আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ পুলিশ: আমাদের দূত

কি যে করি বাংলাদেশে পুলিশের অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বেড়ে চলছে। সামগ্রিকভাবে দেশেঅপরাধ প্রবণতা বাড়ছে সেটাও ঠিক। তবে পুলিশ যদি অপরাধী হয়ে ওঠে সেটা চক্রবৃদ্ধিকারে অপরাধ বাড়িয়ে তুলবে। কেন এভাবে পুলিশ অপরাধে সরাসরি জড়িয়ে পড়ছে? আমি জানিনা। তবে অনুমান করতে পারি।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েব সাইটে ইংরেজী ভাষায় তাদের মিশন সর্ম্পকে যা লেখা আছে সেটা দেখলেই আপনিও বুঝে যাবেন কেন পুলিশ অপরাধ প্রবণ! চলুন দেখা যাক। VISION To provide service to all citizens and make Bangladesh a better and safer place to live and work. MISSION 2 To uphold the rule of law 2 To ensure safety and security of citizens 2 To prevent and detect crime 2 To bring offenders to justice 2 To maintain peace and public order মিশন কিন্তু সব দুই নম্বর। বিশ্বাস না হইলে চেক করেন! আমি পয়েন্টগুলা পড়লাম এইভাবে: VISION To provide service to Ruling Party and make Bangladesh a better and safer playground to commit crime and corruption for Political Leaders. MISSION 1 To downhold the rule of law 2 To ensure safety and security of leaders 3 To detect potential crime and earn money 4 To make offenders pay them 5 To teach public peace and order সম্প্রতি এক সার্জেন্টের সাথে আলাপ হচ্ছিল এক আড্ডায়। কয়েকজন মিডায়াকর্মী উপস্থিত দেখে বললেন, ভাই বাঁচান! একটু রিপোর্ট যদি করতেন! কি ব্যাপারে? এই যে ভাই রাস্তায় দেখেন আমরা গাড়ী টো করি এই টাকা যায় কোথায়? তোমাগো পকেটে। তারপর সার্জেন্ট যা কইলো তা শুনে একটু তাজ্জব হইলাম।

এ টাকা নাকি কোথায় যাবে তার সঠিক দিক-নির্দেশনা নাই। এজন্য এটা সরাসরি সার্কলের ডিসির (ঠিক মনে নাই) তহবিলে চলে যায়। তারপর সেটা ভাগ-বাটোয়ারা হয়। একপার্সেন্টও সরকারী তহবিলে জমা হয়না। আর সবচেয়ে খারাপ যেটা তা হলো প্রত্যেক সার্জন্টের কোটা থাকে, যা কয়েক লাখ টাকা, যেটা তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সার্কেলে জমা দিতে হয়।

না হলে শোকজ-সাসপেনসন। "পুলিশের অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা তদন্তে স্পেশাল টিম মাঠে" "ব্যবসায়ী জিয়া হত্যায় পুলিশও জড়িত!" "বিচারককে পেটাল পুলিশ" "এই ছবি! এই পুলিশ!" "একা একটি তরুণী এবং কয়েকজন পুলিশ" -এরকম অসংখ্য আছে। পুলিশ আজকাল নিজে খুন করছে, ছিনতাই করছে, অস্ত্র ব্যবসা করছে। কেন পুলিশ এত ডেসপারেট? প্রধান কারণ অতি রাজনৈতিকরণ। পুলিশ ব্যবহার হচ্ছে দলীয় ক্যাডারদের মত।

আওয়ামালীগের আমলে পালায়ে থেকে বিএনপি আমলে বাংলা সিনেমার হিরোর মত আবির্ভাব হচ্ছে। আবার বিএনপির আমলে আমেরিকার নিবার্সন ছেড়ে চীফ হুইপকে মেরে হিরো বনছে। সব হচ্ছে। থামাবে কে? রাজনীতিবিদ? তারা তো সব চোর। তারাই তো অপকর্ম করছে।

চুরি করার সময় আওয়ামীলীগ-বিএনপি ভাই ভাই! শুনি নাকি আমাদের পাতি-মন্ত্রী কামরুলের নাকি প্রতিদিন লোয়ার কোর্টে ১০/১২ জামিনের কেস থাকে। প্রতিটির জন্য উনি ২/২.৫ লক্ষ টাকা নেন। কাউরে এ নিয়ে চিল্লা-পাল্লা করতে শুনছেন? তিনি নাকি ডেইলি ৪/৫ কেস এ্যাডভোকেট সানাউল্লাহরে দেন। তো বোঝেন? একখান গল্প দিয়ে শেষ করবো। কিন্তু বাস্তব।

ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডে দাড়ায়ে দাড়ায়ে গল্প করছি। সাথে একজন এনআরবি আর ২/৩ জন লোকাল বন্ধু। হুস্ করে কোথা থেকে পুলিশের গাড়ী। তো আমরা লোকালরা একটু চুপসায়ে গেছি। আবার কি ঝামেলা! যাহোক বেশী ঝামেলা না করেই পুলিশ চলে গেলো।

তো আমাদের এনআরবি বন্ধু যে কিনা ইউরোপে থাকে বহুদিন, আমাদের টিটকারী মারলো। "মিয়া পুলিশ ভয় পাও! তাইলে শোন। আমি তখন নব্য নব্য নরওয়ে গেছি পড়তে। তখনও মোবাইল মানুষের হাতে হাতে না। ওখানে উঠছি এক বড় ভাইয়ের কাছে।

যেখানে থাকি তার থেকে শহর ৪/৫ কি: মি:। বড় ভাই প্রতিদিন শহরে কাঝে যায় নিজের গাড়ী নিয়া। আমার তখনো ক্লাস শুরু হয়নি। কি এক কাজে যেন আমারও শহরে যাওয়া লাগবে। বড় ভাই সাথে নিছে।

আমারে নামায়ে দিয়া কয়ছে এইখানে ৭/৮ ঘন্টা পরে এসে দাড়ায়ে থাকবি। আমি তুলে নিব। যাহোক বড় ভাই তো চলে গেল। এদিকে আধা ঘন্টার মধ্যে আমার কাজ শেষ। কিছুক্ষণের মধ্যে আর ভাল লাগে না।

বাড়ী ফেরার রাস্তা মোটামুটি সোজা। বাইরে যদিও তুষার পড়ছে। আমি যেহেতু ঔখানে নব্য আবাল আর মনে করতাছি যথেষ্ট কাপড় পরে আছি- হেটে বাড়ী দিকে রওনা দিলাম। কিছুদূর যাবার পর টের পেলাম ঠান্ডা মানে নরওজিয়ান ঠান্তা কারে বলে ! মোটামুটি অর্ধেক রাস্তা যাবার পর বুঝলাম জীবনের সবথেকে বড় ভুল করে ফেলছি। হাত-পা অবশ হয়ে আসছে মনে হয় আর এক পাও এগোতে পারবোনা।

রাস্তায় কোন মানুষ-জন নেই। অলরেডী রাস্তার পাশে বসে পড়ছি। জানিনা কোথা থেকে এক পুলিশের গাড়ী। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়া কফি খাওয়ায়ে বাড়ীতে পৌছে দিল। তারপর থেকে পুলিশ দেখলে আমার নিশ্চিন্ত বোধ হয়।

ওদের আমি দেবদূত মনে করি। " আমরা লোকালরা একে অপরের মুখের দিকে দেখি। হ্যা, আমরাও বাংলাদেশ পুলিশকে দূতই মনে করি তবে যমদূত। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.