আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি নারী ও কয়েকজন আনাড়ী (আমার স্বপ্নে পাওয়া প্রথম কবিতা যা নোবেল প্রাইজ পাওয়ার জন্য মনোনীত হওয়ার জন্য মনোনীয় হওয়ার অপেক্ষায়)

যখন একা বসে ভাবি তখন সেই ভাবনাগুলোই গান হয়ে যায়। তারপর গীটারটা হাতে নেই সেই ভাবনাকে সুরের মূর্ছনায় ছড়িয়ে দিতে। এভাবেই চলছে গান, ভাবনা আর বেচে থাকা। নোটিশঃ “এই লেখাটি শুধুমাত্র জ্ঞানীদের জন্য। আপনার যদি মনে হয় আপনারর জ্ঞানের লেভেল কোন নোবেল প্রাইজ প্রত্যাশী প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে কয়েক ডিগ্রি কম তবে এই স্ট্যাটাস থেকে কমপক্ষে ১০০ লিটার দুরত্বে অবস্থান করুন।

অবশ্য কেউ এই স্ট্যাটাসে লাইক দিলে তার জ্ঞানের লেভেল পর্যাপ্ত বলেই বিবেচিত হবে (বেনিফিট অফ ডাউট অনুযায়ী)। ” অদ্ভুত এক ঘটনা ঘটে গেছে ঘন্টা দেড়েক আগে। লাঞ্চ করে বসে বসে স্টার প্লাসের "তেরা জুতা মেরা স্যান্ডেল" নাটকটি দেখছিলাম, ইয়ে সরি মানে স্টার প্লাস তো আমি দেখিনা, সম্ভবত এন টিভিতে টক শো দেখছিলাম এই শিরোনামের “আপনি কি রাজনীতিবিদ অথবা প্রতিবন্ধী?” (গেছিলামরে ধরা পইরা)। তো হঠাৎ করে ঝিমুনি ধরে যায়। ঝিমুনি থেকে হালকা চোখ লেগে যায় যেটাকে ইংরেজিতে বলা হয় "ন্যাপ" (আমার ইংলিশ জ্ঞান মাঝারি ধরনের, তাই দুই একটা ইংলিশ শব্দ যা জানি সেগুলো পাবলিক প্লেসে চান্স পেলে জাহির করার সুযোগ হাতছাড়া করার অভ্যাস আমার নেই)।

ঠিক এমন সময়েই সেই বিশেষ ঘটনার অবতারনা। আমি ঘুমন্ত অবস্থায় হঠাৎই খেয়াল করলাম যে, আমি ঘুমিয়ে আছি। খেয়াল করার কিছুক্ষন পর আমি একটি "কবিতা" স্বপ্ন দেখলাম। কবিতাও যে স্বপ্ন দেখা যায় এটি আমার জানা ছিল না তবে স্বপ্নটি দেখার পর জানা হয়ে যায়। আমি আরো অবাক হয়ে খেয়াল করি যে কবিতাটি বেশ উচ্চ মার্গের এবং রুচিশীল তথা হাজীর বিরিয়ান মার্কা।

এই কবিতা রবীন্দ্রনাথের আমলে যদি রিলিজ করতে পারতাম তাহলে হয়তো রবীন্দ্রনাথের আর নোবেল প্রাইজটি পাওয়া হতো না। সে যাই হোক, আমিই বোধহয় পৃথিবীর প্রথম ব্যক্তি যে স্বপ্নে তাবিজ-মাদুলি-মাজার এসব না পেয়ে একটি ঝাকানাকা কবিতার সানিধ্য পেলাম। কবিতাটির ভাব-গাম্ভীর্যে আমি অভিভূত। নিচে হুবুহু স্বপ্নের ভাষায় তা উপস্থাপনের চেষ্টা করলাম। কবিতার নামঃ একটি নারী ও কয়েকজন আনাড়ী (স্বপ্নের মাধ্যমে পাওয়া পাইরেটেড ভার্সন) হেটে যায় কিছু মনুষ্য নারী, পাশে হেটে আমি ফিরি বাড়ি, উপরে আকাশ, নিচে মাটি, আমি সারাদিন গাধার মত খাটি।

সে আমার সম্পদ নয়, সে আমার সম্পত্তিও নয়, এখানেই নয় শেষ, সে আমার জলজ্যান্ত ব্যাংক ব্যালেন্স। বাশবাগানের মাথার উপর চাদটা আজ গায়েব, মুখ সামলে কথা বলবেন জনাব চৌধুরি সাহেব। মেঘের কোলে রোদ হেসেছে, আর হেসেছে কে, এত কথা জানার তুই বেটা কে? আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা গরুর হাটে যাই, গরু-গাধায় আজকাল আর পার্থক্য তো নাই। নোবেল প্রাইজ আর পদ্মা সেতু একই সূত্রে গাথা, হু তোমারে কইছে ! গেছে তোমার মাথা। শেয়ার বাজার বি এন পি, আওয়ামী লীগের নয়তো কোন ইস্যু, আবুলে মালের দোষ নেই রে, ওতো একটা শিশু।

শেয়ার বাজার হারিয়ে গেছে, ফিরবে কি কভু আর, মাই নেম ইজ অনন্ত জুলিল, আই ডোন্ট বদার। সে আমার স্বপ্নরানী, নামটি বনলতা, আর কতবার বলবি তুই এসব ফালতু কথা। আমারে দুদন্ড শান্তি দিয়েছিল বনলতা সেন, এবার তবে বন্ধ কর তোর আজাইরা প্যানপ্যান। নোটিশ ২ ঃ এই লেখাটি শুধুই ফানের জন্য। এখানে বিখ্যাতদের কিছু লাইন নিয়ে ফান করার চেষ্টা করেছি তবে সেটা শুধুই ফান।

ব্যক্তিগতভাবে এরা সবাই আমার চোখে লেজেন্ড, এদের মত করে দু-লাইন লেখার যোগ্যতাও আমার নেই। আর এ ধরনের লেখা অনেকের কাছে পাগলামি মনে হয় সেটা আমি জানি। কারণ একের জনের সেন্স অফ হিউমার একেক রকম। কারো ভালো না লাগলে আমি দুঃখিত। আর সবাইকে ঈদ মোবারক।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.