আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নারায়ণগঞ্জে খালেদা জিয়ার ভাষণ

আমি উচ্চারিত সত্যের মতো স্বপ্নের কথা বলতে চাই বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, "ক্ষমতায় যাবার জন্য নয়, দুর্নীতিবাজ, খুনী সরকারের হাত থেকে দেশ ও জনগণকে রক্ষা করার জন্য আন্দোলনের মাধ্যমে অভ্যুত্থান করে সরকারকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেব। এই সন্ত্রাসী সরকার দিয়ে দেশ চলে না। " তিনি বলেন, "নারায়ণগঞ্জে একজন গড ফাদার আছে। সে মেধাবী ছাত্র ত্বকীকে হত্যা করেছে। সংবাদ সম্মেলন করায় ত্বকীর বাবাকেও হত্যা করার হুমকি দিয়েছে।

লক্ষ্মীপুরে তাহের এবং চট্টগ্রামে একজন আওয়ামী লিগের গড ফাদার আছে। " তিনি বলেন, "এই সন্ত্রাসী দল দিয়ে দেশের কিছু করা যায় না। এই জন্য চাই পরিবর্তন। আন্দোলন করে পরিবর্তন আনতে হবে। এই আন্দোলনের শক্তি আপনারা শ্রমিকরা।

" বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুর বালুরমাঠে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের মে দিবসের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় সভাপতি নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, স্থায়ী কমিটির সভাপতি ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ, এম কে আনোয়ার, ড.খোন্দকার মোশারফ হসেন, ড.মঈন খান, সাদেক হোসেন খোকা, সেলিমা রহমান ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকার প্রমুখ। তিনি অভিযোগ করেন, নয়শো লাশ গায়েব হয়ে গেছে। অনেকে বলছেন ১৬০০ মানুষ মারা গেছে। আসলে কত জন মারা গেছেন তার প্রকৃত হিসাব সরকারকে দিতে হবে।

সাভার ট্র্যাজেডি নিয়ে সরকার মিথ্যাচার করছে উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, “সাভার ট্র্যাজেডির মূল হোতা রানাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংসদে মিথ্যাচার করেছেন। ঘটনা ধামাচাপা দিতেই সরকারের এই চেষ্টা। এ ঘটনায় কত মানুষ মারা গেছে তার সঠিক হিসাবও জনগণকে দিতে হবে। " "সরকার মিথ্যা কথা বললে দেশের কি অবস্থা হয় সাভার ট্র্যাজেডি তার বড় প্রমাণ। ঘটনার ছয়দিন পর ঘটনাস্থলে যাওয়াই প্রমাণ করেছে সরকার জনগণকে ভয় পান," বলেন বেগম জিয়া।

বক্তব্যের শুরুতে সাভারে ভবন ধসের ঘটনায় নিহতদের স্মরণ করে তিনি বলেন,"লাশের মিছিল আর স্বজনদের আর্তনাদে মে দিবস পালিত হচ্ছে। আপনারা সকলে জানেন, রানা প্লাজার ঘটনা। এই ঘটনায় নিহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে আমি আমার বক্তব্য শুরু করছি। " সরকার ক্ষমতায় আসার পর শ্রমিকদের জন্য কিছুই করেনি বলে অভিযোগ করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, “সরকারের ব্যর্থতা আর দূর্নীতির কারণে দেশের সব কল-কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

এ সরকার খুনী সরকার। এই সরকার শ্রমিকদের জন্য কিছুই করেনি। বরং শ্রমিকরা চাকরি হারিয়েছেন। শ্রমিকদের সঠিক মূল্যায়ন না করলে দেশের উন্নতি হবে না। তাই শ্রমিকদের আর শোষণ নয় প্রয়োজন সঠিক মূল্যায়ন।

” বিএনপির চেয়ারপারসন বলেছেন, "বর্তমান সরকার দেশের মানুষের জন্য কিছুই করতে পারেননি। তিনি তিনটি জিনিস উপহার দিয়েছে। তা হলো সন্ত্রাস, খুন ও গুম। এ ছাড়া কিছুই দিতে পারেনি। " তিনি অভিযোগ করেন, সরকার ডেসটিনির টাকা, শেয়ারমার্কেটের টাকা, হল-মার্কের টাকা, পদ্মা সেতুর টাকা চুরি করেছে।

এই টাকা তারা বিদেশে পাচার করেছে। "বর্তমান সরকার অপয়া। তারা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মানুষ মরছে। এই অপয়া সরকার যতদিন থাকবে, ততদিন দেশেরও ক্ষতি, দশেরও ক্ষতি। এখন সময় এসেছে এই সরকারকে বিদায় করবার।

তারা যত তাড়াতাড়ি বিদায় নেবে, তত তাড়াতাড়ি দেশের মঙ্গল হবে। " সরকারের ব্যর্থতা উল্লেখ করে বেগম জিয়া বলেন, "এই সরকার শ্রমিকদের মঙ্গলের জন্য কিছুই করে নাই। চালু শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। সরকার শিল্প কলকারখানায় জন্য গ্যাস, পানি, বিদ্যুত, নিরাপত্তা কিছুই দিতে পারেনি। সরকার ক্ষমতায় আসার পর নতুন কলকারখানা তো চালু করতে পারেনি-ই, বরং যেগুলো চালু ছিলো সেগুলোও সরকারের ব্যর্থ নীতির কারনে বন্ধ হয়ে গেছে।

" হাসিনা সরকার কথা দিয়ে কথা রাখতে পারেননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, "তারা ক্ষমতায় এসেছিলো ১০ টাকা কেজি চাল দেবার কথা বলে। কোথায় আজ সেই ১০ টাকা কেজি চাল? শ্রমিক ভাইদের বেতন বাড়েনি। আজ তারা দুইবেলা পেটভরে খেতেও পারেনা। সরকার নিজেরা ভালো আছে, আরামে আছে। তারা গরীব মানুষের কথা চিন্তা করেনা।

" বুধবার বিকেল ৪টার দিকে খালেদা জিয়া মঞ্চে উপিস্থত হন। এ সময় তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকার। Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.