আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানুষ ঈশ্বর , মানুষের ঈশ্বর

ঈশ্বরই জ্ঞান , জ্ঞানই আত্মা। মানুষ মাত্রই জ্ঞানী। আমি মানুষ,আমার ঔরসে জন্মায় দেবতার কারিগর।

একটি বিষয় নিয়ে যখন তর্ক হয় বা আলোচনা হয় তখন সেই বিষয়টির সঠিকতা যাচাই করার যে প্রক্রিয়া তা হচ্ছে পক্ষে এবং বিপক্ষে অবস্থান । এক দিকে অবস্থান বিষয়টিকে পরিষ্কার তো করেই না বরং পক্ষপাতদুষ্ট করে তোলে ।

নাস্তিকতা আস্তিকতা বিষয়টি হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা বা ঈশ্বর শক্তির বিশ্বাস নিয়ে ।

এই ঈশ্বর শক্তির বিশ্বাস বিষয়টি আরও গভীরভাবে দেখতে বা বুঝতে আমাদের যেতে হবে মানুষ সৃষ্টি এবং মানুষ সৃষ্টির কারণটির কাছে। মানুষ কেন সৃষ্টি হল , মানুষের দরকারটা কি ? মানুষ সৃষ্টি এবং সৃষ্টির কারণ নিয়ে যেখানে আলোকপাত করা হয় তা হচ্ছে ধর্মগ্রন্থ । ইসলাম ধর্ম মতে মানুষ সৃষ্টির কারণগুলো স্পষ্ট করে বলা হয়েছে বা পাওয়া যায় ।

ইসলাম ধর্ম মতে মানুষকে সৃষ্টির পরে তাকে বলা হল, বলো তোমার প্রভুর নাম ।

মানুষ অস্বীকার করল , তখন মানুষকে আগুনে পোড়ান হল হাজার বছর তারপর আবার জিজ্ঞেস করা হল বলো তোমার প্রভুর নাম , মানুষ আবার অস্বীকার করল । এভাবে তিনবার শাস্তির পর মানুষ স্বীকার করল তার প্রভুকে , সৃষ্টিকর্তাকে , ঈশ্বর শক্তিকে।
এখানে মানুষ সৃষ্টির অর্থ মানুষের আত্মা সৃষ্টি। কিন্তু শারীরিকভাবে বা মাটির দ্বারা সৃষ্টি নয়, আমার ধারণা শারীরিক অবয়ব মানুষ পায় আরও বহু পরে যাক সেটি আলোচনার বিষয় নয় । কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আত্মা সৃষ্টির পর মানুষ কেন তার সৃষ্টিকর্তা বা ঈশ্বর শক্তি অস্বীকার করল ? মানুষ কি জানত? মানুষের কি ক্ষমতা ছিল? নিজের কি ক্ষমতার পরিচয় মানুষ জেনেছিল? যার কারণে বা যে শক্তির বলে সে তার প্রভুকে অস্বীকার করতে পারে ।



এই জিজ্ঞাসার উত্তর নিয়ে যায় ঈশ্বর শক্তির সেই বানীতে ‘’মানুষ হচ্ছে আমার অনুরূপ’’ । এখানেও শারীরিক অবয়বের কথা বলা হয়নি । এখানেও ইঙ্গিত করা হয়েছে আত্মার দিকেই । অর্থাৎ আত্মাকে ঈশ্বর শক্তি তার নিজের মত ক্ষমতা দিয়েই তৈরি করেছে । কারণ শারীরিক যে সক্ষমতা মানুষের আছে তা দিয়ে প্রকৃতির প্রাণীদেরকেই হারানো মুশকিল সে ক্ষেত্রে ঈশ্বর শক্তি অস্বীকার করা কাল্পনিক।

অবশ্যই মানুষ তার শারীরিক অবয়বের শক্তির জন্য ঈশ্বর শক্তিকে অস্বীকার করেনি । আবার ঈশ্বর শক্তি এত দুর্বল বা সীমাবদ্ধতার মধ্যে হতে পারেনা কারণ ঈশ্বর শক্তি মহাশক্তি। যে মহাশক্তি আত্মা সৃষ্টি করে যা একটি স্বাধীন সত্তা। কিন্তু প্রয়োজনে আত্মাকে শৃঙ্খলিত করে শাস্তি দিতে পারে । সুতরাং শারীরিক অবয়বে মহাশক্তি হওয়া বা মহাশক্তি অস্বীকার করা অসম্ভব।



