আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একজন মা ও সৃষ্টিকর্তার মহিমা

মানুষের জীবনে কত আশ্চর্য ঘটনাই না ঘটে, তেমনই এক আশ্চর্য সত্য ঘটনা নিয়ে আপনাদের সামনে আজ আমি। তাইওয়ানের ডাক্তারদের কাছে অন্যতম এক বিস্ময়ের নাম তাইওয়ানে জন্ম নেয়া এই শিশু বাচ্চা "লুই পিউং"!! বাচ্চাটি জন্ম নেয়ার সময় তার দুটো কিডনি কোনো এক কারণে কাজ করছিলো না। । এতো ছোট বাচ্চা, তাই ডাক্তাররা কোনোরকম ঝুঁকি নিতে চান নি। ।

কৃত্রিম উপায়ে বাচ্চাটিকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তারা। । এভাবে প্রায় ১০দিন তাকে রাখার পর ডাক্তাররা এক রাতে ঘোষণা দেন এভাবে তাকে আর রাখা সম্ভব না। । এবং তারা বাচ্চার বাবা মাকেও জানিয়ে দেন এই ব্যপারে।

। বাচ্চার মা কাঁদতে কাঁদতে এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। । সকাল ৭টায় লাইফ সাপোর্ট খুলে নেবার কথা ছিলো। ।

ভোর ৫টার দিকে বাচ্চাটির মা তাকে শেষবারের মতো দেখতে চান। । জন্মের পর থেকে বাবুটিকে মায়ের কাছে রাখা হয় নি একবারও। । এমনকি খেতে দেয়া হয় নি মায়ের বুকের দুধ।

। কাঁপা কাঁপা হাতে প্রাণের টুকরাটিকে বুকে জড়িয়ে ধরেন তিনি কাছে পেয়েই। । বাচ্চাটিও হয়তো মায়ের ছোঁয়া পেয়ে ঢুকরে কেঁদে উঠে। ।

নিজেকে ধরে রাখতে পারেন নি মা। । আদরের সোনামণিকে পরম মমতায় জড়িয়ে রেখে বুকের দুধ খেতে দেন। । পরদিন সকালে ডাক্তার এসে দেখে এক আশ্চর্য ঘটনা।

। বাচ্চাটিকে সাপোর্ট খুলে নেয়ার আগে শেষবারের মতো তাকে একটা পূর্ণাঙ টেস্ট করা হয়। । এবার দেখা যায় বাচ্চার কিডনি আস্তে আস্তে দেহের তরল ফিল্টার করা শুরু করেছে। ।

ডাক্তার সকালে বাবুটিকে তার মা দুধ খাওয়ানোর কথা জানতে পান। । এরপর থেকে পুরো এক সপ্তাহ বাচ্চাটিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। । এসময় তাকে মায়ের দুধ ছাড়া আর কোনো ঔষধ বা কিছুই বাড়তি দেয়া হয় নি।

। ধীরে ধীরে সবাইকে অবাক করে দিয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠে সে। । মা এবং সৃষ্টিকর্তার দয়া। ।

এই দুটোই যখন কারো সাথে থাকেন তখন পৃথিবীর কোনো শক্তি তাকে পরাজিত করতে পারে কি?? .........(সংগৃহীত)  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.