আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডিভোর্স লেটার

আজ আমি ব্যস্ত ভীষন, দেখতে আমায় আসবে ক'জন। তাদের জন্য মহা-আয়োজন। ভয়-ভীতি আর মনে সংশয়, জানি না কি হয়, কি জানি কি হয়। বউ এর সাজে আজকে আমি যাচ্ছি তাদের বাড়ি, কষ্ট চেপে আমার প্রীয় বাবার বাড়ি ছাঁড়ি। বর যে আমার খুব-ই ভাল, আধাঁর রাতের চাঁদের আলো।

আমায় অনেক আদর করে,আগলে রাখে সে, আমি অনেক ভাগ্যবতী,নই রুপসী মেয়ে। হঠাৎ আমার ঘোর কাটলো একটি কথায় তাদের, মা বললেন, "বংশের ইজ্জত এবার বুঝি গেল রে মোদের। কী মেয়ে আনলি রে বাছা- চলে পুরুষালী চালে,রং টি কাল,দেখতে পঁচা"। বিলাতে পড়ালাম তোকে, করিস যে ব্যবসা বংশের ইজ্জত রাখতে হলে, বউটি দরকার ছিল যে ফর্সা"। স্বামী আমার বড্ড ভাল, পারেনা কথা ফেলতে।

মা চেয়েছে,বিয়ে করেছে পুতুল খেলা খেলতে। মা বাধ্য ছেলে, বউ কে নিয়ে খেলে। বউ টি সেথায় দিন-রাত্রী কটু কথা গেলে। বাবার বাড়ী,শ্বশুর বাড়ী চলে টোকাটুকি, সব বুঝি তবু মুখ বুজে রই, যেন ছোট্ট খুকি। নিত্য সঙ্গী অশ্রু আমার, মাথার ভেতর প্রচন্ড ভার।

কেউ বোঝেনা কষ্ট, বিয়ের দু'টি মাস-ই যেন জীবন থেকে নষ্ট। ঝুট ঝামেলা হতে-ই পারে,এর নাম-ই তো সংসার। কোমর কষে নামি আবার,ভাঙ্গা মন নিয়ে চুরমার। শ্বাশুরী আমার বলেন আবার- "বাছা, ছেড়ে দে! ছেড়ে দে! আরো ভালো বউ তুই পাবি, এইটে আমার তোর কাছে একটি মাত্র দাবী। এর আর মূল্য কত? তোর জন্য দাড়িয়ে আছে মেয়ে যে শত শত।

" কারন ছাড়াই ক্ষমা চেয়েছি, শ্বাশুরীর পায়ে পরে সবার সম্মুখে শ্বাশুরীর মনে কী আনন্দ ধরে, মুখে তার মুচকী হাসি ঝরে। চোখের পানি শুকিয়ে গেছে, আর পারিনা থাকতে স্বামী এখন চায় না যে আর, আমায় পাশে রাখতে। আমি এখন বাবার বাড়ী, খুজি আশার আলো। যদি কখনো আমার সাথে, হয় যদি বা ভালো। আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি পড়ছে সকাল থেকে আজ, অলস আমি বসে আছি নেই যে কোন কাজ।

এই দুপুরে- জীবন শ্রেষ্ঠ কাজ করেছি, মনে শত বার আমি যে মরেছি ভাগ্য খুলেছি যে তার, দিয়েছি স্বাক্ষর তার পাঠানো আমার ডিভোর্স লেটার। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.