ঈশ্বর নিজে কোন ঈশ্বরকে স্বীকার করেনা কারণ তিনি নিজেই ঈশ্বর শক্তি । সুতরাং নাস্তিকতার কারণ অনেকটা সহজ হয়ে গেল মানুষ যেহেতু ঈশ্বর শক্তির অনুরূপ সুতরাং মানুষও নিজের ক্ষমতার জন্য অন্য সত্তাকে ঈশ্বর শক্তি মানতে চায়নি। এটি মানুষের শুরুর কথা।
এরপরে যদি দেখি , আত্মা সৃষ্টির পর মাটির দেহের মানুষ বানিয়ে ফেরেস্তা শয়তান সহ সকল সৃষ্টিকে ঈশ্বর শক্তি হুকুম, মানুষকে সেজদা কর । শয়তান ব্যতীত সবাই সেজদা করল বাহ্যিক দৃষ্টিতে মাটির মানুষকে।

এখানেও খোদার সেই কথা প্রমানিত হয় মানুষকে আমি আমার অনুরূপ করে সৃষ্টি করেছি ।

শয়তান হল বিতাড়িত । কিন্তু লক্ষ্য করার বিষয় যখন মানুষ অস্বীকার করল ঈশ্বর শক্তিকে প্রভু মানতে তখন তাকে আগুনে পোড়ান হল কিন্তু বিতাড়িত করা হয়নি কিংবা অভিশপ্ত করা হয়নি। মানুষকে ঈশ্বর শক্তির ক্ষমতার প্রকৃত পরিচয় দিয়ে তাকে শেখানো হয়েছে ঈশ্বর শক্তি মহাশক্তি।

শয়তানকে কেন বিতাড়িত করা হল ? মানুষকে কেন বিতাড়িত করা হয়নি ? ঈশ্বর বলেন আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি আমার ইবাদতের জন্য ।

ফেরেশতারা ( তখন শয়তান ফেরেস্তার অন্তর্ভুক্ত) বলল, নতুন করে মানুষ সৃষ্টির প্রয়োজন কি ?

খোদা বলেন , আমি যা জানি তোমরা তা জানোনা । কি সেই জ্ঞান ? মানুষের কি এমন আছে? খোদা কি চেয়েছেন মানুষের কাছ থেকে? কি সেই ইবাদত? শয়তান জানে মাটির মানুষ, ফেরেশতা জানে মাটির মানুষ কিন্তু ঈশ্বর শক্তি জানে মানুষ তার অনুরূপ।

এখানে একটা বিষয় উল্লেখ্য ফেরেশতা বা শয়তান সম্মক প্রত্যক্ষ ঈশ্বর শক্তি চেনে তার ক্ষমতা সম্বন্ধে তারা চাক্ষুস প্রমাণ বা বাস্তব জ্ঞান আছে । তখন খুব স্বাভাবিক প্রশ্ন আসে যে বিষয়টি আমি দেখি নাই তার অস্তিত্ব আমি স্বীকার কেন করব ? পক্ষে বিপক্ষে অনেক যুক্তি আছে কিন্তু বাস্তব হচ্ছে মানবজাতি ঈশ্বর শক্তি চাক্ষুস প্রত্যক্ষ করেনি । আবার এখানেই শয়তানকে অভিশপ্ত বিতাড়িত করার যৌক্তিকতা তুমি ঈশ্বর শক্তি জানো তারপরেও তুমি হুকুম অমান্য করেছ , মানুষকে সেজদা কর।



কিন্তু অবাক বিষয় হচ্ছে ঈশ্বর শক্তি বা দেবতার পরিচয় বা বাস্তবে না দেখলেও মানবজাতির বেশীরভাগ অংশ নানারুপে নানা ভাবে নানা মতে নানা পথে নানা ধর্মে ঈশ্বর বা দেবতায় বিশ্বাসী । কিছু অংশ বিশ্বাসী নয়।

কিন্তু ঈশ্বর শক্তি কি চেয়েছেন মানুষের মাঝে যা ফেরেশতা বা শয়তানকে বলেননি। কেনই বা খোদা মানুষকে দেখা দেয়না ? আবার বলছেন মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব । সৃষ্টির পর অন্য সকল সৃষ্টি ( ফেরেশতা /শয়তান) হুকুম করা হল সেজদা বা সম্মান করার জন্য ।

ঈশ্বরের এত প্রিয় সৃষ্টি কিন্তু তাকে ঈশ্বর কেন দেখা দেয়না ?
নাস্তিকতা অর্থ হচ্ছে ঈশ্বর না বা ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই । অর্থাৎ নাস্তিকতা হচ্ছে ঈশ্বর নিয়ে ভাবনার শেষ লাইন । নাস্তিকতা ঈশ্বর নিয়ে ভাবনার পথ শেষ করে দেয় । এক্ষেত্রে নাস্তিকদের যুক্তি যা নেই তা নিয়ে ভাবনার কি ? ভালো যুক্তি । ঈশ্বর নিয়ে ভাবনা থেকে মুক্তি ।



