আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রোহিঙ্গারা কি মানুষ না? আমরা এ লজ্জা রাখবো কোথায়?

বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই। মুসলিম বিশ্বের নেত্রীবৃন্দ বলতে পারেন কি আমরা এ লজ্জা রাখবো কোথায়? না কেউই বলতে পারবো না। কারন একটাই, তা হলো ক্ষমতার দন্দ্ব, অর্থলোভ ও নারীলিপ্সা। যে গুলো আমাদের ধর্মে পুরোপুরি নিষিদ্ধ। ধর্মীয় ভাবাবেগ বাদ দিয়ে আমরা বস্তুবাদী তথা ভোগ বিলাসে মত্ত হয়ে তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় বিলাপ করছি।

আর এই মহাচ্ছন্ন অবস্থা আমরা হারাচ্ছি আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য এবং ভুলতে বসেছি ধর্মীয় শিক্ষা। মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই এ কথাটিও ভুলে গেছি অনেক আগেই। স্বীকারোক্তি মিয়ানমারের বিচার বিভাগের। সে যাই হোক, মানুষ হিসাবে একজন মানুষকে বাচাঁনো দায়িত্ব একজন মানুষেরই ইহা কোন পশুর কাজ না। আমরা কি পেরেছি মানুষ হিসাবে একজন মানুষকে বাচাঁতে? না পারিনি।

মানবতার মৃত্যুর জন্য কাঁদো মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গণহত্যা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে মুসলিম দেশগুলোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সমাজ কি এগিয়ে এসেছে? মিয়ানমারে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান বন্ধের লক্ষ্যে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কি পেরেছে আন্তর্জতিক সমাজ? পারেনি। ন্যাড়া বৌদ্ধদের পৈচাশিকতা মানবাধিকারের প্রবক্তা পশ্চিমা দেশগুলোর কি ভুমিকা পালন করেছে? মিয়ানমারে মুসলিম নিধনের ব্যাপারে পাশ্চাত্যের নীরবতা পশ্চিমা দেশগুলোর মানবাধিকার রক্ষার দাবিকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে। তোমাদের দোষ হচ্ছে তোমরা মুসলিম। মিয়ানমারে সরকারি মদদপুষ্ট দাঙ্গার শিকার প্রায় ১০০,০০০ রোহিঙ্গা মুসলমান আশ্রয় শিবিরে, খোলা আকাশের নিচে, বন-জঙ্গলে কিংবা নৌকায় ভাসমান অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছেন বলে গতকাল জানিয়েছেন সেখানকার ইসলামিক রিলিজিয়াস কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক হাজী কিং মং সান। তিনি বলেছেন, "নিরাপত্তা বাহিনীর লোকেরা আমাদের গুলি করে হত্যা করেছে, ঘরবাড়ী আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে।

আমরা সর্বস্বান্ত, অসহায়। খাদ্য ও আশ্রয়ের অভাবে আমাদের লোকজন মারা যাচ্ছে। " জেনোসাইড অন রোহিঙ্গা মুসলিমস 'সাসান নারায়ে কউঙসে' বা ইসলামী ধর্মীয় কাউন্সিল-এর হিসাব মতে, "গত একসপ্তাহের সহিংসতায় তিনশ'র বেশী মুসলমান নিহত হয়েছে, উদ্বাস্তু হয়েছে পঞ্চাশ হাজারের বেশী মানুষ। নিখোঁজ রয়েছেন কয়েকশ' মানুষ। " বিশ্বের সবচেয়ে ভাগ্যাহত জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গারা তবে,এর আগে আকিয়াব ও রোহাঙ অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত মুসলমানরা দাবি করছিলেন যে, গত ২১ অক্টোবর থেকে রাখাইনদের সবশেষ হামলায় ও আগুনে পুড়ে মারা গেছে প্রায় চার হাজারের মতো মানুষ আর গৃহহীন হয়েছে এক লক্ষের বেশী।

এ সময় ৪৫টি মুসলিম অধ্যূষিত গ্রামে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে প্রায় ছয় হাজার বাড়ি। আকিয়াবের পার্শ্ববর্তী ছোট শহর চক প্রুতে সবগুলো ঘরবাড়ী সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.