আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রকৃতির সমন্বয় মূলঃ ও হেনরী

একটি বানানভুলসর্বস্ব ব্লগ সেদিন আর্ট প্রদর্শনীতে একটা ছবি দেখলাম যা ৫০০০ ডলারে বিক্রি হয়েছে। ছবিটির শিল্পী ক্রাফট নামের পশ্চিমের অকর্মণ্য একজন যুবক। ক্রাফটের একটা পছন্দের খাবার ও প্রিয় মতবাদ ছিল। প্রকৃতির নির্ভুল শৈল্পিক সমন্বয় রক্ষার ব্যাপারে ছিল তার অগাধ বিশ্বাস। তার মতবাদটি ভুট্টা ও মাংসের কিমার সাথে ডিমপোচের সমন্বয়ের মতই অদ্বিতীয়।

ছবিটির পেছনে একটি গল্প আছে। বাসায় ফিরেই গল্পটার একটা শাব্দিক রূপ দিতে বসলাম। “ক্রাফটের মতবাদ”- কিন্তু এখানেই গল্পের শুরু নয়। তিন বছর আগে ক্রাফট, বিল জাডকিনস্‌ (একজন কবি) ও আমি সাইফারের রেস্টুরেন্টে খেতে যেতাম। সাইফারের ভাষায়, আমাদের কাছে যখন টাকা থাকতো তখন সে সেটা উসুল করে নিত।

আমাদের কাছে সাধারণত কোন টাকা থাকতো না। তবুও আমরা সেখানে যেতাম, খাবার অর্ডার দিতাম এবং খেতাম। কখনো টাকা দিতাম, আবার কখনো দিতাম না। সাইফারের গোমড়ামুখের আড়ালে লুকিয়ে থাকা উদারতার উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা ছিল, এর ফায়দা নিতে আমরা সচরাচর পিছপা হতাম না। আমার মাঝে মাঝেই মনে হত মনের গহীনে সাইফার হয় একজন জমিদার বা বোকা অথবা একজন শিল্পী ছিল।

সে ঘুণে ধরা একটা ডেস্কে বসে থাকতো। ডেস্কটা ওয়েটারদের এত পুরনো সব চেক দিয়ে ভর্তি ছিল যে হেন্ড্রিক হাডসন ক্ল্যাম্প খেয়ে যে চেকটা দিয়েছলেন তা হয়ত সবচেয়ে নিচে পাওয়া যাবে। তৃতীয় নেপোলিয়নের মত সব বিষয়ে নির্লিপ্ত থাকার প্রবল ক্ষমতা সাইফারের ছিল। আমরা যখন একবার ফালতু অজুহাত দেখিয়ে টাকা না দিয়ে বের হয়ে আসছিলাম তখন পেছনে ফিরে দেখি সে নীরব অট্টহাস্যে ফেটে পড়ছে। অবশ্য পকেটে টাকা হলেই আমরা পুরনো হিসাবগুলো শোধ করে দিতাম।

সাইফারের প্রধান আকর্ষণ ছিল মিলি। সে ক্রাফটের শৈল্পিক সমন্বয়ের শ্রেষ্ঠ নমুনা। মিনার্ভা যেমন ছিল রণকুশলী, ভেনাস প্রেম পটীয়সী, মিলিও তার কাজে তেমন দক্ষ ছিল। ব্রোঞ্জে মুড়িয়ে কোন বেদীতে তার অন্য মহীয়ষী ভগিনীদের সাথে এক কাতারে দাঁড় করিয়ে দিলে তার বেদীতে লেখা থাকতো-“লিভার ও বেকন দিয়ে পৃথিবী আনন্দময়”। সে ছিল সাইফারের সম্পত্তি।

কড়াইয়ের গন্ধময় নীল ধোঁয়ার কুন্ডুলীর মধ্য দিয়ে তার বিশাল দেহের আবির্ভাব ছিল হাডসনে ভেসে বেড়ানো কুয়াশার মধ্য দিয়ে উদয় হওয়া লোহার বেড়ার মতই স্বাভাবিক। সেখানে সিদ্ধ সবজীর ধোঁয়া ও বাষ্পায়িত শুকরের মাংস, বাসন-কোসনের ঝনঝন, ইস্পাতের ঠনঠন, খদ্দেরদের হাঁক-ডাক, ক্ষুধার্তদের চেঁচামেচি ও পরিবেশকদের হট্টগোল, ভনভন করা মাছিদের মধ্য দিয়ে মিলি এমনভাবে রাস্তা করে নিত যেভাবে একটি সুদৃশ্য যাত্রীবাহী জাহাজ হুংকাররত বর্বরদের ডিঙ্গিগুলোর মধ্য দিয়ে রাস্তা করে নেয়। আমাদের খাদ্যদেবীকে এত উদারহস্তে সৃষ্টি করা হয়েছিল যে তা সম্ভ্রম উদ্রেক না করে পারতো না। তার হাতাগুলো সবসময় কনুই পর্যন্ত গোটানো থাকতো। আমাদের ত্রিমূর্তিকে দুইহাতে তুলে জানালা দিয়ে ফেলে দেয়া ছিল তার কাছে ছেলেখেলা।

