আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সৌদি ভূখণ্ডে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার চেষ্টা যেভাবে ব্যর্থ হয়

ইহুদিবাদী আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা রুতনেস্টাইন সৌদি আরবের ভূমিতে ইজরায়েল প্রতিষ্ঠার জন্য ব্রিটেনের সহায়তা চেয়েছিলেন বলে খবর ফাঁস হয়েছে। ব্রিটিশ লাইব্রেরির ওয়েবসাইট এই তথ্য ফাঁস করেছে। তিনি খ্রিস্টীয় ১৯১৭ সালে ব্যালফোর ঘোষণার আগে প্যারিসে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের কাছে এ ব্যাপারে সহায়তা চেয়েছিলেন। (ব্যালফোর ঘোষণার মাধ্যমে ব্রিটেন ফিলিস্তিনে ইজরায়েল প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ইহুদিবাদীদেরকে। )

 

জায়োনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম নেতা ডি.এম. এল. রুতনেস্টাইন ১৯১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর এক চিঠিতে প্যারিসে নিযুক্ত তৎকালীন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের কাছে ওই আবেদন জানিয়েছিলেন।

 

ইজরায়েলের দৈনিক হারেৎজ এই খবর প্রকাশ করে লিখেছে: প্যারিসনিবাসী ওই ইহুদিবাদী চিকিৎসক (ডি.এম. এল. রুতনেস্টাইন) তৎকালীন হিজাজের (বর্তমান সৌদি আরব) উর্বর ভূমি হিসেবে খ্যাত 'আলহাসা' অঞ্চলে সেনা পাঠাতে ব্রিটেনের কাছে এই আবেদন জানিয়েছিলেন যাতে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে ইহুদিবাদী ইজরায়েল প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়।

 

ইজরায়েলি দৈনিক হারেৎজ ওই প্রামাণ্য চিঠির ফটোকপি প্রকাশ করেছে। ফরাসি ভাষায় লিখিত ওই চিঠিটি ফাঁস করেছে ব্রিটিশ লাইব্রেরির ওয়েবসাইট।

 

ডি.এম. এল. রুতনেস্টাইন ওই চিঠিতে লিখেছেন, আগামী বসন্তে ব্রিটিশ সেনারা যখন আলহাসা অঞ্চলটি দখল করবে তখন তাদের সঙ্গে যোগ দেয়ার জন্য আমি এক লাখ বিশ হাজারেরও বেশি ইহুদি সেনা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। তিনি এই চিঠিতে স্বীকার করেন যে প্রথম দিকে এই প্রস্তাবকে অযৌক্তিক মনে হলেও এ এলাকায় ব্রিটিশ সেনাদের সাহায্য করার জন্য এক হাজার ইহুদি সেনা পাঠানোর মাধ্যমে তার উদ্দেশ্য ও লক্ষের সত্যতা প্রমাণিত হবে।

 

ইহুদিবাদী এই চিকিৎসকের পরিকল্পনা অনুযায়ী বাহরাইনে ত্রিশ হাজার ইহুদিবাদী যোদ্ধা উপস্থিত হওয়ার পর ব্রিটিশ সেনারা ইহুদিদের সহায়তা নিয়ে এক আকস্মিক অভিযান চালাবে যাতে তৎকালীন তুর্কি সাম্রাজ্যের আওতাধীন হিজাজের আলহাসা অঞ্চলটি দখলের অভিযান শুরু করা যায় এবং এভাবে ঐ অঞ্চলে (বর্তমান সৌদি আরবে) ইজরায়েল প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়।

 

হারেৎজ আরো লিখেছে, বাস্তবতা হল ডি.এম. এল. রুতনেস্টাইন এটা জানতেন না যে আলহাসা অঞ্চলটি ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের কাছে তার ওই চিঠি লেখার কয়েক বছর আগেই (তুর্কি সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী) আলে সউদের কর্তৃত্বাধীনে এসে যায় এবং ব্রিটিশরাও ওই অঞ্চলের ওপর সৌদি কর্তৃত্ব মেনে নেয়ার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল।

 

দৈনিকটি লিখেছে, এই বাস্তবতা সত্ত্বেও প্যারিসে নিযুক্ত তৎকালীন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত এই ইহুদিবাদী নেতার চিঠিটি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার জেমস ব্যালফোরের কাছে পাঠায়। কিন্তু ব্যালফোর ওই ইহুদিবাদী ডাক্তারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তাকে জানান যে, এই কাজটি করার ক্ষমতা ব্রিটেনের নেই।



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.