আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহল্লার ভেতরের রাস্তায় কনক্রি্ট পেভমেন্ট হলে অধিক ফলপ্রসূ হবে

ঢাকা মহানগরীর রাজপথ ও মহল্লা সমূহের লেন গুলো প্রায় সবগুলোই বিটুমিনের তৈরী । সকল রাস্তায়ই ডিসিসি কেন বিটুমিনাস পেভমেন্টকেই বেছে নেয় তা বোধগম্য নয় । প্রকৌশলগত বিবেচনায় ঢাকার বাইলেন গুলি মোটেই বিটুমিনাস পেভমেন্টের উপযোগী নয় । কেননা পানি জমে থাকে এমন জায়গায় এটির নির্মান সংগত নয় । মহানগরীর অধিকাংশ এলাকাই অপরিকল্পিত ।

এসব এলাকার রাস্তা গুলো সরু এবং এতে যথাযথ পানি ও পয়ঃ নিষ্কাশন ব্যবস্থা চালু নেই । চালু থাকলেও রক্ষণাবেক্ষন নেই । বর্ষাকালে বৃষ্টিতে এগুলো দীর্ঘ্য সময় নিমজ্জিত থাকে । শুষ্ক মৌসুমেও নিস্তার নেই । ডিসিসির নর্দমা আর ওয়াসার পয়ঃপ্রণালীর উপচানো দূর্গন্ধময় ময়লা পানিতে সয়লাব থাকে রাস্তাগুলো ।

ফলে মহল্লার বিটুমিনের রাস্তাগুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় । নির্মান বা রক্ষণাবেক্ষনের প্রায় সাথে সাথেই এসব রাস্তাগুলো ক্ষতবিক্ষত হয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে । বছরব্যাপী মহল্লাবাসীর দূর্দশাও চলতে থাকে । কনক্রিটের পেভমেন্ট এই ক্ষেত্রে অধিক কার্যকরী । এর প্রকৃতি বিটুমিনের বিপরীত ।

জমে থাকা পানি এর কোন ক্ষতি করতে পারেনা । অধিকন্তু এর নির্মান ব্যয়ও বিটুমিনাস পেভমেন্টের চেয়ে কম । ডিসিসির প্রাক্কলন অনুযায়ী প্রতি বর্গমিটার বিটুমিনাস পেভমেন্টের নির্মান ব্যয় ৩১৯০ টাকা আর কনক্রিট পেভমেন্টের ক্ষেত্রে এটি ১৮২৪ টাকা । তাছাড়া একবার নির্মান করা হলে এটা দীর্ঘ দিন অক্ষত থাকে । বিগত বছর গুলোতে ডিসিসি অল্প কিছু রাস্তায় কনক্রিট পেভমেন্ট নির্মান করেছে ।

যা বহুদিন যাবত অটুট আছে । তাই রাষ্ট্রীয় অর্থ সাশ্রয় ও জনভোগান্তি হ্রাসে ঢাকা মহানগরীর কলাবাগান, জিগাতলা, রাজাবাজার, শেওড়াপাড়া, নাখালপাড়া , মগবাজার, বাড্ডা ইত্যাদি অপরিকল্পিত এলাকাসমূহে বিটুমিনাস পেভমেন্টের পরিবর্তে কনক্রিটের পেভমেন্ট নির্মান যুক্তিসংগত । আশাকরি ডিসিসি বিষয়টি ভেবে দেখবে এবং দ্রুতই বর্ণিত এলাকাসমূহের রাস্তায় কনক্রিট পেভমেন্ট নির্মান কার্যক্রম শুরু করবে । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.