আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘মৃত্যুর সময় ক্যান্সারে ভুগছিলেন নেরুদা’

১৯৭৩ সালে জেনারেল অগাস্তো পিনোচেট চিলির রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের কিছুদিনের মধ্যেই বামপন্থী কবি নেরুদা মারা যান।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ রয়েছে, গুপ্তচরদের বিষ প্রয়োগে নেরুদা মৃত্যুবরণ করেছেন। আর এই অভিযোগ তদন্তে নেরুদার দেহাবশেষ তুলে সেটি পরীক্ষা করা হচ্ছে।
তবে ধারণা করা হয় নেরুদা প্রোস্টেট ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে তার ক্যান্সার গুরুতর পর্যায়েই ছিল।

আর এ কারণে নেরুদার স্বাভাবিক কারণে মৃত্যুবরণ করেছে বলে যে আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন রয়েছে এটি তাই সমর্থন করছে।
কিন্তু চিলির কমিউনিস্ট পার্টির হয়ে নেরুদার মৃত্যুরহস্য নিয়ে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী এদুয়ার্দো কন্ট্রেরাস বলেছেন, এখনই এ বিষয়ে সুনিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর সময় আসেনি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবরেটরিতে বিষক্রিয়ার বিষয়ে পরীক্ষার পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘এটা কোনো নতুন খবর নয় যে, নেরুদা ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু সেটি যৌক্তিক হবে তার হাড়ের এক্স-রে প্রতিবেদনে ক্যান্সার ধরা পড়ার মধ্যদিয়ে।

’ চিলির প্রেসিডেন্ট সালভাদর আলেন্দের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন নেরুদা। জেনারেল পিনোচেট আলেন্দেকে সরিয়ে ক্ষমতা দখলের ১২ দিন পর ৬৯ বছর বয়সে নেরুদা মারা যান।
নেরুদার এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী দাবি করেন, নেরুদাকে জেনারেল পিনোচেটের নির্দেশে প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। কিন্তু তার পরিবার জেনে এসেছে এবং তারা তাই মনে করে যে, নেরুদা ক্যান্সারের কারণে মারা গেছেন।
নেরুদাকে বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে বলে তার সাবেক গাড়িচালক এবং ব্যক্তিগত সহকারী ম্যানুয়েল অ্যারায়ার অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১১ সালে চিলির সরকার নেরুদার মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তদন্ত শুরু করে।


অ্যারায়ার জানিয়েছেন, নেরুদা তাকে হাসপাতালে ডেকে নিয়ে বলেছিলেন, তার পেটে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর তিনি খুব অসুস্থ বোধ করছেন।
চিলির কমিউনিস্ট পার্টির দাবি, চিলির সামরিক সরকার আতঙ্কে ছিল, নেরুদা মেক্সিকো চলে গিয়ে পিনোচেট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও প্রচারণা চালাতে পারেন।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.