আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাঙ্গালের ডায়েরি

ট্রুথ নট সেইড টুডে, কুড টার্ন টু আ লাই টুমোরো এইবারের ১৬ ডিসেম্বরটা একটু বিশেষ। কারন, এতটা প্রতীক্ষা নিয়ে আর কোন বিজয় দিবসের জন্য অপেক্ষা করি নাই। প্রতীক্ষাটা বিজয় দিবসের কুজকাওয়াজ বা প্রধানমন্ত্রীর এসেমেসের জন্য না। বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায়ের। পুরা ডিসেম্বর মাসটাই নানা দাঙ্গা হাঙ্গামা রক্তপাতের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

রায়ের ব্যপারে উতকন্ঠা তৈয়ারের পিছনে সরকারী মন্ত্রীদের অতিউতসাহ এক্টা কারন। এরা আগ বাড়ায়ে নানা সংখ্যাপাত করে সাস্পেন্স বাড়াইসে। ওমুক দিন রায় হবে, তমুক দিন হবে- এইসব বলতে বলতে হয়রান অবস্থা। একটা পত্রিকা লিখসে ১৬ ডিসেম্বর রায় হবে। আমার জানা মতে ১৬ ডিসেম্বর সরকারি ছুটি ও ট্রাইবুনালের কাজ বন্ধ।

কোন সব্জিখোর এই সংবাদ লিখলো জানা নাই। সেই সাথে বিচারপতি নাসিমের পিসিতে স্পাইওয়ার দিয়ে ইমেইল আর কথাপকথন চুরি করে ছড়ানো, তার ফলাফল স্বরুপ ট্রাইবুনাল থেকে উনার পদত্যাগ, হঠাত ধাক্কার মতো লাগলো। এই কথাপকথন সবার হাতে হাতে পৌছানোর পর ট্রাইবুনাল তার প্রচার, আলোচনায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কিন্তু ইমেলগুলার ব্যাপারে কিছু লিখতে ভুলে গেছে। ঝামেলাটা আরো কয়েকগুন বাড়াইতে জামাতিরা রি-ট্রায়াল দাবি করে বসেছে।

এই দাবির সাথে সুর মিলিয়ে হিউম্যান রাইট ওয়াচ আর ব্রিটিশ বার হিউম্যান রাইটস কমিটি(যাদের কয়েকজন সদস্য জামাতি আইনজ্ঞ) রি-ট্রায়াল দাবি করে বলেছে "যেহেতু জাস্টিস নাসিম ছাড়া আর কোন বিচারপতি সব সাক্ষীর জেরায় উপস্থিত ছিলেন না এবং নব-নিজুক্ত প্রধান বিচারপতিও ট্রাইবুনাল১ এ সাঈদীর খুব কম জেরা শুনেছেন, সেহেতু রি-ট্রায়াল লাগবে। নতুবা ইহা স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হবে না'.... রি-ট্রায়াল মানেই আরো ১ বছরের মামলা মনে হচ্ছে। তারমানে এই আমলে আর হচ্ছে না। এদিকে রি-ট্রায়াল দাবির জবাবে সরকারি উজিরে আলা ঘোষনা দিয়া দিসেন, যেখানে শেষ, সেখান থেকেই নুতুন ট্রাইবুনাল১ শুরু করবে বিচার। মানে শুধু রায় দেয়া বাকি।

এরপক্ষে শক্ত আইনি ব্যাখ্যা আছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত, শক্ত আইনি ব্যাখ্যা আছে। কিন্তু ব্যাখ্যাটা ট্রাইবুনাল নিজে দিলে ভালো দেখাইত। ট্রাইবুনালের হয়ে গলাবাজি করার রাজনৈতিক অভ্যাসটা সরকারকে ত্যাগ করতে হবে। সরকারি মন্ত্রীরা এমন মওকা পেয়ে হয়তো বলে বসছে।

কিন্তু ট্রাইবুনাল স্বতন্ত্র। উনাদের দিকনির্দেশনা, রায়ের তারিখ দেয়ার উস্তাদিগুলান না করলেই ভালো হবে। আলগা ক্রেডিট না কামালেও চলবে। জনগন জানে আওয়ামীলীগ যুদ্ধাপরাধের বিচার করতেছে। ৫ বছরে করে শেষ করতে পারলে এর বাহবা আপ্নারাই পাবেন।

অন্যদলগুলা মিউ মিউ করে 'আমরাও যুদ্ধাপরাধের বিচার চাই' বললেও, তাদের অন্তরে কি তা সবাই জানে। একি দিনে পেশোয়ার এয়ারপোর্টে জঙ্গিদের গোলাগুলিতে ডজনখানেক মারা যাওয়ার ঘটনা দেখলাম টিভিতে। পাকিস্তান থেকে আলাদা হইতে পারাটা কতবড় নিয়ামত সেইটা আবার অনুভব করলাম। সব শহীদকে আবারও ধন্যবাদ ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।