যদিও সে আমাদের চেয়ে বয়সে ছোট ছিল তবুও তার সরলতা ও নারীত্ববোধ এত বেশী ছিল যে প্রথম থেকেই সে আমাদের সাথে মাতৃসুলভ আচরণ করতো। সাইফারের ভোজ্য খাবারগুলো সে দাম ও পরিমাণ নির্বিশেষে আমাদের উপর রাজকীয়ভাবে বর্ষণ করতো, যেন তার প্রাচুর্য্যের কোন সীমা নেই। তার কন্ঠ কাঁসার ঘন্টার মত বাজতো। সবসময় তার মুখে লেগে থাকা হাসিটি ছিল দন্তবিকশিত। তার উপস্থিতি যেন পর্বতের চূঁড়ার উপর হলুদ সূর্যোদয়।

যদিও আমি কখনো দেখিনি তবুও তা আমকে ইউসেমিটির কথা মনে করিয়ে দিত। আমি কোনোভাবেই তাকে সাইফারের বাইরে কোথাও ভাবতেই পারিনা। প্রকৃতি তাকে এখানেই বুনেছেঃ এখানেই তার শেকড়, এখানেই সে প্রস্ফুটিত হয়েছে। সে এখানে সুখী ছিল। প্রতি শনিবার রাতে অল্প যা কিছু টাকা পেত তাতেই ছেলেমানুষের মত উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠত।

ক্রাফটই প্রথম আমাদের মনের সুপ্ত ভীতিকে ভাষা দেয়। আর্ট নিয়ে কথা বলতে বলতে প্রসঙ্গটা উঠে আসে। আমাদেরই একজন হাইডেনের সঙ্গীত ও পিসটাস আইস্ক্রীমের সাদৃশ্যের সাথে মিলি ও সাইফারের সংযোগটা তুলে ধরে। ক্রাফট বললো, “মিলির কপালে একটা ফাঁড়া আছে। ফাঁড়াটা না কাটলে সাইফার ও আমরা মিলিকে হারাবো”।

জাডকিনস ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলো, “সে কি আরো মুটিয়ে যাবে?” আমি চিন্তিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলাম, “তাহলে কি সে নাইট স্কুলে যেয়ে মার্জিত হয়ে যাবে?” ক্রাফট ছলকে পড়া কফি দিয়ে টেবিলে আঁকতে আঁকতে বললো, “ সিজারের ছিল ব্রুটাস, তুলোতে থাকে পোকা, কোরাসের মেয়েরা পেয়েছে তাদের পিটস্‌বার্গার, বাগানে বিষাক্ত লতা, বীরের মেডেল, শিল্পের মরগান, গোলাপের...” “আসল কথাটা বল,” আমি অস্থির হয়ে বাধা দিলাম, “তুমি নিশ্চয় বলতে চাইছো না যে মিলিও এরকম কাউকে পেয়ে যাবে?” ক্রাফট বিমর্ষ কন্ঠে বললো, “একদিন উইস্কন্সিস থেকে এক লাখপতি কাঠ ব্যবসায়ী সাইফারে এসে মিলিকে নিয়ে যাবে”। “কখনোই না,” আমি ও জাডকিনস্‌ আতংকের সাথে প্রতিবাদ করলাম। “একজন কাঠ ব্যবসায়ী,” ক্রাফট পুনরাবৃত্তি করলো। জাডকিনস্‌ গুঙিয়ে উঠলো, “উইস্কন্সিস থেকে!” আমরা সবাই স্বীকার করলাম যে মিলির কপালে এটাই আছে। কিছু কিছু ব্যাপার কখনোই অসম্ভব নয়।

কচি ডালের মতই মিলি কোন কাঠ ব্যবসায়ীর চোখে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। ভাগ্য একবার মুখ তুলে তাকালেই হল, কপাল ফিরতে সময় লাগে না। এসব লাখপতিরা সোজা নিউ ইয়র্কে উড়ে এসে যে মেয়েটা প্রথম তাদের কাছে খাবার পরিবেশন করে তার পায়েই তাদের সম্পদ লু্টিয়ে দেয়। রবিবারের কাগজের শিরোনামটা তাদের নিয়েই হবে জয়ীতা জয় করে নিল ধনাঢ্য কাঠ ব্যবসায়ী। প্রকৃতির শৈল্পিক সমন্বয়ের প্রতি ভালোবাসাই আমাদের অনুপ্রেরণা জাগায়।

