আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অধিনায়কত্ব উপভোগই করছেন মুশফিক!

অধিনায়কত্ব সবসময়ই উপভোগ করেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশ বাজে অবস্থায় আছে বলেই অধিনায়কত্ব তাঁর জন্য চাপ হয়ে যাচ্ছে—এমনটা ভাবছেন না টাইগার অধিনায়ক। বরং তীরহারা দলকে ঢেউয়ের সাগর পার করানোর কাণ্ডারিই হতে চান তিনি। তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারটি তিনি ছেড়ে দিতে চান বোর্ড এবং প্রশাসকদের ওপরই।


‘খারাপ সময়েই দলের অধিনায়কত্ব করতে চাই।

খারাপ সময়ে যদি দায়িত্ব ছেড়ে দিই, সেটা হবে বোকামি। দেশের অধিনায়কত্বকে আমি খুব বড় সম্মান মনে করি। আমি প্রতিটি ম্যাচেই চেষ্টা করি ভুলগুলো শুধরে নিতে। ভালো সময়ে কেউ মনে রাখে না। খারাপ সময়ে যদি অধিনায়ক থেকে দলের উত্তরণ ঘটাতে পারি, সেটাই হবে সফলতা।

হ্যাঁ, গত দুই মাস ধরে আমাদের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। কিন্তু এটাই তো সবকিছুর শেষ না। এরপরেও যদি পরিবর্তন আসে, সেটা আমি বোর্ডের ওপরই ছেড়ে দিতে চাই। ’
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকুর রহিম নিজের অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গে এই কথাগুলোই বললেন।

আজ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে দলের ব্যাটিংয়ের ‘উন্নতি’ দেখছেন মুশফিক।

১০৮ এবং ৯৮—এই দুটো যাচ্ছেতাই স্কোরের পর আজকের ১৩৮-কে মুশফিক ‘উন্নতি’ বলতেই পারেন। তবে অধিনায়কের আক্ষেপটা থেকেই যাচ্ছে, ‘স্কোরবোর্ডে আজ আমরা কমপক্ষে দেড়শ তুলতে পারতাম। কিন্তু শুরুতেই তিনটি উইকেট পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের উন্নত মানের স্পিন আমাদের সে লক্ষ্যে পৌঁছতে দেয়নি। শেষের দিকে যদিও হাতে উইকেট ছিল, কিন্তু স্কোরটাকে বাড়িয়ে নিতে পারিনি। তারপরেও এটা তো কিছুটা উন্নতিই।

ব্যাটিংটা তো আগের অবস্থা থেকে ভালো হয়েছে। তবে এখন আমাদের এমন একটা সময় যাচ্ছে, যখন কোনোকিছুই ঠিকমতো কাজ করছে না। ’

গত ম্যাচে মুমিনুল হক খেলেছিলেন। আজ তিনি ডাগ আউটে। হঠাত্ সাব্বির রহমানকে বসিয়ে দিয়ে শামসুর রহমানকে খেলানো হলো।

গত ম্যাচে নাসিরকে বসিয়ে আজ আবার তাঁকে ফেরানো হলো। বাংলাদেশ দলের একাদশ নির্বাচনের ধারাটা আসলে কী, সে প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে ব্যাখা চাওয়া হয়েছিল মুশফিকের কাছে। মুশফিক উত্তরটা দেওয়ার জন্য যেন তৈরি হয়েই এসেছিলেন, ‘সেরা একাদশ নির্বাচনে আসলে চিন্তা করতে হয় প্রতিপক্ষ, কোথায় খেলা হচ্ছে, আর খেলার কন্ডিশনটা নিয়ে। সে হিসেবে আজ তো রিয়াদ ভাইয়ের (মাহমুদউল্লাহ) খেলারই কথা না। উনি সর্বশেষ কয়েকটা ম্যাচে খুব বাজে খেলেছেন।

মুমিনুল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি। গত ম্যাচে ওকে খেলানো হয়েছিল কারণ রাজভাই খেলেননি (আবদুর রাজ্জাক)। আমাদের ভাবনাটা ছিল গেইল যদি আগে-ভাগে আউট হয়ে যায়, তাহলে মুমিনুলের বামহাতি স্লো বোলিংটা ব্যবহার করা। নাসিরকে গত ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। আমরা চেষ্টা করি দলে বেশি পরিবর্তন না আনতে।

তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা টপ অর্ডার। টপ অর্ডারকে ভালো খেলতেই হবে। ’

সাকিব আল হাসানের ফর্মহীনতা ক্ষণিকের সমস্যা বলেই মনে করেন মুশফিক। তাঁর প্রত্যাশা, খুব তাড়াতাড়িই সাকিব নিজেকে ফিরে পাবে, ‘সাকিব চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার। ওর ফর্মে ফেরাটা দুই-একটা ম্যাচের ব্যাপার।

গত দুই ম্যাচে সে ভালো খেলেনি। ও ফর্মে ফিরবেই। ওকে নিয়ে কোনো ভাবনা নেই। আরও তো দুটো ম্যাচ আছে। ’



সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.