
মুপ্পু আমার কথার পিঠে আর কিছু বলল না। আমিও উঠে ড্রয়িং রুমে এসে বসলাম,ও থাকুক কিছুক্ষন একা।
চলবে..
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।