আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মরণের পরে বিয়ে,ঘটনা না পড়লে বুঝতে পারবেন না।

সততাই সবসময় রাখা চাই,বাচিবার তরে । আগেই বলে রাখছি মানুষ মাত্র ভুল হয়। এটি একটি প্রভাবশালী পত্রিকার সামান্য ভুলের কারণের নজির বৈ আর কিছু নয়। সমালোচকরা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি। নিচে দেখুন তাহলে আসল ঘটনা কি-- একটা ডিনার পার্টিতে গিয়ে একটু বেশিই গিলে ফেলেছিলেন রেক্স অলস্টোন।

বয়স তখন ৮৪, শরীর কি আর সব সময় সহ্য করতে পারে! আচমকাই মূর্ছা গেলেন। কেমব্রিজ ব্লু ও বিবিসি রেডিওর বিখ্যাত ক্রিকেট, টেনিস ও রাগবি ধারাভাষ্যকারকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হলো ওয়েস্টমিনস্টার হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা আশ্বস্ত করলেন, এমন কিছু নয়। সতর্কতার জন্য রাতটা রেখে দিয়ে সকালেই ছেড়ে দেওয়া হবে। সকালে ঘুম ভাঙার পর অভ্যাসবশত বিছানার পাশের টেবিল থেকে পত্রিকাটা হাতে নিলেন।

পাতা ওল্টাতেই চক্ষু চড়কগাছ। চারপাশে তাকিয়ে রীতিমতো আঁতকে উঠলেন অলস্টোন; হাসপাতাল! আগের রাতের ঘটনা মনে পড়ল। টলে পড়ছিলেন, দুই চোখ বন্ধ হয়ে আসছিল। মনে মনেই ভাবলেন, ‘তবে কি আমি সত্যিই মারা গেছি!’ নিজের দিকে তাকালেন একবার, চিমটি কাটলেন হাতে, অনুভূতি তো আছে! পাশেই থাকা নার্সকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমি কি মারা গেছি?’ চোখ নাচিয়ে নার্সের উত্তর, ‘আমাকে কি তোমার স্বর্গের অপ্সরা মনে হচ্ছে?’ অলস্টোনের ধন্দ কাটে না, আবার তাকালেন দ্য টাইমস-এর পাতায়। এই তো অলস্টোনের ‘অবিচ্যুয়ারি’ (মৃত্যুর পর শ্রদ্ধাঞ্জলি) ছাপা হয়েছে! ঘটনা হলো, জীবনের শেষ প্রান্তে চলে যাওয়া বিখ্যাত ব্যক্তিদের অবিচ্যুয়ারি আগে থেকেই লিখে রাখে পত্রিকাগুলো, প্রয়োজনের সময় দ্রুত ছাপানোর জন্য।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপডেট করা হয় তথ্য। অলস্টোনের অবিচ্যুয়ারি আপডেট করতে গিয়ে ভুল করে ছাপাই হয়ে যায়! আগের রাতের দুর্ঘটনা মিলিয়ে রীতিমতো বিশ্বাসযোগ্যও হয়ে ওঠে ব্যপারটা। হাসপাতালে পরিচিত ব্যক্তিদের ভিড় বাড়তে থাকে। অবিচ্যুয়ারি হাতে নিয়ে হাসিমুখে সবাইকে অভ্যর্থনা জানান অলস্টোন! বেঁচে থাকার প্রমাণ দিতেই যেন পরের বছর আরেকবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন অলস্টোন, সেই সংবাদও ঘটা করে ছাপা হয় দ্য টাইমস-এ। নিঃসন্দেহে তিনি ইতিহাসের একমাত্র ব্যক্তি, পত্রিকায় যাঁর বিয়ের খবর ছাপা হয়েছে মৃত্যুর সংবাদের পর! ওই ঘটনা ১৯৮৫ সালের।

আরও নয় বছর পর, ৯৩ বছর বয়সে মারা যান অলস্টোন। সূত্র:-http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-10-21/news/299818 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.