আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা দিতে কাজ করছে সরকার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে তার সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। 'স্বাস্থ্য মানুষের মৌলিক অধিকার'- এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। টিকাদান কার্যক্রমের সাফল্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। সম্মিলিত চেষ্টায় টিকাদান কর্মসূচি সফল করার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে পোলিওমুক্ত করেছি। আগামী প্রজন্ম যাতে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয় সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সচিবালয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে 'বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০১৪' আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তিনি বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে উপস্থিত জনগণের সঙ্গে কথা বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, পার্বত্য চট্টগামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এন নিয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে। পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, '৯৬ সালের আগে পার্বত্য অঞ্চলে ব্যাপক হানাহানি-মারামারি ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয় এবং পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করে।

আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি চুক্তির অধিকাংশ শর্ত ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করেছি। বাকি শর্তগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করব।

 

শেখ হাসিনা বলেন, সংবিধানে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার রয়েছে। সেই অঙ্গীকার পালনে সরকার বদ্ধপরিকর। বাহক-বাহিত রোগে ২০১০ সালে পৃথিবীতে অনেক মানুষ মারা যায়।

এর মধ্যে বেশির ভাগই হচ্ছে শিশু। বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, যাতায়াত বৃদ্ধি, অনিয়ন্ত্রিত নগরায়ন, কৃষিব্যবস্থার পরিবর্তন, বনাঞ্চল ধ্বংস, পারিপার্শ্বিক পরিবেশের পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে বাহক-বাহিত রোগগুলোর ঝুঁকি ও বিস্তারের ঘটনা ঘটছে। উষ্ণমণ্ডলীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশেও নানা ধরনের বাহক-বাহিত রোগ বিরাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কখনো কখনো এই রোগগুলো বিপুল সংখ্যক লোককে সংক্রমিত করে বা মৃত্যুঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণের ফলে এ রোগগুলোর কোনো কোনোটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে অথবা নিমর্ূলের পর্যায়ে গেছে। বিশেষ করে গত কয়েক বছরে বাহক-বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাহক-বাহিত রোগগুলো নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলে সর্বাত্দক কার্যক্রম গ্রহণ করার ফলে বাংলাদেশ লক্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো এ কাজে আমাদের সহায়তা দিচ্ছে।

বর্তমানে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কমে এসেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় রোগ শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা প্রদান এবং কীটনাশকযুক্ত মশারি বিতরণ ও ব্যবহারের ফলে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

এ ছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদফতর বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যক্রম পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং করছে। ফলে ডেঙ্গুজ্বরে মৃত্যুর সংখ্যা কমে এসেছে।

ফাইলোরিয়া রোগপ্রবণ বাংলাদেশের ১৯টি জেলার মধ্যে ১৫টি জেলায় প্রাথমিকভাবে এ রোগ নির্মূল করা হয়েছে এবং বাকি ৪টি জেলায় এ বছর ফাইলোরিয়া নির্মূল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমাদের সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে দেশে কালাজ্বরের বিস্তারও কমে এসেছে। '

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্মিলিত চেষ্টায় টিকাদান কর্মসূচি সফল করার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে পোলিওমুক্ত করেছি। আগামী প্রজন্ম যাতে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয় সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্যের আলোকে সবাই মিলে দেশব্যাপী বাহক-বাহিত রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ও সমন্বিত ব্যবস্থা জোরদার ও জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশকে বাহক-বাহিত রোগ থেকে মুক্ত রাখার আহ্বান জানান।

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.