আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গণমাধ্যমে চলছে ব্রডদের মুণ্ডুপাত

শুরুটা হয়েছিল সেই অ্যাশেজ সিরিজ থেকে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ধবলধোলাই হওয়ার মধ্য দিয়ে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায়ের পর ইংলিশ সমর্থকদের হতাশা বেড়ে গিয়েছিল আরও বহুগুণ। কিন্তু ইংল্যান্ড ক্রিকেট অঙ্গনের লজ্জাজনক এ অধ্যায়টির সমাপ্তি যে তখনো হয়নি, সেটা বোঝা গেল গতকাল। যখন আইসিসির সহযোগী সদস্য হল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৫ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো ইংল্যান্ডকে।

ব্যর্থতা আর হতাশার ঝুলিতে যেটুকু ফাঁকা জায়গা ছিল, সেটাও কানায় কানায় পূর্ণ করে দেশের পথ ধরল ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা।

হল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটির আগে স্টুয়ার্ট ব্রড বলেছিলেন, সেমিফাইনালে যেতে না পারলেও মাথা উঁচু করে দেশে ফেরার মতো অনেক কিছুই অর্জন করেছেন তাঁরা। হ্যাঁ, খুব একটা বাড়িয়ে হয়তো বলেননি ইংল্যান্ড অধিনায়ক। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা বৃষ্টির বাধার মুখে না পড়লে ফলাফল ভিন্নও হতে পারত। দ্বিতীয় ম্যাচে তো তারা হারিয়েই দিয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে।

আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৯৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হেরেছিল মাত্র ৩ রানে। কিন্তু ব্রডদের সব ‘অর্জন’ যে শেষ হয়ে গেল এই একটা ম্যাচেই। হল্যান্ডের মতো ‘চুনোপুঁটি’র বিপক্ষে হারটা কী আর মেনে নিতে পারবেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেট সমর্থকেরা? সন্দেহ নেই তীব্র সমালোচনার মুখেই পড়তে হবে ব্রড, ব্রেসনানদের। দেশে ফেরার পর পরিস্থিতিটা কেমন হবে তার একটা ইঙ্গিত হয়তো এখনই পেতে শুরু করেছেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা। দেশটির পত্রপত্রিকাগুলো রীতিমতো মুণ্ডুপাতই করছে ইংল্যান্ডের এই টি-টোয়েন্টি দলের।



টেলিগ্রাফ পত্রিকার ম্যাচ রিপোর্টে জনাথন লিউ লিখেছেন, ‘সম্ভবত এখন আমরা বলতে পারি যে ইংল্যান্ড জানত তারা এত দিন ধরে কী করছে। দীর্ঘদিন ধরেই তাদের দেখা যাচ্ছে একটা হারতে থাকা দল হিসেবে। কিন্তু হল্যান্ডের বিপক্ষে এরকম করুণ ও নির্বোধের মতো হারের পর আরও স্পষ্ট কিছু দেখা যাচ্ছে। এটাই একটা দলের চূড়ান্ত পরিণতি, যারা ক্রমাগত হারতে থাকাকেই নিজেদের অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছে আর সেটার জন্যই নিজেদের সবকিছু উত্সর্গ করছে। ’

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘আপনি যখনই ভেবেছিলেন যে আর লুকিয়ে থাকার দরকার নেই, তখনই অন্ধকারাচ্ছন্ন এই মৌসুমে ইংল্যান্ড তাদের শেষ ভৌতিক প্রদর্শনীটি উপহার দিল।


হল্যান্ডের বিপক্ষে হারটির পর সত্যিই লজ্জাজনক বেশ কিছু রেকর্ডও সঙ্গী হয়েছে ইংল্যান্ডের। সেগুলোর একটা খতিয়ানও তুলে ধরেছে ডেইলি মেইল। টি-টোয়েন্টিতে গতকালের ৮৮ রানই ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ। এর আগে ২০১২ সালে তারা ভারতের বিপক্ষে করেছিল ৮০ রান। হল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৫ রানের এ হারটাই ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের নতুন রেকর্ড।

আইসিসির পূর্ণ সদস্য আর কোনো সহযোগী সদস্যের মধ্যে খেলায় এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার।

হল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দুটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই হারের মুখ দেখেছে ইংল্যান্ড। গার্ডিয়ান পত্রিকার প্রতিবেদনের শুরুটা হয়েছে এদিকটা ইঙ্গিত করেই, ‘টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে হল্যান্ড। সচরাচর তারা এ কাজটাই করে। পাঁচ বছর আগে লর্ডসের খেলাটা গিয়েছিল শেষ বল পর্যন্ত।

কিন্তু এবারের ম্যাচটা কাছাকাছিও গেল না। তিন বিভাগেই নাস্তানাবুদ হয়ে ৪৫ রানে হারল ইংল্যান্ড। ’

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.