আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নারায়নগঞ্জে জোড়া খুন, সন্দেহের তীর নিখোঁজ তাহেরের দিকে

নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ খালঘাট এলাকার ময়দা উত্পাদন কারখানায় জোড়া খুনের ঘটনায় তাহের নামে ওই কারখানারই এক শ্রমিকের জড়িত থাকার ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। খুনের পর থেকে তাহের নিখোঁজ রয়েছে।

রবিবার সকাল পৌনে ৮টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের নিতাইগঞ্জ খালঘাট এলাকার নাইনা ফ্লাওয়ার-২ নামের কারখানা থেকে নৈশ প্রহরী আবদুল আজিজ (৫৫) ও মিলের শ্রমিক হোসেন মিয়ার (৪০) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিলের নয় জন শ্রমিককে আটক করা হয়। আটককৃতদের দেয়া তথ্যমতে দুজনের হত্যকান্ডের সাথে তাহের নামে ওই শ্রমিকের জড়িত থাকার ব্যাপারে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।

নিহত নৈশ প্রহরী আব্দুল আজিজ শহরের দেওভোগ পাইকপাড়া পানির ট্যাংকির মাওলা বক্সের ছেলে। মিল শ্রমিক হোসেন মিয়ার (৪০) বাড়ি চাঁদপুরে। তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের জানান, সকাল পৌনে ৮টায় অন্য শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিতে মিলে এসে দেখে মিল তালাবদ্ধ। শ্রমিকরা মালিককে খবর দেয়।

মালিক এসে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ৪ তলা মিলের নীচ তলায় তল্লাশি চালিয়ে অফিস রুম থেকে নৈশ প্রহরী আবদুল আজিজ ও দ্বিতীয় তলার সিড়ি কোটা থেকে শ্রমিক হোসেন মিয়ার লাশ উদ্ধার করে।

ওসি জানান, খুন হওয়া দুই জনসহ শনিবার রাতে ১২ জন শ্রমিক ওই মিলে একসাথে কাজ করেছে। ওই ১২ জনের মধ্যে তাহের নামে এক শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন আলমত সংগ্রহ করে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে কোন বিরোধ নিয়েই নিখোঁজ শ্রমিক তাহের হোসেন মিয়াকে প্রথমে হত্যা করে।

মিলের ভেতর বিকট শব্দে মেশিন চলে বলে কেউ হত্যার সময় কোন রকম চিত্কারের শব্দ শোনেনি। মিলে মেশিনের শব্দের কারণে শ্রমিকরা ইশারায় বা কানে মুখে কথা বলে থাকেন।

তিনি আরো জানান, শ্রমিক হোসেন মিয়াকে হত্যার পরেই সম্ভবত গেট খুলে বের হতে চাইলে নৈশ প্রহরী আব্দুল আজিজ বাঁধা দেয়। এত তাহের তাকেও হত্যা করে। ওই মিলে ঘটনার দিন রাতে ১২ জন শ্রমিক ছিল।

এদের মধ্যে ছয় জন তৃতীয় তলার কক্ষে ঘুমিয়ে ছিল। বাকী ৬ জন নীচ তলায় কাজ করছিল।

আটক নয় শ্রমিকের মধ্যে  নান্নু নামে এক শ্রমিক জানান, রাতে তিনি আটার বস্তার ওপরে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেলে তিনি দেখতে পান তাহের যে মেশিনটিতে কাজ করেন তাতে আটা জমে বন্ধ হয়ে গেছে। নীচে নেমেই সে দেখতে পায় শ্রমিক হোসেন মিয়ার লাশ পড়ে আছে মেঝেতে।

পরে সে তৃতীয় তলায় ঘুমিয়ে থাকা শ্রমিকদের ঘুম থেকে তুলে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে তারা নৈশ প্রহীর আজিজের লাশও দেখতে পায়।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.