আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বলির পাঠা একাই রানা

বুদ্ধিজীবী হতে ডিগ্রী লাগেনা। শিশুকালে শীতের সন্ধ্যায় দাদাজানের কোলে বসে তার চাদরের উষ্ণতায় হুককথার রাজপুত্রের গল্প শুনতাম। কলুর ছেলে কিভাবে হয়ে যেত রাজপুত্র সেই গল্প। কাঁচা বয়সে সেই গল্পগুলো খুব থ্রিলিং এর ছিলো। গ্রামদেশে রুপকথা কে বলা হয় হুক কথা।

আজ দাদাজান নেই। রুকথার রাজপুত্রের গল্প শোনা হয় না। তবে এখন আমরা অন্য ধরণের রাজপুত্রের কথা শুনি। রানা নামক এইই রাজপুত্রেরাও জিরো থেকে হিরো হয়ে যায় অল্প কিছুদিনের ভিতর। কিভাবে যে হয় তাও জানা যায় না পরিষ্কারভাবে।

আশির দশকের বাংলা সিনেমাগুলোতে অবশ্য এই ধরনের হিরোদের দেখানো হত। শাবানা ও ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইবোন। ইলিয়াস কাঞ্চন একটা গার্মেন্টসে লেবারের কাজ করতেন। অল্প কয়েক বছরে তারা নিজেরাই গার্মেন্টসের মালিক হয়ে বসলেন। গার্মেন্টসের নাম ভাই বোন গার্মেন্টস।

চলচিত্রে যেটা সম্ভব বাস্তবেও তো সেটা সম্ভব। না হলে রানা প্লাজার মালিক কিভাবে এত বিত্ত বৈভবের মালিক হলেন! তেল মাখা কচি হাত কিভাবে এত এত টাকার বান্ডিল বানাতে সক্ষম হলো? শুধু রানাকে একা বলির পাঠা বানলে তো চলবে না। রানাকে যারা রানা হয়ে উঠতে সাহায্য করেছেন তাদের সবার বিচার চাই। তাদেরকেও রিমান্ডে নেয়া হোক। হোক সে এমপি মন্ত্রী মিনিস্টার।

আমাদের প্রধানমন্ত্রী, শতকোটি সালাম তার পায়ে, মুখ ফসকে না হয় বলেই ফেলেছেন না হয় রান্না যুবলীগের কেউ নয় তাই বলে সেটা কি সত্য বলে বিশ্বাস করানোর পায়তারা করতে হবে! ভূল মানুষ মাত্রই করে। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীজিও করেছেন। ধাক্কা সুত্র দিয়ে তিনি নিজেই বিশাল একটা ধাক্কা খেয়েছেন। রাজনীতিবিদেরাও জনগনকে গাধা মনে করেন এ কথা প্রমানিত সত্য তাই বলে জনগনকে অন্ধ মনে করার কারণ নেই। আমরা মুরাদ জং এর পোস্টার গুলো দেখেছি।

মুরাদ জং রাআনাকে চেনেন না বলে বিবৃতি দিয়েছেন। চেনেন না তাই এই চুমাচুমি আর চিনলে কি যে হত আল্লাহই মালুম। মুরাদ জং কে নিয়ে আমি কিছু বলবো না। নারায়নগঞ্জে আছে শামিম ওসমান আর সাভারে মুরাদ জং। আওয়ামী শিবিরের দুই শক্তিশালী যোদ্ধা।

তাদের নিয়ে কিছু লিখে পিতৃদত্ত প্রাণটা অকালে হারাতে চাইনা। ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশ আইনজীবি সমিতিকে রানাকে আইনি সহায়তা দিতে অস্বীকার করার জন্য। দেখা যাক বলিউডের ওহ মাই গড সিনেমার কান্তিজীলালের মত রানা নিজের মামলা নিজে লড়তে পারেন কিনা। বাংলাদেশ প্রথম নারী স্পিকার পেতে যাচ্ছে। রেকর্ডরে ভাই রেকর্ড।

বাংলাদেশ বিশ্ব রেকর্ড না করে ছাড়বে না। নারী প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি অনেক আগেই। তারপর পেলাম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী। শেষের দুজনের কথা নাই আলোচনা করলাম। লেখাটা মুছে দিতে পারেন কোন শক্তিশালী হাত।

আমি চাইনা কারো বিরাগভাজন হতে। আমাদের সব থেকে বড় অভাব হচ্ছে একজন জাতীয় নেতার। এখন সবাই দলীয় নেতা। সরকারগুলোও দলীয় পরিচয়ের উর্ধে উঠতে পারেনি। তারা দেশের সব মানুষের সরকার হতে পারেনি।

দেশের সব মানুষকে তারা নিজের ভাবতে পারেনি আজও। কিছু হলে নিজেরাই আলাদা করে ফেলে সে আওয়ামীগের আর ও বিএনপির। হায়রে বাংলাদেশ। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.