আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামায়াতে ইসলামী কি আর আল্লাহর অনুগত নয়?

দীর্ঘ দিন পরে হলেও জামায়েতে ইসলামী উপলব্ধি করতে পেরেছে সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাদের পক্ষে নেই। সেই রিয়ালাইজেশন থেকে তারা তারা তাদের গঠণতন্ত্র সংশোধন করে দলের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য থেকে ‌‌‌'আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসুল (সাঃ) প্রদর্শিত দ্বীন তথা ইসলামী জীবন বিধান' কায়েমের প্রচেস্টার কথা বাদ দিয়েছে। 'আল্লাহ ব্যতীত কাহাকেও স্বয়ং সম্পূর্ণ বিধানদাতা ও আইন প্রণেতা মানিয়া লইবে না এবং আল্লাহর আনুগত্য ও তাহার দেওয়া আইন পালনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত নয়, এমন সকল আনুগত্য মানিয়া লইতে অস্বীকার করিবে' এ নীতিও বাদ (কালের কণ্ঠ, ৪ ডিসেম্বর ২০১২) আল্লাহর নামসহ ইসলামী লেবাস ঝেড়ে ফেলার মধ্য দিয়ে জামাতে ইসলামীর ইসলাম প্রীতির মুখোশ আরও একবার উন্মোচিত হলো। তবে আল্লাহ যে তাদের সঙ্গে নেই সেই বিষয়টি উপলব্ধি করতে তাদের ৪১ বছর সময় লেগেছে, আর দেশের সকল সাধারণ মানুষ ১৯৭১ সালেই তা জেনে গেছে। আল্লাহ জামাতের সহায় হলে আমরা এখনও পাকিস্তান নামক একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসাবে পরাধীন মানবেতর জীবন যাপন করতাম। বিলম্বিত উপলব্ধির জন্যে জামাতকে অভিনন্দন দেয়া যায়। সেই সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দেয়া যায় হরতাল দিয়ে ৭১-এর ঘৃণ্য দালাল রাজাকার আল বদরসহ হত্যা ধর্ষণ লুটপাটের নেতাদের রক্ষা করা যাবে না। আমরা দীর্ঘসূত্রিতা চাই না। অনতিবিলম্বে রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ চাই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.