বিত্ত ও প্রাদেশিকতার অভিশাপে দুষ্ট কোন কাঠ ব্যবসায়ীর হাতে আমরা মিলিকে তুলে দিতে পারি না। সংযত কন্ঠে হাতা নামিয়ে কোন বৃক্ষ নিধনকারীর মার্বেলের টেবিলে মিলি চা পরিবেশন করছে কথাটা ভাবলেই আমাদের গা শিউরে ওঠে। এটা হতেই পারে না! সাইফারেই তার ঠিকানা- এই বেকনের ধোঁয়ায়, এই বাঁধাকপির ঘ্রাণে, চায়না তেজসপত্র ও ঝনঝন করা ট্রে-এর সম্মিলিত এই রাজকীয় কলতানে। আমাদের ভবিষ্যতবাণী নিশ্চয় দৈবজ্ঞ ছিল। সেই সন্ধ্যাতেই মিলির সেই পূর্বনির্ধারিত পাত্র কোন এক জঙ্গল থেকে সাইফারে এসে হাজির হল- সুতরাং আমাদের সমন্বয় মতবাদটি হুমকির সম্মুখীন।

কিন্তু তার দায় বহন করল আলাস্কা, উইস্কন্সিস নয়। আমরা তখন বীফ স্ট্যু ও শুকনো আপেল দিয়ে রাতের খাবার খাচ্ছিলাম। ভদ্রলোক এমন হন্তদন্ত হয়ে ঢুকলো যেন তার পেছনে একপাল কুকুর লেগেছে। আবার এসে বসলো আমাদেরই টেবিলে। আমরা তাকে সাদরে আমন্রণ জানালাম এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের মধ্যে দহরম মহরম সম্পর্ক গড়ে উঠলো।

তার কাপড়চোপড় ছিল উষ্কখুষ্ক। সে তখনই উত্তরের নদীপথের একটা খনি এসেছে। আমি কল্পনায় তার কাঁধ থেকে চিলকুটের তুষারের গুঁড়ো ঝরে পড়ছে। এরপর সে টেবিলে তার জিনিসপত্র ছড়িয়ে রাখতে শুরু করলো- কিছু নাগেট, স্টাফ করা টার্মিগান হাঁস, কিছু পুঁথির মালা, এবং তার সম্পদের গান গাইতে শুরু করলো, “দশ লক্ষ টাকার ব্যাংক ড্রাফট ও খনি থেকে প্রতিদিন আসে হাজার টাকা। এখন কিছু বীফ স্ট্যু আর ক্যানে মজুদ পিচ পেলেই চলবে।

সিয়াটল থেকে রওনা দেবার পর থেকে পেটে আর কিছুই পড়েনি। আমার খুবই ক্ষুধা পেয়েছে। ট্রেনে নিগ্রোরা যেসব পরিবেশন করে সেগুলোতো একেবারেই অখাদ্য। আপনাদের যা ইচ্ছা অর্ডার করুন”। তখনই দুই হাতে পাহাড়সম থালা বাসন ও মুখে গিরিখাতে ভোরের আলোর হাসি নিয়ে মিলির প্রবেশ।

মিলিকে দেখে ক্লোডিনকারের হাত থেকে নাগেটগুলো পড়ে গেলো। সে হাঁ করে মিলির দিকে তাকিয়ে রইলো। ভাবটা এমন যেন সে এখনই মিলিকে মুকুট ও প্যারিস থেকে হাতের কাজ করা গাউন কিনে এনে দিবে। অবশেষে পোকা তুলোয় ঢুকলো, বিষাক্ত লতা পুরো বাগানকে বেষ্টিত করতে শুরু করলো, এবং লাখপতি কাঠ ব্যবসায়ী আলাস্কান খনি শ্রমিকের বেশে মিলিকে হাত করতে যেয়ে প্রকৃতির শৈল্পিক সমন্বয় বিনষ্ট করতে চললো। ক্রাফটই প্রথমে উদ্যাগ নিল।

সে ক্লোডিনকারের পিঠ চাপড়ে বললো, “ চল আগে একটু গলা ভিজিয়ে নেই, তারপর না হয় পেটপূজো করা যাবে”। আমি ও জাডকিনস্‌ দুইপাশ থেকে তাকে চেপে ধরলাম। তারপর তার জিনিসগুলো তার পকেটে ভরে শোরগোল করতে করতে রেস্টুরেন্ট থেকে একটা ক্যাফেতে যেয়ে ঢুকলাম। সে বিড়বিড় করে প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলো, “ঐ মেয়েকে আমার চাই। সে সারাজীবন আমার সম্পত্তি পায়ের উপর পা তুলে খেতে পারবে।