কিন্তু নাস্তিকতা বিষয়টি কিন্তু মানুষ সৃষ্টির শুরু থেকেই এটি নতুন বা হঠাৎ আসা কোন বিষয় নয় বরং নাস্তিকতা ধর্ম বা ঈশ্বর শক্তির জ্ঞান পাওয়ার পূর্বের বিশ্বাস যার মূল হচ্ছে ঈশ্বর নিয়ে ভাবনার সীমারেখা টেনে দেয়া। এবার যদি অন্যভাবে দেখি । মানুষ ঈশ্বর শক্তির অনুরূপ অর্থাৎ মানুষের ক্ষমতা ঈশ্বর শক্তির মতই সমকক্ষ হলে আমি কেন আমার সমকক্ষকে আমার প্রভু মানব ? এই না মানার জন্য আমাকে আগুনে পোড়ান হল আমি প্রভুত্ব মেনে নিলাম। আমি হুকুম অমান্য করায় আমাকে স্বর্গ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হল ।

স্বর্গ কি ? স্বর্গ এবং পৃথিবীর মাঝে পার্থক্য একটাই সীমাবদ্ধতা ।

স্বর্গে কোন সীমাবদ্ধতা নাই কিন্তু পৃথিবীতে সর্বদাই সীমাবদ্ধতার মাঝে জীবন। কোরআনে হুকুম করা আছে , মানুষ তুমি সীমা অতিক্রম করিওনা । যা নেই বা যা করার ক্ষমতা নেই তা নিষেধ করার কোন যুক্তি নাই । তাহলে খোদা জানেন মানুষ সীমা অতিক্রম করতে পারে । অর্থাৎ মানুষকে সীমা অতিক্রম করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

তাই মানুষকে তা করতে নিষেধ করা হয়েছে।

পৃথিবীতে মানুষ চায় সকল সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্তি । কিন্তু প্রকৃত মুক্তি কোথায় মানুষের তা আজো অজানা। হয়ত মুক্তি আকাঙ্খাই মানুষকে নাস্তিক করে তোলে ।

কিন্তু কি সেই প্রকৃত জ্ঞান যা ঈশ্বর ফেরেস্তাদের বলেননি ? আমি যা জানি তোমরা তা জানোনা।



সৃষ্টির শুরু থেকে যদি দেখি মানুষকে সৃষ্টির সবচেয়ে দুর্বল প্রাণী করা হল । পৃথিবীতে যখন এলো দুর্বল একটি প্রাণী প্রকৃতির কাছে একদম অসহায় । ধীরে ধীরে নিজের মেধা দিয়ে আগুন তারপর চাকা এখন কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরি করেছে প্রকৃতিকে অনেকাংশে করছে নিয়ন্ত্রণ । কিন্তু প্রথমে মানুষ ছিল ভীত সে আগুন, সূর্য এরপর মূর্তি পূজা করল তারপর আসল নিরাকার ঈশ্বরে । অর্থাৎ যত মানুষ তার নিজের জ্ঞানের মেধার শক্তির পরিচয় পাচ্ছে তত সে নিজের চয়ে ক্ষমতাশালী বস্তুকে পূজা ত্যাগ করছে ।

মানুষ যখন জানল আগুন সূর্য কি ? সে তা পূজা বাদ দিল সে নিজের মনের মত দেবতা বা মূর্তি তৈরি করে পূজা করা শুরু করল । যখন বুঝল এটিও যুক্তিহীন তখন আসলো নতুন অধুনা মতবাদ নিরাকার ঈশ্বর । অর্থাৎ মানুষ সেই জ্ঞান অর্জন করল যে মহাশক্তি হতে হলে আকারে থেকে সম্ভব নয়। মানুষের জ্ঞানের সীমায় কোন মহাশক্তিরই আকার নেই যেমন – আগুন, পানি, বাতাস, তাপ, গতি। অর্থাৎ মানুষের ভাবনায় আসলো আকারহীন শক্তির অস্তিত্ব ।

আকারহীন শক্তির অস্তিত্ব এবং প্রমাণ মানুষ পেল ঠিক। কিন্তু সকল শক্তি বা যে কোন শক্তি উৎপাদন বা সৃষ্টিতেই প্রয়োজন বস্তু ।

বস্তু ছাড়া কোন শক্তির অস্তিত্ব এখনো মানুষ জানেনা বা বিশ্বাস করেনা । বিশ্বাস করেনা বলা ভুল যেহেতু মানুষ প্রমাণ পায়নি বা মানুষের জ্ঞানের সীমায় নেই তাই মানুষ স্বীকার করেনা । কিন্তু আমি বিশ্বাস করি এমন শক্তির অস্তিত্ব তা হচ্ছে ঈশ্বর শক্তি নিরাকার ঈশ্বর শক্তি যে বস্তু বা পদার্থ সৃষ্টি করেছেন কিন্তু যার বস্তু বা পদার্থের প্রয়োজন নেই ।

