আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাউজুবিল্লাহঃ "১৩ দফাই মদিনা সনদ" বললেন মাওলানা জুনায়েদ, আর ছদ্মবেশে অস্ত্রসহ ঢাকা ঢুকছে হেফাজতীরা।

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। ১৩ দফাই মদিনা সনদ দাবি করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মোঃ জুনায়েদ আহম্মেদ। শনিবার বিকেলে যশোরে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন। সুত্র নাউজুবিল্লাহঃ কি বললেন উনি? হেফাজতের ১৩ দফা কি করে রাসুলুল্লার (সাঃ) মদিনা সনদ হয়? নিজেদের কি উনারা নবীজীর সমতুল্য মনে করেন? নাকি আরো উপরে? ছদ্মবেশে অস্ত্রসহ ঢাকা ঢুকতে শুরু করেছে হেফাজতীরা মোহাম্মদপুর ও পুরনো ঢাকার কয়েকটি স্থানে গোপন বৈঠক হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা ঢাকায় আসতে শুরু করেছে। গত ৬ এপ্রিল বিভিন্ন স্থানে বাধা পাওয়ায় এবার তারা আগেই ছদ্মবেশে ঢাকায় ঢুকছে।

এবারের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচী সফল করতে ধর্মান্ধ এই গোষ্ঠী ধ্বংসাত্মক কর্মকা- বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তাঁদের পেছনে জামায়াত সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে। টাকা অস্ত্রসহ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সব কিছুই হেফাজতের নেতাকর্মীদের সরবরাহ দিয়েছে। হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা ঢাকায় জমায়েত হয়ে মোহাম্মদপুর ও পুরনো ঢাকার বেশ কয়েকটি স্থানে গোপন মিটিং করছে। লালবাগের একটি মাদ্রাসায় এমন একটি মিটিংয়ের তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে চলে এসেছে।

গোয়েন্দারা বিষয়টি সম্পর্কে নজর রেখে যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন ‘এ্যাকশনে’ যায়নি। কারণ সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও এমপি হেফাজতের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছেন। আলোচনা ব্যর্থ হলে আইন প্রয়োগ করা হবে। গোয়েন্দা সংস্থাটি খবর দিয়েছে, তারা বেশ কয়েকজন হেফাজতের মধ্যম সারির নেতার ফোনালাপ রেকর্ড করেছে।

ওই আলাপ থেকে সরকার পতনের আন্দোলনের পরিকল্পনার কথা জেনেছেন। হেফাজতে ইসলাম কিছুটা শান্ত থাকলেও পেছন থেকে জামায়াত ও শিবির নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বোমা ও গ্রেনেড হামলা চালাবে। তাদের হাতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক হ্যান্ড গ্রেনেড রয়েছে। ঘেরাও কর্মসূচীতে জামায়াত-শিবির ছোট ছোট আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করবে। ভয়াবহ এই পরিকল্পনার তথ্য সরকারকে জানিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাটি।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনই কোন ব্যবস্থা নয়-এমন মনোভাব রয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর রায় যে কোন সময় হবে। এই রায় যদি আগামী ৫ মের আগেই হয়ে যায় তাহলে সরকারের অবস্থান হবে কঠোর। আর যদি রায় ঘোষণা ৫ মে’র পরে হয় তাহলে সরকার থাকবে মধ্য অবস্থানে। তবে ধ্বংসাত্মক কর্মকা- প্রতিরোধ করার জন্য সরকার আগে থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়ে রেখেছে।

সরকারের প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, হেফাজতে ইসলাম আগে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে থাকলেও বর্তমানে তারা জামায়াতের টাকার কাছে বিক্রি হয়ে এখন নিজেরাই জঙ্গী হয়ে উঠেছে। তাদের নেতা আল্লামা আহমদ শাফী ১৯৭১ সালে বদর বাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান ছিলেন। এরপর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর হঠাৎ করে তিনি প্রথমে মাওলানা টাইটেল লাগান নামের আগে। এর কিছু দিন পরে তিনি নামের আগে আল্লামা শব্দটি ব্যবহার শুরু করেন। সেই থেকে তিনি আল্লামা আহমদ শাফী পীর হিসেবে মুরিদ সৃষ্টি করতে থাকেন।

সরকারের এমন একজন মন্ত্রী সঙ্গে তাঁর মুরিদ এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। তাঁকেই দেয়া হয়েছে হেফাজতের সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব। এবার হেফাজতে ইসলাম স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেসরকার গত ৬ এপ্রিল হেফাজতের সঙ্গে বেঈমানী করেছে। তাদের দেয়া ১৩ দফা দাবি মেনে নেয়ার কথা দিলেও সরকার তা করেনি। এখন কারও সঙ্গে আলোচনা হবে না।

১৩ দফা বাস্তবায়ন করতে এবারের কর্মসূচী হবে কঠিন। ১৩ দফা দাবি আদায় করেই ছাড়া হবে। এমন কঠিন অবস্থানের কারণে বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সরকার ৫ মে’র মধ্যে ১৩ দফা দাবি না মানলে ঢাকা থেকে সারাদেশকে বিচ্ছিন্ন এবং আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে ৫ মের আগেই মুক্তি দিতে হবে। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তারা আন্দোলন শুরু করে।

কিন্তু পরে এই বিষবৃক্ষটি বাড়তে বাড়তে এখন দেশের রাজনৈতিক দলের ভূমিকায় নেমেছে। তারা শুরুতে বলেছিল গণজাগরণ মঞ্চ জাতিকে বিভক্ত করে ফেলেছে। অবিলম্বে গণজাগরণ মঞ্চ বন্ধ, এর মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, শাহরিয়ার কবিরসহ সকল নাস্তিক ব্লগারকে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে সারাদেশ থেকে বিভিন্নভাবে কর্মীদের ঢাকায় প্রবেশের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাটি জানিয়েছে, ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচীকে কেন্দ্র হেফাজতে ইসলাম তাদের নিজস্ব নেটওয়ার্কের বাইরে জামায়াত-শিবির সহযোগিতা দিচ্ছে।

ইতোমধ্যে সারাদেশে তাদের প্রচারপত্র পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এগুলো কবে নাগাদ বিলি করা হবে এটিও আল্লামা আহমদ শফীর নির্দেশে হবে। তাছাড়া ফেসবুক ও ব্লগে তাদের প্রচার অনেক আগে থেকেই চলছে। ভেতরে ভেতরে ঢাকা ঘেরাও নিয়ে তাদের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। বিষয়টি সরকারের ওপর মহলে অজানা নেই।

তবে সরকার কি ধরনের পদক্ষেপ নেবে সেটি এখনও ঠিক হয়নি। সিলেট থেকে খবর মিলেছে, আগামী ৫ মে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধকে সামনে রেখে সিলেটে বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজতের দুশ’র বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হতে পারে। পুলিশ একটি তালিকা তৈরি করেছে কোন্ কোন্ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করতে হবে। এর আগে গ্রেফতার করা বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডাঃ শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী এবং মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিটি কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদীকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সিলেট থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে সেখানকার আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

অন্য কোন বিভাগ ও জেলায় প্রতিরোধ হবে কিনা এমন খবর জানা যায়নি। সুত্র  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।