আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকার কল্যাণপুর বাস কাউন্টারের জিএম ও সুপারভাইজারদের দৌরাত্ম এবং মন্ত্রী মহোদয়ের দুঃখ প্রকাশ।

মন্ত্রী মহোদয় দুঃখ প্রকাশ করলেন। খুবই সুন্দর। ঢাকার কল্যাণপুর কাউন্টারে জি এম এবং সুপারভাইজাররা যে বেশী অর্থ আদায় করেছেন তার কি করেছেন মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়। সুপারভাইজাররা যাত্রীদের সাথে পথে যে ব্যবহার করেছে , জিএমগণ তাতে সায় দিয়েছে কোন প্রতিকার করে নাই। তার তো কোন ফয়সালা হলো না।

পথে সুপারভাইজারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার মতো কোন ভ্রাম্যমান আদালত তো ছিল না। এসব কারণে মানুষের মনে যে ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে দুঃখ প্রকাশের মধ্যে তার অবসান হবে না। যাত্রীকে না জানিয়ে ঐ একই সিটের টিকেট অন্য জনের কাছে বিক্রি করা তো অন্যায় ও দুর্নীতি। যদি টিকেটির যাত্রী না যায় তাহলে ঐ সিট ফাঁকা যাবে। সাময়িকভাবে কেউ তাতে বসলেও প্রথম টিকেট কেনা যাত্রী আসলে তাকে ঐ সিট দিতে হবে।

এটাই নিয়ম। কল্যাণপুর থেকে বাস কাউন্টার এ নিয়মের বরখেলাপ করছে। তাদেরকে তো মাননীয় মন্ত্রী ধরলেন না। ভুক্তভোগী যাত্রীদের কাছে তারা টাকাও ফেরত দেয় নাই , ক্ষমাও চায়। মন্ত্রী মহোদয় আপনি একটি দুঃখ প্রকাশ করলেই এসবের অবসান হবে না।

ঐ মালিকেরা শাসক দলকে অনেক ভাবে সহায়তা করে , মন্ত্রী মহোদয়গণ গেলে আদর সম্মান (!) করে। সে জন্যই কি মন্ত্রী মহোদয় আপনি তাদের প্রতি দুর্বল? কল্যাণপুর কাউন্টারের বাসের জি এম ও সুপারভাইজার যদি জনরোষে পড়েন তখন কি হবে। বিচারকগণ , জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা গণ ও পুলিশ বাহিনীর এখতিয়ার সম্পন্ন সদস্যগণ এর প্রতিবিধানে এগিয়ে আসুন। আপনারা ভুক্তভোগী জনগণের পাশে দাঁড়ান। দুর্নীতিবাজদের পক্ষ ত্যাগ করুন।

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় পূবের আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখুন। লেখকঃ সাবেক জেলা ও দায়রা জজ । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।