এটি একান্তই আমার নিজের ভাবনা কোন প্রমাণ নেই আছে কিছু ধর্মীয় এবং এরিস্টটলের মত দার্শনিকদের বিশ্বাস বা যুক্তি । যা নাস্তিকরা স্বীকার করেনা কিংবা যারা নিরাকার ঈশ্বরে স্বীকার করে তারা বেশীরভাগ জানেন না বা ধারণা নেই যে তারা আসলে কি বিশ্বাস করছেন বা কি বিশ্বাস করছেন না।

যাই হোক এটি আমার কিছু ভাবনা বা বিশ্বাসের কথা । এখন আসি পূর্বের কথায় মানুষ সৃষ্টির শুরু থেকে যত নিজের মেধার পরিচয় পাচ্ছে বা জানছে সে তত বেশী নাস্তিকতার দিকেই যাচ্ছে । কারণ খুব সহজ, মানুষ নিজের মত করে নিজের চেয়ে অধিক ক্ষমতাশালী কিছু একটা বিষয় বা বস্তুর পূজা করে ।

যখন সে সেই বিষয় বা বস্তুর ক্ষমতা অতিক্রম করে ফেলে তখনই সে তাকে অস্বীকার করে । অর্থাৎ মানুষ আসলে দেবতা বা ঈশ্বরের নামে নিজের সামনে রাখছে নিজের দুর্বলতা বা পরবর্তী লক্ষ্য । সে নিবিড়ভাবে সেই ক্ষমতাকে দেখছে সেই ক্ষমতার সবলতা দুর্বলতা পুঙ্খানু পুঙ্খ দেখছে যুগ যুগ ধরে । মনে হচ্ছে সে পূজা করছে আসলে মূলত মানুষ সেই বিষয়টি বা দেবতা বা ঈশ্বরের ভিতর তার সকল মন প্রাণ নিয়ে ঢুকে পরছে। যখন পুরো বিষয়টি মানুষ জেনে ফেলছে তখনই সে তার ভুল বুঝতে পারছে এই বিষয়টি তার সমকক্ষ নয় বা তার চেয়ে অধিক ক্ষমতাশালী নয় ।

ফলে সে তা ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে । এভাবে সৃষ্টির পর থেকে যত বিষয় বা বস্তুকে মানুষ পূজা করেছে সবগুলোই ছিল মানুষের চেয়ে কম ক্ষমতাশালী । ফলে কিছু মানুষ স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেছে ঈশ্বর নেই, আর তাদেরকেই বলি নাস্তিক । কিন্তু কিছু মানুষ এখনো সেই জ্ঞান অন্বেষণে মানুষের চেয়ে ক্ষমতাশালী কি আছে কোথায় আছে ? এরাই আস্তিক । মহামতি বুদ্ধ বলেছেন ,WHAT YOU THINK YOU BECOME- তুমি যা ভাবো, তুমি তাই হবে।

আমার যুক্তি বুদ্ধর এই বাণীর সমর্থন করে।

এখন মানুষের সামনে মানুষ নিয়ে এসেছে আকারহীন বা নিরাকার ক্ষমতা বা শক্তিকে। সে তার পুরো জ্ঞান দিয়ে পূজা করছে যুগ যুগ ধরে সে পর্যবেক্ষণ করছে এই শক্তিকে । পদার্থ থেকে সৃষ্ট শক্তি এখন মানুষের আয়ত্তে মানুষ এখন অন্বেষণে নিরাকার পদার্থহীন শক্তির যার পূজা সে করছে।

শক্তিগুলোর মাঝে কেবল আগুন দৃশ্যমান ।

কিন্তু আগুনের জন্য চাই বস্তু। কিন্তু এই আগুন থাকবে কিন্তু প্রয়োজন নেই কোন বস্তু বা পদার্থের। অর্থাৎ নিরাকার এবং পদার্থহীন , বস্তু পূর্ব শক্তি অর্থাৎ যে শক্তি বস্তুর পূর্বে অস্তিত্বশীল । আমি সেই শক্তির কথাই বলছি।
আস্তিক বা ঈশ্বর শক্তি বিশ্বাসীরা মূলত মানুষের চেয়ে অধিক ক্ষমতার সত্তা বা শক্তির অন্বেষণে ।

এটি কি সৃষ্টির মূল লক্ষ্য ? ঈশ্বরের সেই বাণী , আমি যা জানি তোমরা তা জানোনা । এমন একটি সত্তা তৈরি করা যে কেবল তার বিশ্বাস দিয়ে জানবে বা জ্ঞান অর্জন করবে নিজেকে এবং নিজের চেয়ে বহুগুনে ক্ষমতাশালী অস্তিত্ব বা সত্তাকে ঈশ্বর শক্তিকে। আর তাই মানুষের ভাবনার ক্ষমতাকে দেয়া হয়েছে মুক্তি সে যতদুর ইচ্ছা যেদিকে ইচ্ছা যেতে পারে , ভাবতে পারে। কিন্তু তার সামনে কোন প্রমাণ থাকবেনা, থাকবে কেবল তার বিশ্বাস বা ভাবনা ক্ষমতা।


