আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী

একজন স্বাধীন নাগরিক হওয়ার চেষ্টায় .... একদা প্রাইভেট পড়িয়া স্যার এর বাসার সামনের বাঁশ বাগান ঘুরিয়া বিদ্যালয় যাইবার সময় হঠাৎ চোখ পড়িয়া গেল কিছু লতাগুল্মের দিকে ! তাকাইয়া দেখি হালকা সবুজাভ বর্ণের সেই সকল লতাগুল্ম হইতে যেন সুগন্ধ বাহির হইতেছে , ব্যাপারটা কিঞ্চিৎ গোলমেলে দেখিয়া অগ্রসর হইলাম উহার রহস্য উন্মোচনের লাগিয়া । লতাগুল্ম হাতে লইয়া চিন্তা করিতেছি আর ভাবিতেছি ইহা হইতে এই রকম সুগন্ধ আসিবার কি কারন হইতে পারে । ইহা কি কোন মহাজাগতিক ব্যাপার , নাকি কোন অতিপ্রাকৃত ঘটনা ! প্রথম কথা , যদি ইহা কোন মহাজাগতিক ব্যাপার হইয়া থাকে তা হইলে ইহার আশেপাশে আরও কিছু আলামত পাওয়া যাইতে পারে । যেমনটি কিনা আমরা ইদানিং কালের ইংরেজি মুভিগুলাতে দেখিয়া অভ্যস্ত । দ্বিতীয় কথা , যদি ইহা কোন অতিপ্রাকৃত ঘটনা হইয়া থাকে তা হইলে রহস্য উন্মোচন তো দূরে থাক , প্রাণখানা হাতে লইয়া কোন রকমে দৌড়াইয়া পালাইতে পারিলেই বাঁচা যায় ।

এইখানেও ঐ ইংরেজি হরর মুভিগুলার কথা মনে করাইয়া দিতে হইবে পাঠকদিগকে । তা না হইলে কি আর কেঁচো খুড়িতে সাপ বাহির হইবার ভয় হয় । যাই হউক , অতঃপর নানা রকম নিরীক্ষা করিয়া এই সিদ্ধান্তে উপনিত হইলাম যে ইহার উৎপত্তি ভিনগ্রহ (শনির কোন উপগ্রহ হইতে হইবার ব্যাপক সম্ভাবনা !!) হইতেই । ওইদিকে আবার আমার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে করিয়া পর্যবেক্ষণ করিতেছিলেন জনৈকা মহিলা ( প্রথমে বুঝিতে না পারিলেও পরে বুঝিতে পারিয়াছি ঐ মহিলা আমার স্যার এর বাসার দোতলায় থাকিতেন ) । যাহার কিনা সুদর্শনা একজন গুণবতী কন্যা ও আছে ।

এক দুইবার উনার সহিত চোখাচোখি ও হইয়া গেল কিঞ্চিৎ । কোন এক অদ্ভুত কারনে মনে হইল বিপদ আমার দোরগোড়ায় আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে । ঠিক তখনি যেন এক অতিব গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফালাইয়া আসিয়াছি এমন একখানা ভাব করিয়া হাঁটা দিতে লাগিলাম রাস্তার দিকে । ওমনি একখানা গুরুগম্ভির আওয়াজ শুনিয়া আমার পিলেখানি চমকাইয়া উঠিল । “ কে ওইখানে , কি করিতেছ এই অবেলায় ওইখানে দাঁড়াইয়া , তোমার হাতেই বা ওইটা কি দেখা যাইতেছে ? “ ।

এত গুলি প্রশ্ন একসাথে শুনিয়া কোনটা ছাড়িয়া কোনটার জবাব দিতে যাইব , তা ভাবিতে গিয়াই বোধকরি একটা প্রশ্নের ও জবাব দিতে পারিলাম না । কিছু বলিতে যাইব এমন সময় আরও কিছু প্রশ্নবাণে জরজরিত হইলাম , এইখানে কি কারনে আসিয়াছি , তাহার মেয়ের সহিত আমার কোন যোগাযোগ আছে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি । কি করিব দিশা না পাইয়া একখানা ভয়ানক সিদ্ধান্তে মনস্থির করিলাম যে , আর যাই হোক এইখানে দাঁড়াইয়া থাকিয়া বিপদ আর বাড়াইব না । যেই ভাবনা সেই কাজ , দিলাম একখানা ম্যারাথন দৌড় ঊর্ধ্বগগনে চাহিয়া । আর ঐ মহিলার চিৎকার তখন আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হইতেছে ।

রাস্তা পর্যন্ত দৌড়াইয়া আসিয়া হাপাইতে হাঁপাইতে দেখিলাম হাতে এখনও ঐ বস্তুখানি ধরিয়া আছি । বস্তুখানার দিকে একবার তাকাইয়া ই শিউরে উঠিলাম আমি , এ যে মেয়েদের চুল বাঁধিবার রাবার ! ইস ঐ মহিলা না জানি কি ভুল টাই না ভাবিবে আমাকে লইয়া । আমি নিপাট ভদ্রছেলে একজন , কি ভুল টাই না করিয়া বসিতেছিলাম আর একটু দেরি হইলেই । কিছুক্ষন চিন্তা ভাবনা করিয়া মনে হইল আগামীদিন স্যার এর ওইখানে না যাওয়াই বোধহয় উত্তম হইবে । তবে অবশ্য ঐ “ মহাজাগতিক “ বস্তুখানার মালিক “এলিয়েন “ কে একবার না দেখিলেই নয় ।

। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.