আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমিও একটা কপিপেস্ট পোস্ট দিলাম... দয়া করে একবার চোখ বোলাবেন!

"মনের ভেতর মনের ছায়া রেখো আড়াল করে" যেখানে ডাক্তার বা হাতের কাছে ঔষধ নেই! নভেম্বর 1, 2011 by ইবনে বতুতা রোগ ব্যাধি ঘটনা দুর্ঘটনা কখনও সখনও সবার জীবনে ঘটে। আপৎ কালিন প্রাথমিক প্রতিরোধমূলক বিধি ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করছি, ট্রাই করে দেখলেও দেখতে পারেন। ১। হঠাৎ করে পেটে ব্যথা অনুভব করলেন, পেট ফেঁপে রয়েছে । হাতের কাছে এন্টাসিড জাতিয় কোন ঔষধ নেই।

তখন এক কাপ উষ্ণ পানির মধ্যে এক চা চামচ জিরার গুড়া ছেড়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করে তারপর চামচ দিয়ে নেড়ে জিরার গুড়া সহ পানি সবটুকু পান করে নিন। দেখবেন কিছু ক্ষণের মধ্যে পেটের গ্যাস চলে গেছে, পেট ব্যথাও চলে যাবে। তবে জিরার গুড়া না হলে চলবে আস্ত জিরাকেও ১০/১৫ মিনিট ভিজিয়ে নিয়ে শুধু পানিটুকু পান করলে চলবে তবে আস্ত জিরার পরিমাণ বাড়াতে হবে এক টেবিল চামচ হতে হবে। ২। কারো বেশি খাওয়া কিংবা গুরু পাক অথবা এমন কিছু খাওয়ার কারণে পেট খারাপ, মানে ঘন ঘন টয়লেট যাওয়া হচ্ছে।

তারা এক কাপ উষ্ণ গরম পানিতে এক চা চামচ দাড়চিনির গুড়া চামচ দিয়ে মিশিয়ে খেয়ে দেখুন কিছুক্ষণের মধ্যে টয়লেটে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। ৩। ঘরে কারো কোন অঙ্গ হঠাৎ করে কেটে গেছে! দর দর করে রক্ত ঝরছে! এক কাজ করুন, হাতের কাছে চিনি থাকলে এক খাবলা চিনি নিয়ে ঐ কাঁটা স্থানে চেপে ধরেন পাঁচ মিনিট! ব্যস রক্তপড়া বন্ধ হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। ৪।

ঘরে কারো শরীরের কোন অংশ পুড়ে গেলে কি করবেন! দৌড়া দৌড়ী না করে টুথপেষ্ট দিয়ে ভাল করে আগুনে পুড়ে যাওয়া স্থানে প্রলেপ করে দেন। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। ৫। কেউ আচানক কোন সংবাদ পেলে, বা কারো মূর্ছা যাওয়া রোগ থাকে এখানে সেখানে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যায়। এই রূপ কোন রুগীর কাছে থাকলে যদি কারো কাছে বডি স্প্রে বা পারফিউম জাতিয় কিছু থাকে তাহলে ঐ রোগীর নাকের কাছে কিছু ক্ষণ স্প্রে করতে থাকেন তাহলে দেখবেন সে জ্ঞান ফিরে পাবে।

৬। মুখে বা জিহ্বায় অনেকের ঘা হয়, যাকে মাউথ আলসার বলে থাকেন। এর কোন ঔষধ নাই। ভুক্তভোগীরা জানেন কেমন যন্ত্রণা! তবে একে পুরা নিরোধ করতে না পারলেও এর আক্রমণের প্রচণ্ডতা কমান যায়। যখন দেখবেন মুখে বা জিহ্বায় ঐ শত্রুটি জন্ম লাভ করতে যাচ্ছে।

তখন আধপাকা কলা খেয়ে নিবেন তাহলে ঐ বেটা আর বাড়তে পারবেনা। আর পরিস্থিতি যদি আরও খারাপ থাকে মানে মাউথ আলসার পেকে যায় তাহলে ঘি কিংবা বাটার ঐ ক্ষত স্থানে লাগালে সাময়িক উপশম হবে। বিশেষ করে খাবার পূর্বে লাগিয়ে নিলে খাবার সময় ব্যথা অনুভূত হবেনা। ৭। শীতের দেশে কারো যদি জ্বর আসে প্রচণ্ড জ্বর কম্বলের ভিতরে গিয়ে ঠক ঠক করে কাঁপুনি আসে।

আবার জ্বরে শরীর পুড়ে যাচ্ছে। তিনি লেবু, শসা টমেটো কে পাতলা চাক চাক করে স্লাইস করে ঐ স্লাইস গুলো একের পর এক (যেমন লেবুর পর শসা শসার পর টমেটো স্লাইস) কপাল থেকে শুরু করে মাথার চার পাশের বসিয়ে লম্বা রুমাল বা গজব্যান্ডিজ দিয়ে বেধে রাখুন। দেখবেন কিছু ক্ষণের মধ্যের জ্বরবাবাজি পালিয়ে যাবেন। ৮। যারা অফিস আদালতে বা ছায়ায় বসে বেশির ভাগ সময় অতিবাহিত করেন তারা যদি কখনও অতি রোদে পুড়ে যান তো মাথায় এক ধরণের প্রচণ্ড অস্থিরতা বোধ করেন।

অনেকে ভাবেন যে প্রেশার বেড়ে গেছে! আসলে তা নয় । এই ধরণের অস্থিরতার সময় কোন ঔষধ না নিয়ে সারা মাথায় গোলাপজল মাখিয়ে নিন। দেখবেন কিছু ক্ষণের মধ্যে আপনার মাথা হালকা হয়ে যাবে। ৯। বাচ্চাদের অনেক সময় দাঁতে ব্যথা হয় ।

যাদের দাঁতে ক্যারেজের আক্রমণের গর্ত হয়ে গেছে, যাকে আমরা বলে থাকি পোকায় ধরেছে! সেই ছিদ্রে মেয়েরা যে নেইল পলিস ব্যবহার করে তা থেকে এক ফোটা দিয়ে তোলা দিয়ে চেপে ধরে রাখতে বলুন । দেখবেন কিছু ক্ষণের জন্য ব্যথা কমে গেছে। তবে অবশ্যই দাঁতের রোগীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন। নতুবা এই সামান্য দাঁতের ব্যথা থেকে ক্যান্সার হয়ে যেতে পারে। উৎস: http://www.shodalap.org/ibnbatuta/6773 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।