আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যাত্রী ভাড়া বাড়াবেন না

ট্যাঙ্কি্যাবের ভাড়া দ্বিগুণ বাড়ানোর পর সিএনজি স্কুটারের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিআরটিএ সূত্রের বরাত দিয়ে সহযোগী দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে ভাড়া বাড়ানোর যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তাতে প্রথম দুই কিলোমিটারের ভাড়া ২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৭ টাকার বদলে ১২ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যানজট বা অন্য কারণে অপেক্ষমাণ সময়ের জন্য মিনিটে এক টাকা ৫০ পয়সার বদলে দুই টাকা করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিআরটিএর কাছে দেওয়া ওই প্রস্তাবে সিএনজি স্কুটারের দৈনিক জমা ৬০০ টাকার বদলে ৯০০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। বিআরটিএর সঙ্গে এ ব্যাপারে সিএনজি মালিকদের সমঝোতার আভাসও দেওয়া হয়েছে পত্রিকান্তরের প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, সিএনজির জমা ৮৫০ টাকা এবং যাত্রী ভাড়ায় সামান্য রদবদল ঘটিয়ে বিআরটিএর পক্ষ থেকে অচিরেই যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হবে। সিএনজি স্কুটারের ভাড়া বৃদ্ধির পাঁয়তারা সাধারণ যাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদের নামান্তর। রাজধানীর মধ্যবিত্তের এক বড় অংশ যাতায়াতের ক্ষেত্রে সিএনজি স্কুটারের ওপর নির্ভরশীল। ভাড়া বৃদ্ধি তাদের জন্য বাড়তি ব্যয়ের ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। এ মুহূর্তে সিএনজি স্কুটারের সরকার নির্ধারিত ভাড়া আর বাস্তবের মধ্যে পার্থক্য আকাশ-পাতাল। দ্বিগুণ ভাড়ার নিচে কোনো সিএনজি স্কুটারে যাত্রী বহন করা হয় না। ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব কার্যকর হলে ঘোষিত ভাড়ায় যাত্রী বহন করা হবে তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। সিএনজি স্কুটার চালকদের অভিযোগ, মালিকরা তাদের কাছ থেকে ঘোষিত জমার চেয়ে অনেক বেশি অর্থ আদায় করেন। মালিকদের চাহিদা মিটিয়ে নির্ধারিত ভাড়ায় সিএনজি চালানো কোনোভাবে সম্ভব নয়। সঙ্গত কারণেই বলা যায়, সিএনজি স্কুটার মালিকদের আবদার অনুযায়ী যাত্রী ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলে তা জনস্বার্থবিরোধী বলে বিবেচিত হবে। আমাদের মতে, রাজধানীর সিএনজি স্কুটারের ভাড়ার ক্ষেত্রে যে নৈরাজ্য বিরাজ করছে, তার অবসানে স্কুটার মালিকদের যথেচ্ছতা বন্ধ করা দরকার। চালকদের সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ দিয়ে সিএনজি স্কুটার কেনার সুযোগ দেওয়া হলে সাশ্রয়ী ভাড়ায় তাদের পক্ষে যাত্রী বহন করা সম্ভব হবে। সিএনজি স্কুটার মালিকদের দৌরাত্দ্যও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.