যে জ্ঞান মানুষকে দেয়া হয়নি তা আমি কিভাবে জানব ? কেন সে চেষ্টা করছি ? কারণ মানুষকে সৃষ্টি করাই হয়েছে জানার জন্য জ্ঞান অর্জনের জন্য ।

সেই জ্ঞান যা মানুষকে জানাবে তার চেয়ে ক্ষমতাশালী সত্তার অস্তিত্ব ।

যদি থাকে তাহলে আমার বিশ্বাস বা ভাবনা অনুযায়ী সেই ঈশ্বর শক্তি । যদি না থাকে তাহলে মানুষই ঈশ্বর কারণ সেই সবচেয়ে ক্ষমতাবান । অর্থাৎ নাস্তিকরা আস্তিকদের চেয়ে বেশী জ্ঞানী তারা আগেই জেনে ফেলেছে সত্য। অথবা তারা ভুল জেনেছে ।


ধর্ম মতে কেয়ামত বা পৃথিবী ধ্বংসের সময় একজন আস্তিকও থাকবেনা । আমার ধারণা মানুষ তার মেধার বা জ্ঞানের এমন পর্যায়ে যাবে যখন প্রকৃতির বা মানুষের জ্ঞানের সীমায় এমন কিছু থাকবেনা যা মানুষের চেয়ে বেশী ক্ষমতাবান । অর্থাৎ মানুষ তার জ্ঞান দিয়ে তার জ্ঞানের সীমায় যা আছে সকল কিছু জানবে । খুব স্বাভাবিক তখন এই প্রকৃতির কোন প্রয়োজন নেই । কারন মানুষের প্রকৃতি জয় বা প্রকৃতির জ্ঞান অর্জন শেষ ।

হয়ত কেয়ামতের সময় যে শেষ মানবগোষ্ঠী থাকবে তারা হয়ত পুরো মানব জাতির মধ্যে প্রকৃতির বিষয়ে সবচেয়ে পারদর্শী হবে। একটি ধূলিকণা থেকে আকাশের বিদ্যুৎ অর্থাৎ মানুষের জানার সীমায় এমন কিছু থাকবেনা যা তার আয়ত্তে থাকবেনা।

যুগ যুগ ধরে চলবে মানুষের এই প্রকৃতি জয় তার মাঝে মানুষ খুঁজবে তার চেয়ে ক্ষমতাশালী বিষয় বা ঈশ্বর শক্তির অস্তিত্ত । কিন্তু মানুষ ঈশ্বর শক্তিকে বাস্তবে বা যেভাবে মানুষ চায় সেভাবে ঈশ্বরকে পাবেনা । অনাদিকাল মানুষ তার সকল মেধা শক্তি দিয়ে খুঁজবে ঈশ্বর শক্তি বা মহাশক্তি কিন্তু পাবেনা ।



মুসা নবী জেদ ধরেছিলেন খোদা তোমাকে দেখতে চাই । খোদা বলেছিলেন মুসা তুমি দেখতে পারবেনা । মানুষ তার শারীরিক সীমাবদ্ধতার কারণেই ঈশ্বর শক্তি শারীরিক অবয়বে পর্যবেক্ষণ সম্ভব নয়। অতি শক্তিশালী রশ্মি বা আলো দেখতে আলাদা বিশেষ ধরনের গ্লাস ব্যবহার করতে হয় কিন্তু এর চেয়েও বহু কোটি গুন বেশী বা অনাদিগুন বেশী শক্তির আলো কি মানুষ তার শারীরিক অবয়বে দেখতে পারবে ??? বা শব্দের গতি কি মানুষের এই শারীরিক অবয়বে কোন বিশেষ কৌশল ছাড়া সহ্য করতে পারবে ????

অর্থাৎ মানুষ যখন প্রকৃতির ধুলি কণা থেকে আকাশের বিদ্যুৎ পর্যন্ত আয়ত্তে নিল তখন মানুষ ভাবল সেই ঈশ্বর শক্তি বা মহা শক্তি সে সব নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তার কোন সীমাবদ্ধতা নাই তখন আসলো ধ্বংস বা কেয়ামত মানুষকে সেই জ্ঞান দেয়া মানুষ তুমি সীমাবদ্ধ।

একটা গল্পে পেয়েছিলাম মানুষ উন্নতির ধারাবাহিকতায় এমন পর্যায়ে গেল মানুষ তার আকৃতি পরিবর্তন করে দিল ।

