আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পিডিএফ

প্রথম প্রথম যখন পিডিএফ পড়ি, তখন মনে হতো এর উপরে জিনিস নেই। একাডেমিক পড়া থেকে শুরু করে স্ক্যান করা বই, সব পিডিএফ। খরচ বলেন আর সময় বলেন, সব দিক থেকেই পিডিএফ অতুলনীয়।

যারা পিডিএফ তৈরি করে (অধিকাংশ ক্ষেত্রে) উদ্দেশ্য থাকে, তথ্য প্রদান করা। ১৯৯১ সালে পিডিএফের ব্যবহার শুরুর পর থেকে কাজের জন্য তা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে অফিসে কাগজের ব্যবহার কমানোর এক অসাধারণ উপায় হিসেবে।

কেউ আগ্রহী হলে ইতিহাসটা একটু পড়ে নিতে পারেন।

এটা তো গেল প্রস্তুতকারীদের (প্রোডিউসার এন্ড) কথা। কিন্তু কতটা পড়া হয় পিডিএফ? ২০০৭ সালে পিডিএফ এর সাথে পরিচয় হবার পর থেকে, হাজার হাজার পিডিএফ ফাইল জমা হলেও পড়েছি তার নগন্য। এবং আমার জানা মতে অনেকেরই এরকম হয়-পিডিএফ জমা পড়ে থাকে, পড়া আর হয় না।

তো বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা সাধারণ মানুষ, গবেষক, বিশ্লেষক, মিডিয়ার কাছে তথ্য প্রদানের জন্য পিডিএফ ব্যবহার করে আসছে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পিডিএফ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা, সব সময় ইন্টারনেটের সংযোগ পাওয়া সবার পক্ষে সম্ভব হয় না বিধায়, ফাইল পিডিএফ অবস্থায় থাকলে ডাউনলোড করে পরবর্তিত অফলাইনে ব্যবহার করা যায়।

কিন্তু পিডিএফ যারা প্রস্তুত করেন তথ্য প্রদানের জন্য, তারা নতুন কিছুর কথা ভাবতে বাধ্য হচ্ছেন। কারণ পিডিএফের-গ্রহণযোগ্যতা নয় বরং তার কার্যকারিতা।

গত মাসে বের হওয়া বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে তাদের পিডিএফ রিপোর্টের প্রায় এক তৃতীয়াংশ কখনোই ডাউনলোড বা ব্যবহৃত হয়নি-

About 13 percent of policy reports were downloaded at least 250 times while more than 31 percent of policy reports are never downloaded. Almost 87 percent of policy reports were never cited

এটা তো গেল বিশ্বব্যাংকের কথা। অন্যান্য অনেক সংস্থা নতুন করে চিন্তা করছে পিডিএফ ব্যবহারের কথা।

পিডিএফের দুর্বলতাগুলোর মধ্যে রয়েছে-

  1. সংশোধন করার সুযোগ না থাকা
  2. বিভিন্ন ধরনের ফরমেট থাকা
  3. মোবাইল ডিভাইসগুলোতে পিডিএফ ঠিকমত পড়া না যাওয়া
  4. বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে বিভিন্ন ধরনের পিডিএফ ফরমেট নিয়ে ঝামেলা
  5. নেভিগেট করা খুবই ঝামেলাপূর্ণ

পিডিএফের বিকল্প হিসেবে এইচটিএমএল নির্ভর লংফর্মমেট অনেক আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উদাহরণ হিসেবে দেখতে পারেন ডেমোস ত্রৈমাসিক অথবা ইন্সটিটিউট অব পাবলিক পলিসি রিসার্চের সদ্য বের হওয়া রিপোর্টটি অথবা স্টোরিবার্ডের মত। লংফর্মমেট অনেক বেশি ইন্টারএকটিভ এবং সহজে সার্চ করা যায়।

পিডিএফের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক দিন ধরেই কথাবার্তা চলে আসছে। তো যাই হোক আমার মতে পিডিএফের ব্যবহার বাংলদেশের প্রেক্ষাপটে সহসা বন্ধ হচ্ছে না, অন্তত যতদিন না প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করা যাচ্ছে।

এছাড়াও সহজে সংযুক্ত করা, আদান প্রদানের সুবিধা তো আছেই। তবে আশা করবো, বাংলাদেশের ওয়েবসাইটগুলোতেও অচিরেই লংফর্মমেট দেখতে পাবো।

সোর্স: http://www.sachalayatan.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.