এরকম সুন্দর মেয়ে আমি জীবনে দেখিনি। আমি এখনই ফেরৎ যেয়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিব। আমার মনে হয়না আমার ধন সম্পদের কথা শুনে সে আর না করবে”। ক্রাফট তার শয়তানি হাসি হেসে তাকে উসকে দিল, “ আরেকটা হুইস্কি আর দুধ নাও। আমি ভেবেছিলাম তোমরা উত্তরের লোকের আরো ফুর্তিবাজ”।

ক্রাফট তার ছোট ভাঁড়ার উজাড় করে দিল। তারপর আমার আর জাডকিনসের দিকে এমনভাবে তাকালো যে আমরাও আমাদের অতিথিকে খুশি করতে সর্বস্ব উজাড় না করে পারলাম না। তারপর আমাদের ভান্ডার যখন খালি হয়ে গেল ক্লোডিনকার তখনও কিছুটা ধাতস্থ। সে তখনও মিলিকে নিয়ে বকবক করে চলেছে। ক্রাফট তার কানে কানে কৃপণদের নিয়ে মৃদু কন্ঠে কিছু ভর্ৎসনা করলে সে পাপমোচনের জন্য তার পকেটের সব টাকা পয়সা বের করে দিয়ে মদের পিপে দিয়ে ক্যাফে সয়লাব করে দেয়ার হুকুম দিল।

আমাদের কাজ শেষ। মাছের তেল দিয়ে মাছ ভাজা হয়ে গেলো। তারপর তাকে আমরা দূরের একটা ছোট হোটেলের বিছানায় শুইয়ে দিয়ে আসলাম। ক্রাফট বলল, “সে আর কখনো সাইফার খুঁজে পাবে না। পরদিন সকালে সাদা এ্যাপ্রন পড়া যে মেয়ে প্রথম তাকে খাবার পরিবেশন করবে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিবে।

শেষ পর্যন্ত মিলি- মানে, প্রকৃতির সমন্বয় রক্ষা হল”। এরপর আমরাও সাইফারে ফিরে গেলাম। তখন অল্প কিছু কাস্টোমার ছিল। আমরা তিনজন মিলিকে মাঝে রেখে ইন্ডিয়ান নাঁচ নেঁচে নিলাম। এগুলো তিন বছর আগের কথা।

সেই সময়েই ভাগ্যদেবী আমাদের উপর সুপ্রসন্ন হয়েছিলেন। আমাদের কাছে সাইফারের চেয়ে দামি খাবার খাওয়ার মত টাকা হয়েছিল। আমরা তিনজন তিনদিকে ছিটকে পড়োলাম। জাডকিনসের সাথে মাঝে মাঝে দেখা হত। কিন্তু ক্রাফটের সাথে দেখা হওয়া একেবারেই বন্ধ হয়ে গেলো।

যাই হোক, যা বলছিলাম। সেদিন একটি ছবি ৫০০০ ডলারে বিক্রি হতে দেখলাম। ছবিটির টাইটেল ছিল “বোডেসিয়া”। ছবিটি খুব চেনা চেনা লাগলো। আমি নিশ্চিত যে সেখানে যতজন শিল্পগ্রাহী ছবিটির সামনে দাড়ীয়ে ছিল তাদের মধ্যে আমি একাই চাইছিলাম যে বোডেসিয়া ফ্রেম থেকে বের হয়ে আমাকে ভুট্টা ও মাংসের কিমা ও ডিমপোচ দিয়ে যাক।

আমি তাড়াহুড়ো করে ক্রাফটের সাথে দেখা করতে গেলাম। তার শয়তানের মত হাসিটা আগের মতই আছে। চুলগুলো আরো জট পাকিয়ে গেছে, কিন্তু পোশাক ছিল ভাল দর্জি দিয়ে বানানো। “আমি জানতাম না”। সে উত্তর দিল, “আমরা টাকাটা দিয়ে ব্রংক্সে একটা বাড়ি কিনেছি।

যে কোন দিন সাতটায় চলে আসো”। “তুমি যখন আমাদেরকে ক্লোডিনকারের পিছে লেলিয়ে দিলে সেটা তাহলে পুরোপুরি প্রকৃতির সমন্বয় রক্ষার স্বার্থে ছিলো না?” সে দাঁত বের করে বললো, “না, ঠিক পুরোপুরি ছিলো না”। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।