আমরা একসময় ছিলাম ভিশনাইজ জাতি। দিনে দিনে আমরা ভিশনাইজ থেকে সুশীল জাতি তথা টক শো জাতিতে পরিণত হতে চলেছি। আজকাল টকশোগুলোর কুশীলব আসিফ নজরুলদের মত তথাকথিত কুলীন থেকে শুরু করে এককালের বদর আলী সেও আজ বদর সাহেব হয়ে যাচ্ছে অর্থাত সবাই আজ সব বিষয়ের জ্ঞান রাখেন। ভাল কথা কিন্তু যারা সর্ব বিষয়ের জ্ঞানী নিজেকে জাহির করছেন তার কর্মকান্ড কে মনিটর করছে তার হিসেব কেউ করতে চায় না। জনাব আসিফ নজরুলের কথা শুনলে মনে হয় তিনি এক বিপ্লব করে ফেলেছেন ।
সমাজের জন্য কিছু করে দেখাতে পারলে বুঝা যেত ওনার কত হেডম আছে। যেকোন বিষয় নিয়ে যে কেউ সমালোচনার করার অধিকার রাখে বা বলেই আমি মনে করি।
জনাব আসিফ নজরুল ঢাবিতে সাদা দলের রাজনীতি করেন আর ভাববেন সুশীলতার ভাব নিয়ে ঘুরেন আর নানা কায়দায় সরকারের সমালোচনা করেন । ভাল কথা কিন্তু কখনও কি ওনার মনে হয় তার নিজেরও আত্মসমালোচনার দরকার আছে। যাহোক ঐদিকে আমি আর আলোকপাত করছি না।
অথচ এরাই আমাদের মিডিয়ার মধ্যরাতের কুশীলব।
তাকে (আসিফ নজরুল)আমি বর্তমান প্রজন্মের রাজাকার বলেই মনে করি কারো কোন আপত্তি থাকলে ও কিচ্ছু করার নাই।
যাক প্রসঙ্গে ফিরে আসি ,আজ ওয়াল্টন নিয়ে অনেক কথাই হয়। এইটা কি আসলেই দেশী ব্যান্ড নাকি চায়নিজ ভার্সন-এই ধাধাঁ অনেকেই পড়ি। এটাও হয়ত মধ্যরাতের কুশীলবদের কারণেই।
ভাবতে অবাকই লাগে স্বাধীনতার ৪০ বছরেও আমরা আমাদের নিজেদের পন্যের বাজার তৈরী করতে পারিনি। এইটা আমাদের বিশাল ব্যর্থতা। ভিয়েতনাম যারা আমাদের চেয়েও অনুন্নত তারাও আজ ইলেক্ট্রনিক্স এ নিজেদের ব্যান্ড তৈরী করে ফেলেছে। আমজি সেক্টরে যারা কাজ করেন তারা হয়ত জানে থাকবেন। বিশ্বের বড় বড় বিনিয়োগগুলো হয় টেকনোলজির উপরে অথচ আমাদের দেশে হয় চানাচুরের উপর ,সরিষার তেলের উপর নয়তো গার্মেন্টসের উপর।
আমাদের ভিশনের কত অভাব,স্কয়ার,বেক্সিমকো,আফতাব, প্রাণ,এপেক্সের মত প্রতিষ্ঠান আজ বিনিযোগ করতে পারে টেকনোলজির উপর। যেখানে ভারতীয় টাটা,হিরোরা পরে। জাতি হিসেবে আমাদের ভিশনাইজড স্বত্বা আজ হারাতে বসেছে কিছু ।
তারমধ্যে ওয়াল্টন শুরু করেছে এইটাই বা কম কিসের । হয়ত মান কোরিয়ান পন্যের মত ভাল না,কিন্তু উৎকর্ষ সাধনের সুযোগ তো আছে নাকি ? তাহলে কেন কিছু মানুষের নাক সিটকানো ? আসলে আমারা সবাই আজ টকশোতে জোয়ারে সমালোচনা করতেই অভ্যস্ত হয়ে উঠছি।
অথচ যারা আজ একটু দুনিয়ার খোজ খবর রাখার চেষ্টা করি তারা সহজেই জানতে পারি পারি এখনকার যুগটাই হলো আউট সোর্সিং এর যুগ। এক একটা অংশ এক এক জায়গায়(পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন প্রান্ত)তৈরী হতে পারে কিন্তু মাদার ব্যান্ড তার কোয়ালিটি নিয়ন্ত্রণ করে। ওয়ান্টনেও ক্ষেত্রেও তা করা হয়ে থাকতে পারে। তারপর তো আর কারো সন্দেহ থাকার কথা নয়।
আসলে সবাই টকশো তে আচ্ছন্ন,কে শুনে কার কথা ।
টকশোর কুশীলবদের মতই অন্যের ছিদ্রা অন্বেষনে আজ ব্যস্ত. তা হোক না যেকোন বিষয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।