যেহেতু ব্রেইন বা মগজ সকল অনুভূতির কেন্দ্র তাই মানুষ শুধু মগজটুকু রেখে নিজের বাকী শরীর ত্যাগ করে দিল । এটি কাল্পনিক কিন্তু বিষয়টি একদম অবাস্তব বা সম্ভব নয় আমি মনে করিনা।

কিন্তু এই কল্পনাটিকে যদি আরও একটু গভীরে নিয়ে যাই , মানুষ আত্মার খোঁজ পেয়ে গেল নিজের আত্মাকে মানুষ খুঁজে পেল তার মেধায় যা তার সেই আরাধ্য কামনা, হাজার বছরের সাধনার জ্ঞান, আকারহীন বস্তুহীন শক্তির অস্তিত্ব, যাকে কেবল মানুষ কল্পনা করেছে ঈশ্বর শক্তিকে নিয়ে । তাই মানুষ পেয়ে গেল নিজের মাঝে । আমার ধারণা আত্মা আকারহীন বস্তুহীন এক শক্তি।



মানুষ কেবল তার আত্মাকে রেখে পুরো শরীর ত্যাগ করল বা তখন মানুষ পেয়ে গেল সৃষ্টি পূর্বের মানুষের কামনা মুক্তি । শারীরিক অবয়ব থেকে মুক্তি । তখন এই পৃথিবীর আর কি প্রয়োজন ? মানুষের তখন আর কি কাজে লাগবে পৃথিবী ? মানুষ কি তখন নিজেই ধ্বংস করে দিবে পৃথিবী বা মহাজগতে বা বস্তু জগতে যা কিছু সব আর তাই কি ধ্বংস ? এটাই কি কেয়ামত? মানুষ নিজেই নিভিয়ে দিবে সব আলো ? কি করবে মানুষ তখন ? তখনও কি মানুষ দেখা পাবে ঈশ্বর শক্তির ? কোথায় মানুষের জ্ঞানের সীমা ?

চলুন ঘুরে আসি বস্তুহীন জগতে, মানুষ পেয়ে গেল তার জন্ম পূর্বের আকাঙ্খা মুক্তি শারীরিক অবয়ব থেকে মুক্তি। বাস্তব জগতেই মানুষ পেয়ে গেল পৌঁছে গেল বস্তুজগত সৃষ্টির পূর্বের সেই আকাঙ্খা আত্মার পরিচয় । মানুষ নিজেকে পেয়ে গেল তখন এই বস্তুজগতে কি মানুষ থাকবে ? কেন থাকবে ? কি প্রয়োজন তখন এই বস্তুজগতের ? কারণ তখন মানুষ নিজেই এক শক্তি।

আজ যেমন আমি বলছি ঈশ্বর শক্তি সেদিন মানুষের সেই আত্মার পরিচয় হবে, মানুষ শক্তি । ঈশ্বর শক্তি বলার কারণ “ঈশ্বরের শক্তি” আমি ঠিক মনে করি না আম মনে করি ঈশ্বর একটি শক্তির নাম । তেমনি আত্মাও একটি শক্তি। সেদিন হয়ত মানুষ পাড়ি দেবে নতুন কোন জ্ঞানের সন্ধানে ।

তখন কি মানুষ পাবে তার সৃষ্টিকর্তাকে ঈশ্বর শক্তিকে ? হয়ত হ্যাঁ হয়ত না ।

যদি হ্যাঁ হয় তখন মানুষ হয়ত পাবে নতুন কোন জ্ঞানের সন্ধান বাস্তব জগতের মতই অন্য কোন জগত । পৃথিবীতে একটি শিশু যেমন ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর অনেক জিজ্ঞাসা নিয়ে চোখ মেলে এবং মৃত্যু পর্যন্ত তার সেই জিজ্ঞাসা থাকে । তেমনি ঈশ্বর শক্তির পরিচয় যদি মানুষ পায় তেমনি অনেক অনেক জিজ্ঞাসা নিয়ে মানুষ শক্তির নতুন এক পথ চলা শুরু হবে সেদিনও মানুষের লক্ষ্য ঈশ্বর শক্তিকে জানা । বস্তুজগত থেকে ভিন্ন কিন্তু অনেক বেশী জ্ঞানের জগত । সেই জগতে থাকবে শুধু জ্ঞান আর কিছুই নয়।

মানুষের আত্মার চির তৃষ্ণা, জ্ঞান।

কিন্তু যদি ‘না’ হয় মানুষ শক্তি যদি তখনও ঈশ্বর শক্তির পরিচয় না পায় তাহলে ? কিছু মানুষ বিশ্বাস করবে আসলে মানুষই বা আত্মাই ঈশ্বর। আকারহীন বস্তুহীন শক্তি আত্মাই ঈশ্বর যার পূজা তারা করেছে। কিছু মানুষ হয়ত তখনও অন্বেষণে থাকবে ঈশ্বর শক্তির । অর্থাৎ দিকহীন মানুষ শক্তি যদি কোন সঠিক পথ খুঁজে না পায় তাহলে মানুষ শক্তির এই মুক্তির এই জ্ঞানের লক্ষ্য কি? লাভই বা কি? তখন কেউ বলবে ঈশ্বর আছে কেউ বলবে নাই ।

