আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বজিৎ এবং একদল কাপুরুষ

এটা বিজয়ের মাস । এতগুলো মানুষের সামনে কি করে বিশ্বজিৎকে মেরে ফেলল ? কেউ কেন বিশ্বজিৎকে বাঁচাতে সামনে এগিয়ে গেল না । মিডিয়া ভিডিও করলো- একটা জীবন বড় না মিডিয়া ভিডিও করে দেশবাসীকে দেখাবে-সেটা বড় ? কতগুলো টিভি চ্যানেল ভিডিও ধারন করলো- আর একদল মানুষ সেই ভিডিও দেখে আহা উহা করতে লাগল । খবরের কাগজে ছবি দেখে- দুঃখ প্রকাশ করলো- এই পর্যন্তই। কয়দিন পর সবাই এই ঘটনা ভুলে যাবে ।

দেখা যাবে এই রকম ঘটনা আবার ঘটবে । ঘটতেই থাকবে। এই স্বরাষ্ট মন্ত্রীও কোনো কাজের না । শুধু বড় বড় কথা । আমাদের কোনো নিশ্চিয়তা নেই ।

দেখা যাবে দুই দিন পর আমাকে এইভাবে মারবে । মিডিয়া ভিডিও করবে । দেশবাসী দেখবে আর হা হুতাশ করবে । আমাদের দেশটা অনেক ছোট । অনেক কিছুর বিনিময়ে আমরা এই দেশ পেয়েছি ।

অনেক কষ্টের পর পাওয়া আমাদের ছাপান্ন হাজার বর্গ মেইল । দেশের সব মানুষ কে ভালোবাসতে হবে । কারো প্রতি যেন কারো রেষারেষি না থাকে । সকলে মিলে মিশে দেশটাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে । কেন শুধু শুধু মারামারি-কাটাকাটি ।

আমরা তো সবাই এই দেশের মানুষ । যারা দেশে ভবিষৎ তারাই যদি এই রকম হত্যাজজ্ঞ চালায়- তাহলে তো শান্তি বলে কিছু থাকবে না । হরতাল দিয়ে দেশের কোনো উপকার হয় না । তারপরও তারা হরতাল দেয় । আজ দেখলাম- এক লোক ভ্যানে করে তরকারী বিক্রি করছে- একদল লোক গিয়ে ভ্যানওয়ালা কে ধরে মারল ।

তার তরকারী সব রাস্তার মধ্যে ছুড়ে ফেলে দিল । বাসে আগুন- বাসে আগুন দিলে কি উপকার তা আমি আজ পর্যন্ত বুঝতে পারলাম না । যারা রাজনীতি করেন- তারা বলেন দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করেন । কথাটা পুরোপুরি মিথ্যা । তারা শুধু নিজের জন্য রাজনীতি করেন ।

ক্ষমতার জন্য । যদি রাজনীতিবিদরা সত্যিই দেশোকে ভালোবাসতেন- তাহলে তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জ্বালাও পোড়াও এধরনের রাজনীতি করতেন না। ক্ষমতায় না গিয়েও দেশের জন্য কাজ করা যায় । বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে দেওয়া উচিত । ছাত্ররা লেখা পড়া করবে ।

কিন্তু রাজনীতিবিদরা তাদের সুবিধার জন্য এই সব ছাত্রদের আশকারা দিয়ে থাকেন । আর এই আশকারা পেয়ে তারা- নানান বিচ্ছিরি কাজে লিপ্ত হয় । যারা এখন খারাপ কাজে লিপ্ত- তাদের বিচার হবেই । আজ না হোক কিন্তু হবে -হবেই । এই বাংলার বুকে কেউ অন্যায় করে পার পাবে না ।

যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার হবে । দেরী হোক কিন্তু হবে । বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার হয়েছে । এই দেশ- অনেক কষ্টে পাওয়া । কাজেই যে যার খশি মতন-যার যা ইচ্ছা করতে পারবে না ।

আমি বুঝি না ছাত্ররা কি করে একজনকে কুপিয়ে মেরে ফেলতে পারে । তাহলে তারা লেখা পড়া শিখে এই দেশকে কি দেবে ? এখনকার ছাত্র রাজনীতি মানে হলো- টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি এবং ছিনইতাই এবং তারা নানান নেশায় আসক্ত । বিশ্বজিৎ কে তারা হাসপাতালেও নিতেও বাধা দেয় । ঘটনার আগে বিশ্বজিৎ এর খুনীরা ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সভাপতির জন্মদিন উদযাপন করে। বিশ্বজিতকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে কিছুক্ষণ পর মারা যান বিশ্বজিত্। রাজনীতিবিদদের বলতে চাই- আমি এবং আমরা আমাদের এই দেশোকে অনেক ভালোবাসি । মারামারি-কাটাকাটি চাই না । সুখে শান্তিতে বাস করতে চাই। জীবনের নিরাপত্তা চাই ।

যদি নিরাপত্তা দিতে না পারেন- তাহলে আপনারা রাজনীতি ছেড়ে দেন । আর দোয়া করে টিভি চ্যানেল দেখলেই বড় বড় কথা বলা বন্ধ করেন । আপনাদের মুখে বড় বড় কথা মানায় না । একবার যদি জানতেন এই দেশের সাধারন মানুষ আপনাদের কতটা ঘৃ্না করে... ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।