আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যেমন আছেন অভিনেতা ওয়াসিম

ফোক ফ্যান্টাসি আর অ্যাকশন ছবির অপ্রতিদ্বন্দ্বী ড্যাশিং হিরো ওয়াসিম এখন চলচ্চিত্র থেকে অনেক দূরে। ধর্ম-কর্ম নিয়েই তার অবসর সময় কাটছে। দর্শকনন্দিত এই অভিনেতার নামেই সত্তর আর আশির দশকে সিনেমা হলে উপচে পড়ত দর্শক। দি রেইন, ডাকু মনসুর, জিঘাংসা, কে আসল কে নকল, বাহাদুর, দোস্ত দুশমন, মানসী, দুই রাজকুমার, সওদাগর, নরম গরম, ইমানসহ শতাধিক সুপার হিট ছবির নায়ক এই জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেতা। দুই হাজার সালের প্রথম দিকেও মোটামুটি অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত এ অভিনেতা সর্বশেষ ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান মোঃ আওয়াল পরিচালিত 'আমার রত্নগর্ভা মা' এবং জীবন রহমান পরিচালিত 'কাঁকন দাসী' ছবিতে।

দুই হাজার সালের পর একমাত্র কন্যা অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী বুশরার অকাল মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে অন্তরালে চলে যান অভিনেতা ওয়াসিম। এরপর থেকে গুলশানের বাসায় একাকী সময় কাটাচ্ছেন এবং নামাজ-রোজা নিয়মিত পালন করছেন। তাছাড়া বিশ্ব ইজতেমায়ও নিয়মিত যোগ দেন। তার স্ত্রী প্রায় ১৫ বছর আগে মারা যান। একমাত্র পুত্র দেওয়ান ফারদিন সম্প্রতি লন্ডনের কারডিফ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন।

ফারদিন এখন ব্যারিস্টার হিসেবে আইন পেশায় নিয়োজিত। ওয়াসিমের পুরো নাম মেজবাহউদ্দীন আহমেদ। জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৩ মার্চ। পৈতৃক নিবাস কুমিল্লায়। ইতিহাস বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন তিনি।

প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক এস এম শফীর হাত ধরে চলচ্চিত্র জগতে অভিষেক ঘটে ওয়াসিমের। ১৯৭২ সালে শফী পরিচালিত 'ছন্দ হারিয়ে গেলো' চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক হন তিনি। এতে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেন। ১৯৭৪ সালে আরেক প্রখ্যাত চিত্রনির্মাতা মহসিন পরিচালিত 'রাতের পর দিন' চলচ্চিত্রে প্রথম নায়ক হিসেবে আত্দপ্রকাশ তার। চলচ্চিত্রটির অসামান্য সাফল্যে রাতারাতি সুপারস্টার বনে যান তিনি।

'সীমাবদ্ধ' শিরোনামের একটি চলচ্চিত্রও প্রযোজনা করেন। একসময় সফল বডি বিল্ডার ছিলেন ওয়াসিম। এ কারণে ১৯৬৪ সালে ক্রীড়াঙ্গন থেকে জাতীয়ভাবে মি. ইস্ট পাকিস্তান খেতাব পান তিনি। অন্তরালের নায়ক ওয়াসিম দীর্ঘদিন পর গত ৩ এপ্রিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসে প্রিয় কর্মস্থল এফডিসিতে আসেন। এ সময় ভীষণভাবে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।

তার শান্ত-সৌম্য চেহারাকে ফাঁকি দিয়ে চোখের কোণে স্মৃতির জল তখন চিক চিক করছিল। সতীর্থ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বার বার আবেগে তার কণ্ঠ জড়িয়ে আসছিল। তিনি বলেন, চলচ্চিত্র আমাকে অনেক দিয়েছে। চলচ্চিত্রকেও আমার আরও অনেক কিছুই দেওয়ার ছিল। কিন্তু সেই সময় বোধ হয় এখন আমার আর নেই...!

 

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।