তখন এক দল বলবে আমরাই ঈশ্বর আরেক দল বলবে না আমরা ঈশ্বর না । যারা ঈশ্বর না বলবে তাদের যুক্তি ঈশ্বর এক কিন্তু মানুষ শক্তি এক না অনেক । যারা বলবে মানুষ শক্তিই ঈশ্বর শক্তি তারা বলবে মানুষের চেয়ে শক্তিশালী আর কিছু নেই ঠিক যেভাবে আজ বলে মানুষের চেয়ে বুদ্ধিমান কোন প্রাণী নেই। নিজের শ্রেষ্ঠত্বের অহং এ মানুষের দাবী সে স্বয়ং ঈশ্বর । এখানেও ইসলামের সূত্র যদি দেখি “মানুষ আমার অনুরূপ”।

আমার বিশ্বাসও তাই আত্মার শক্তি অভাবনীয় যা আমাদের ভাবনার সীমার মাঝে নেই যেদিন আত্মার পরিচয় পাবো সেদিন হয়ত বুঝব। আর তাই মানুষ সৃষ্টির পর সকল সৃষ্টিকে হুকুম করা হয়েছিল , মানুষকে সেজদা কর ।

আমার নিজের সেই আগের সূত্রে যদি যাই তাহলে কি পাই ? মানুষ ঈশ্বর বা দেবতা পূজার নামে নিজেই নিজের সামনে দুর্বলতা তুলে ধরে তারপর শুরু করে তার পূজা । এক দল তাদের সামনে নিয়ে আসবে এক ঈশ্বর শক্তি কে আর পূজা করবে অর্থাৎ তার অস্তিত্ব খজুবে কারণ এটি বস্তু জগতের সূত্র ঈশ্বর এক । আরেক দল নিজেই বানাতে বসবে পৃথিবী বা বস্তু জগত ।

কারণ ঈশ্বর বলেছেন মানুষ আমার অনুরূপ অর্থাৎ মানুষের শক্তি আমার অনুরূপ। কি অদ্ভুত তখন গান হবে আমরা সবাই ঈশ্বর।

যে যার মত করে তৈরি করবে বস্তুজগত। যার কল্পনা শক্তি ভাবনা শক্তি যত প্রখর সে তত সুন্দর নিখুঁত বস্তুজগত বানাবে । আজ এই বস্তু জগতেও কিন্তু যার কল্পনা এবং ভাবনা শক্তি যত প্রখর সে তত নিখুঁত ভাবে নিজের জীবন কাটায়।

কি অদ্ভুত মিল বস্তু জগত আর বস্তুহীন জগতেও একই সূত্র। কিন্তু আজকের মত তখন মানুষে মানুষে দন্দ হবেনা গ্রহ নক্ষত্র নিয়ে কারণ মানুষ নিজেই তখন এমন বহু গ্রহ নক্ষত্র বা বস্তু জগতের সকল কিছু বানাতে পারবে । আর প্রতিটি মানুষই তা করবে নিজের মাঝে নিজের আত্মা শক্তির মাঝে আজ যেমন ঈশ্বর তার নিজের মাঝেই তার আপন খেলা খেলছে। ঈশ্বর তার নিজের মাঝেই সকল খেলা খলেছে এটি আমার একান্ত বিশ্বাস। যদি মানুষ তার আত্মা শক্তির খোঁজ পায় ঠিক অনুরূপ সেও তার নিজের মাঝেই খেলবে আপন খেলা।

এবার যেহেতু আমি এক ঈশ্বরে বিশ্বাসী তাই বলব মানুষের এই সকল ঈশ্বর ঈশ্বর খেলা চলবে আজকের মতই সেই এক ঈশ্বর শক্তির মাঝেই। কি অদ্ভুত ভাবনা ! ঈশ্বর শক্তির মাঝে হাজার ঈশ্বর বানাতে বসবে হাজার জগত ।

মানুষ শক্তি বা আত্মা তখন বস্তু জগত বানাতে বসবে কারণ তার কাছে বস্তু জগতের জ্ঞান ছাড়া আর কিছু নেই। তখন হয়ত মানুষ শক্তি বা আত্মা বুঝবে ঈশ্বর শক্তি হতে কি লাগে ? কারণ মানুষ তখন নিজেই নতুন ঈশ্বর কিন্তু ঈশ্বরের নিখুঁত জ্ঞান তার নেই, তাই সে তার সৃষ্টিতে অসংখ্য ভুল করবে। যারা তখনও বস্তুহীন জগতে ঈশ্বরের পূজারী তারা পাবে নতুন যুক্তি, মানুষ শক্তি ঈশ্বর শক্তি নয় কারণ ঈশ্বর এক এবং তার সৃষ্টি নিখুঁত।



