আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সবকিছু হাসির বিষয় নয়-১৩০ষোলটি কৌতুকী( নিজেরই পুরোন পোস্ট থেকে)

আমি লিখি মানুষের কথা,মানুষ পড়ে না। (১) রমেশ--বুঝলে রহিম ছেলেবেলার একটিমাত্র সাধ পূর্ণ হয়েছে আমার। রহিম--কি সেটা? রমেশ--মা যখন জোরে-জোরে আমার চুল আঁচড়ে দিতো তখন ভাবতাম , ইস , আমার মাথায় যদি একটিও চুল না থাকতো! (২) ডাক্তারবাবু: ওকি, আপনি রোগীর দুই হাত ধরে নাড়ি দেখছেন কেন? তরুণী নার্স: আমি এক হাত দিয়ে রোগীর নাড়ি দেখছি, অন্য হাতে আত্মরক্ষা করছি। (৩) ---সুখী দম্পতি কে? ---বোবা বউ আর বধির বর। * (৪) ---বিয়ের আগে স্বামী-স্ত্রী-তে হ্যান্ডশেক কেন করে? --যে কারণে মুষ্টিযোদ্ধারা রিং-য়ে নেমে হাত মেলায়।

* (৫) এক ভদ্রলোক ঘোড়ার মত লাফাচ্ছেন আর চিঁ-হিঁ-হিঁ , শব্দ করছেন । তাঁর স্ত্রী কাতর স্বরে বললেন-- ওকে ভাল করে দেন ডাক্তারবাবু । ডাক্তার বললেন-- কিচ্ছু ভাববেন না , ওকে এখনই ঠিক করে দেব কিন্তু সে-তো অনেক টাকার ধাক্কা , সামলাতে পারবেন ? --টাকার জন্যে আপনি ভাববেন না , গত পরশু ও ঘোড়দৌড়ে বাজী ধরে কয়েক লক্ষ টাকা জিতেছে । (৬) স্বামী--বুঝলে এবার আর প্রোমশনটা আটকে গেল , যাক তা নিয়ে দুঃখ করো না, সবকিছুতেই যে প্রথম হতে হবে তেমন কোন কথা নেই , কত মহাপুরুষ জীবনে দ্বিতীয় হয়েছেন! স্ত্রী--তাহলে তুমি নেপোলিয়নের ক্ষেত্রে কি বলবে , উনি কখনও দ্বিতীয় হননি। স্বামী-- তুমি কি জানো উনি একজন বিধবা-কে বিয়ে করেছিলেন ? * (৭) এক বৃদ্ধ পুরুত বিয়ে করলেন একজন তরুণীকে ।

বিয়ের ছ-মাস যেতে না যেতেই সন্তান। লোকজন ছুটে এল সোজা কথা তো আর সহজে বলা যায় না । ওরা জানতে চাইল--নাম কি রাখলেন আপনার ছেলের ? ---দেবদূত । ----দেবদূত কেন? --আরে দশমাসের পথ যে ছ-মাসে আসতে পারে তাকে দেবদূত ছাড়া আর কি অন্য নামে ডাকা যায়? * (৮) দেবাদিদেব মহাদেব নারদকে বললেন--মহর্ষী , দেখুন তো মর্তে কি হচ্ছে । নারদ--প্রভু , দেখছি একটা লোক ডুবে যাচ্ছে আর সে পাড়ে দাঁড়ানো তার স্ত্রীর দিকে হাত নেড়ে আকুল হয়ে কিছু একটা ছুঁড়ে দেবার জন্যে আবেদন করছে।

মহাদেব--তার স্ত্রী কি তার দিকে কিছু ছুঁড়ে দিয়েছে ? নারদ--হ্যাঁ প্রভু । মহাদেব--কি ? নারদ--বিদায়-চুম্বন। * (৯) ছুটির দিন । স্বামী-স্ত্রী পাশাপাশি বসে আছে । একসময় স্ত্রী বেশ জোরে বললেন---কি-সব আবোল-তাবোল বকে যাচ্ছো তখন থেকে , আমি কানে কালা বলে কি কিছুই শুনতে পাইনে ভাবছো ? হতচকিত স্বামী চিৎকার করে বলল-- আমি তো কিছুই বলিনি , শুধু বাবুলগামটা চিবোচ্ছিলাম।

* (১০) দারোগাবাবু নাক ডাকিয়ে ঘুমোচ্ছেন । তাঁর বউ একসময় বলল--ওগো শুনছো , ঘরে চোর ঢুকেছে । ---আমি এখন ডিউটিতে নাই । * (১১) একজন কৃপণ লোক বাড়ি ফিরে শুনলেন--তাঁর বউ ড্রাইভারের সাথে পালিয়েছে । বললেন --হুমমম! সংবাদদাতা আরো বলল--বউ আপনার গাড়ি নিয়ে পালিয়েছে ।

---যাক বাবা , বাঁচলাম । সংবাদদাতা অবাক হয়ে বলল--বউ আর গাড়ি দুটোই গেল তাতে আপনার দুঃখ নেই। কৃপণ হেসে বলল--দুটোর পেছনেই খরচা বিস্তর! * (১২) এক ভদ্রলোক তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে মর্ণিং-ওয়াকে বেরিয়েছেন । ছোট ছেলে যা দেখে তাই নিয়ে প্রশ্ন করে । কোনটা উত্তর দেয় বাবা , কোনটা উত্তর দেয় মা ।

একসময় ছেলেটা প্রশ্ন করে--ওটা কি বাবা ? বাবা বলে--ওটা গাধা । ---পাশের ওটা তবে কি ? মা হেসে বলে--ওটা গাধার বউ । ছেলে-- গাধারা বিয়ে করে ? বাবা--- হ্যাঁ বাবা , গাধারাই বিয়ে করে । * * (১৩) --আপনার জীবনে কখনো ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে ? --হ্যাঁ , বর্তমানে যিনি আমার স্ত্রী ,তাঁর সঙ্গে ট্রেনেই আমার প্রথম আলাপ হয়েছিল । আর সেটাই আমার জীবনের প্রথম ও একমাত্র ট্রেন দুর্ঘটনা ।

* (১৪) এক যুবক খবরের কাগজে অ্যাড দিলো--পত্নী আবশ্যক। এর উত্তরে অসংখ্য পুরুষের পত্র পেল সে তাতে লেখা-- আপনি আমার পত্নীকে নিয়ে যেতে পারেন । শর্ত একটিই--ফেরত দিতে আসবেন না। (১৫) প্রেমিক--কিসের অর্ডার দেব ? প্রেমিকা--আমার জন্যে কফি আর তোমার জন্যে স্টেচার । প্রেমিক--কেন ? প্রেমিকা--কারণ আমার স্বামী আমাদের দেখে ফেলেছে আর সে এদিকেই আসছে ।

(১৬) সার্কাসে এক সুন্দরী তরুণী সিংহের খেলা দেখাচ্ছে । মেয়েটি যা আদেশ করছে সিংহটি তা নিরীহ মেষের মত পালন করছে । দেখে একজন মহিলা তাঁর স্বামীকে বললেন--তুমি অমন পারবে । ---নিশ্চয় পারবো । স্ত্রী রেগে বললেন--কই যাও তো ,গিয়ে দেখাও দেখি।

স্বামী বললেন--খেলা দেখাবার কথা বলছি না , আমি বলছিলাম--সিংহটার চেয়ে বেশী পোষ মানতে পারি ওই সুন্দরীর কাছে । * ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।