আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইমোশন বাই ফোর স্কয়ার...

এমন একটা সময় ছিলো যখন কাউকে কোন কিছু ফ্রিতে দিতে পারলে খুব মজা লাগতো।
কোর সফ্টওয়ার, মুভি, গান। এইসব। ফেসবুকে যেই হেল্প চেত তাকেই হেল্প করতে ভালো লাগতো।
কারো একটা বই দরকার।

তাকে অনলাইন থেকে বইটা খুজে দিলাম।
কতজনকে যে কত গিগা-টেরা ফাইল দিয়েছি তার কোন হিসাব নাই।
কত জনকে যে কত ভাবে সাহায্য করেছি সেটা হয়তো কিছুটা মনে আছে।

আগে বিনিময় পাওয়ার আশা কনতাম না। এ নিয়ে কোন চিন্তাও করতাম না।


কিন্তু এখন ব্যাপারটা এমন আর নেই। দিন যাচ্ছে, বয়স বাড়ছে। স্বাবলম্বি হওয়ার চিন্তাটা মাথায় বেশি বেশি কনে ঘুরছে।
পড়াশুনা শেষ হয়নি। কিন্তু কত দিন আর বাবার ঘাড়ে চলা।

মাসে দুবার করে বাবার কাছে টাকা চাইতে আর ভালো লাগে না।

আগে এই রিয়ালাইজেশনটা তেমন কাজ করতো না।
সম্প্রতি কিছু ঘটনা বা ঘটনা প্রবাহ এই জিনিসটা প্রকট করে তুলেছে আমার কাছে।
ধরা যাক, আমি অনেক দিন থেকে অনেককে অনেক ভাবে তাদের কিছু সমস্যায় হেল্প করে আসছি।
কিন্তু কখনও বিনিময় চাইনি।

আমার সাহায্য করতে ভালো লাগতো আমি সাহায্য করতাম।
এখন যখন হঠাৎ আমার সাহায্য দরকার হেলো তখন তাদের কাছে সাহায্য চাইলাম।
এবং সেটা ফ্রিতে চাইলাম না। কাজের বিনিময়ে চাইলাম, কিন্তু উল্ট প্রতিক্রিয়া পেলাম তখন আসলে
নিজের উপরেই ক্ষোভ হতে থাকলো। আমি এত বোকা !!!
এদেরকে সারভিস দিয়ে গেছি !!!

অমাদের নজরুল স্যার ঠিক কথাই বলতো।

“কারো কাছ থেকে ফ্রিতে কোন কাজ করে নিবা না, ফ্রিতে কাজ করবাও না”।
সম্পর্ক, ভালো বন্ধুত্ব, জানাশোনা এসব ঠিক আছে। কিন্তু কাজেরও তো একটা মূল্য আছে।
সো, আমি যখন সেটা চেয়ে বসছি তখনই সমস্যাটা সৃষ্টি হচ্ছে।

আরো কিছু ব্যাপার আমার মনে দাগ কাটতে শুরু করেছে।


সম্প্রতি ফ্রিল্যানসিং এর কাজ শেখার চেষ্টায় আছি। আনেকের কাছে হেল্প চাইলাম। কেউই ঠিক ডাইরেক্টলি হেল্প করলো না।
কেউ উপদেশ দিলো। কেউ গুগল মামার পরামর্শ নিতে বললো।

কেউ প্রথমে লক্ষ্য ঠিক করতে বললো, যেটা করতে চাও সেটা বাদে
বাকি সব ভুলে যাও, এই টাইপ উপদেশ।
কেউ অভিগ্যদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো, কেউ টিউটোরিয়াল দিয়ে সাহায্য করলো। এটা অবস্য বিশাল হেল্প।
কেউ বই দিলো। বইতে প্রচুর YouTube লিংক দেওয়া।


কারো কারো হতাসা সাফল্য আবার হতাসা আবার সাফল্যের কাথা।
কারো ফ্রিল্যানসার হয়ে ওঠার কথা। ইত্যাদি নানা কথা।

আমার ক্ষেত্রে এমনটা তেমন হয়নি। যে যেখান থেকে সাহায্য চেয়েছে নিজে উৎসাহি হয়ে সাহায্য করেছি।


ডাইরেক্টলি হেল্প যেটা এটা প্রচুর কেরেছি। ফ্রিল্যানসিং যে কেউ আমাকে ডাইরেক্টলি হেল্প করেনি এটা মোটেও আমার হতাস বা ক্ষোভান্নিত করে না।
কেননা এ কথা মহা সত্য যে “নিজেকে হেল্প করাই সবচেয়ে বড় হেল্প”.......
তো যা হোক, আমিও হয়তো একদিন বুঝতে পারেবো কেন সরাসরি হেল্প পাইনি এই বিষয়ে।

পুনশ্চ: আর্টিকেল লেখা শুরু করলাম। দোয়া করবেন যেন ইংরেজিতেও এমনিই যাকে বলে “ফস ফসে” লিখতে পারি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।