আমার বিশ্বাস পৃথিবীর সকল কিছুই শক্তি যা কেবল রুপান্তরিত হচ্ছে এক রূপ থেকে অন্য রূপে । পৃথিবী সৃষ্টির পূর্বে এটি ছিল প্রচণ্ড শক্তির আঁধার নক্ষত্রের অংশ এক সময় ঠাণ্ডা হয়ে হয় গ্রহ এবং তা থেকে অন্য সকল বস্তুগত বিষয় কিন্তু আসলে তা শক্তির রুপান্তরিত রূপ। কোন কিছুরই শেষ নেই যা আছে তা কেবল রূপান্তর মাত্র। শক্তির স্থির কোন রূপ নেই শক্তি রুপান্তরিত হয় এটি শক্তির আরেকটি ধর্ম।

মানুষ পৃথিবী থেকে বহু কোটি বছর দূরের নক্ষত্র যাকে বলি তারা তার মিটি মিটি দেখে পুলকিত হয় ।

কিন্তু এই তারাটির একবার মিট মিট করায় কি পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয় তার হিসাব কি মানুষের আছে ? হয়ত এই তারাটির একবার মিট মিট করার নির্গত শক্তি দিয়ে পৃথিবীর কয়েকশ বছরের সূর্যের আলোর শক্তির সমান । যারা ঈশ্বরকে চাক্কুস দেখতে এবং প্রমাণ পেতে চায় তাদের জন্য একটি প্রশ্ন হতে পারে, এই পুরো শক্তি যদি এক সাথে পৃথিবীর উপর আসে তাহলে পৃথিবীর ছাইটুকু কি খুঁজে পাওয়া যাবে ???? আর আমার মতবাদ অনুযায়ী যার বা যে শক্তির মাঝে এমন অনন্ত সংখ্যার নক্ষত্র বিরাজমান তার প্রমাণ এক ক্ষুদ্র মানুষ চায় তাকে চাক্ষুস দেখতে !!!!! শারীরিক অবয়বে তা কি সম্ভব ??? ভাবনা বা অনুভবের ক্ষমতা বলে হয়ত অনুমান অনুভব করা সম্ভব এর বেশী কিছুই না ।

এক একটা ছায়া পথে অনন্ত গ্রহ নক্ষত্র , আবার ছায়াপথের সংখ্যা অনন্ত এই পুরো বিষয়টিই বিরাজমান ঈশ্বর শক্তির মাঝে ।
এই অনন্ত বিশালতা, মানুষের জ্ঞানের সীমার বাইরের সংখ্যা বা পরিমাপের হিসাবের শক্তির মাঝে এক ক্ষুদ্র গ্রহ পৃথিবী। আর পৃথিবীর মাঝের এক প্রাণী মানুষ ।

পৃথিবীতে বস্তুর ক্ষুদ্রতার শেষ প্রোটন, নিউটন, পজিট্রনের ভেতর আরও যদি কিছু কণা থাকে তাহলে সেই ক্ষুদ্রতার সাথেও কি এই ঈশ্বর শক্তির বিশালতার মাঝে মানুষের অস্তিত্ব তুলনীয় ???? না তার চেয়েও বহু ক্ষুদ্র!! আহা মাটির মানুষ , কি জানো তুমি? কতটুকু? তাই নিয়ে বল ঈশ্বর কে ? হয়ত এক সময় বলবে আমিই ঈশ্বর যেভাবে নমরুদ বলেছে ।
কত টুকু বিশালতা জানো তুমি ? কতটুকু বিশালতা অনুভব করো তুমি ? কত টুকু বিশালতা নিজের মাঝে নিতে পারো ?

বিশালতা মানে সীমাহীন বা অনন্ত কিন্তু তা নিজের মাঝে নেয়া বা অনুভবের জন্য তোমাকে অবশ্যই এই সীমাহীন অনন্ত বিশালতারও একটি সীমারেখা টেনে দিতে হবে, নাহলে তুমি হারিয়ে যাবে বিশালতার মাঝে। কিন্তু অনুভব করতে পারবেনা । আর সেই সীমা রেখাটি হচ্ছে ঈশ্বর , ঈশ্বর শক্তি । ঈশ্বর শক্তি দিয়ে রেখা টেনে তার মাঝে নিয়ে আসো জ্ঞানের বা বিস্ময়ের সীমাহীনতা অনন্ত বিশালতা ।

দেখো পারো কিনা ? অনুভব কর । কারণ ওটাই এক মাত্র পথ যার নাম ভাবনা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.