আমি লিখি মানুষের কথা,মানুষ পড়ে না। (১)
রমেশ--বুঝলে রহিম ছেলেবেলার একটিমাত্র সাধ পূর্ণ হয়েছে আমার।
রহিম--কি সেটা?
রমেশ--মা যখন জোরে-জোরে আমার চুল আঁচড়ে দিতো তখন ভাবতাম , ইস , আমার
মাথায় যদি একটিও চুল না থাকতো!
(২)
ডাক্তারবাবু: ওকি, আপনি রোগীর দুই হাত ধরে নাড়ি দেখছেন কেন?
তরুণী নার্স: আমি এক হাত দিয়ে রোগীর নাড়ি দেখছি, অন্য হাতে
আত্মরক্ষা করছি।
(৩)
---সুখী দম্পতি কে?
---বোবা বউ আর বধির বর।
*
(৪)
---বিয়ের আগে স্বামী-স্ত্রী-তে হ্যান্ডশেক কেন করে?
--যে কারণে মুষ্টিযোদ্ধারা রিং-য়ে নেমে হাত মেলায়।
*
(৫)
এক ভদ্রলোক ঘোড়ার মত লাফাচ্ছেন আর চিঁ-হিঁ-হিঁ , শব্দ করছেন ।
তাঁর স্ত্রী কাতর স্বরে বললেন-- ওকে ভাল করে দেন ডাক্তারবাবু ।
ডাক্তার বললেন-- কিচ্ছু ভাববেন না , ওকে এখনই ঠিক করে দেব কিন্তু সে-তো অনেক
টাকার ধাক্কা , সামলাতে পারবেন ?
--টাকার জন্যে আপনি ভাববেন না , গত পরশু ও ঘোড়দৌড়ে বাজী ধরে কয়েক লক্ষ টাকা
জিতেছে ।
(৬)
স্বামী--বুঝলে এবার আর প্রোমশনটা আটকে গেল , যাক তা নিয়ে দুঃখ করো না, সবকিছুতেই
যে প্রথম হতে হবে তেমন কোন কথা নেই , কত মহাপুরুষ জীবনে দ্বিতীয় হয়েছেন!
স্ত্রী--তাহলে তুমি নেপোলিয়নের ক্ষেত্রে কি বলবে , উনি কখনও দ্বিতীয় হননি।
স্বামী-- তুমি কি জানো উনি একজন বিধবা-কে বিয়ে করেছিলেন ?
*
(৭)
এক বৃদ্ধ পুরুত বিয়ে করলেন একজন তরুণীকে ।
বিয়ের ছ-মাস যেতে না যেতেই সন্তান।
লোকজন ছুটে এল সোজা কথা তো আর সহজে বলা যায় না । ওরা জানতে চাইল--নাম
কি রাখলেন আপনার ছেলের ?
---দেবদূত ।
----দেবদূত কেন?
--আরে দশমাসের পথ যে ছ-মাসে আসতে পারে তাকে দেবদূত ছাড়া আর কি অন্য নামে ডাকা
যায়?
*
(৮)
দেবাদিদেব মহাদেব নারদকে বললেন--মহর্ষী , দেখুন তো মর্তে কি হচ্ছে ।
নারদ--প্রভু , দেখছি একটা লোক ডুবে যাচ্ছে আর সে পাড়ে দাঁড়ানো তার স্ত্রীর দিকে হাত নেড়ে
আকুল হয়ে কিছু একটা ছুঁড়ে দেবার জন্যে আবেদন করছে।
মহাদেব--তার স্ত্রী কি তার দিকে কিছু ছুঁড়ে দিয়েছে ?
নারদ--হ্যাঁ প্রভু ।
মহাদেব--কি ?
নারদ--বিদায়-চুম্বন।
*
(৯)
ছুটির দিন । স্বামী-স্ত্রী পাশাপাশি বসে আছে । একসময় স্ত্রী বেশ জোরে বললেন---কি-সব
আবোল-তাবোল বকে যাচ্ছো তখন থেকে , আমি কানে কালা বলে কি কিছুই শুনতে পাইনে
ভাবছো ?
হতচকিত স্বামী চিৎকার করে বলল-- আমি তো কিছুই বলিনি , শুধু বাবুলগামটা চিবোচ্ছিলাম।
*
(১০)
দারোগাবাবু নাক ডাকিয়ে ঘুমোচ্ছেন । তাঁর বউ একসময় বলল--ওগো শুনছো , ঘরে চোর
ঢুকেছে ।
---আমি এখন ডিউটিতে নাই ।
*
(১১)
একজন কৃপণ লোক বাড়ি ফিরে শুনলেন--তাঁর বউ ড্রাইভারের সাথে পালিয়েছে ।
বললেন --হুমমম!
সংবাদদাতা আরো বলল--বউ আপনার গাড়ি নিয়ে পালিয়েছে ।
---যাক বাবা , বাঁচলাম ।
সংবাদদাতা অবাক হয়ে বলল--বউ আর গাড়ি দুটোই গেল তাতে আপনার দুঃখ নেই।
কৃপণ হেসে বলল--দুটোর পেছনেই খরচা বিস্তর!
*
(১২)
এক ভদ্রলোক তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে মর্ণিং-ওয়াকে বেরিয়েছেন । ছোট ছেলে যা দেখে তাই নিয়ে
প্রশ্ন করে । কোনটা উত্তর দেয় বাবা , কোনটা উত্তর দেয় মা ।
একসময় ছেলেটা প্রশ্ন করে--ওটা কি বাবা ?
বাবা বলে--ওটা গাধা ।
---পাশের ওটা তবে কি ?
মা হেসে বলে--ওটা গাধার বউ ।
ছেলে-- গাধারা বিয়ে করে ?
বাবা--- হ্যাঁ বাবা , গাধারাই বিয়ে করে ।
*
*
(১৩)
--আপনার জীবনে কখনো ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে ?
--হ্যাঁ , বর্তমানে যিনি আমার স্ত্রী ,তাঁর সঙ্গে ট্রেনেই আমার প্রথম আলাপ হয়েছিল । আর
সেটাই আমার জীবনের প্রথম ও একমাত্র ট্রেন দুর্ঘটনা ।
*
(১৪)
এক যুবক খবরের কাগজে অ্যাড দিলো--পত্নী আবশ্যক।
এর উত্তরে অসংখ্য পুরুষের পত্র পেল সে
তাতে লেখা--
আপনি আমার পত্নীকে নিয়ে যেতে পারেন । শর্ত একটিই--ফেরত দিতে আসবেন না।
(১৫)
প্রেমিক--কিসের অর্ডার দেব ?
প্রেমিকা--আমার জন্যে কফি আর তোমার জন্যে স্টেচার ।
প্রেমিক--কেন ?
প্রেমিকা--কারণ আমার স্বামী আমাদের দেখে ফেলেছে আর সে এদিকেই আসছে ।
(১৬)
সার্কাসে এক সুন্দরী তরুণী সিংহের খেলা দেখাচ্ছে ।
মেয়েটি যা আদেশ করছে সিংহটি তা নিরীহ মেষের মত পালন করছে ।
দেখে একজন মহিলা তাঁর স্বামীকে বললেন--তুমি অমন পারবে ।
---নিশ্চয় পারবো ।
স্ত্রী রেগে বললেন--কই যাও তো ,গিয়ে দেখাও দেখি।
স্বামী বললেন--খেলা দেখাবার কথা বলছি না , আমি বলছিলাম--সিংহটার চেয়ে বেশী পোষ
মানতে পারি ওই সুন্দরীর কাছে ।
*
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।