আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকার ডেটিং স্পট(কম খরচে ডেটিং)

আমিও একজন মানুষ, ঠিক আপনার মতই, , , , , নতুন প্রেম করছেন বা হাতে টাকা পয়সা কম বা গার্লফ্রেন্ড দূরে কোথাও যেতে চায়না তাদের জন্য মহা মূল্যবান এই পোস্ট, , , , প্রেম করার জন্য সবাই এমন জায়গা খুজে যেখানে মানুষ চলাচল কম কিন্তু জায়গাটা নিরাপদ, যেখানে বসে প্রেমিকার হাত ধরে স্বপ্নের দেশে হারিয়ে গেলেও কেও ফিরিয়ে আনার জন্য ডাকাডাকি করবেনা, যেখানে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রেমিকার নাকানি চুবানি খেলেও কেও আপনাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসবেনা, যেখানে আপনার পাসের বাসার আঙ্কেল দেখে ফেলার ভয় নাই, , , , , সেসব জায়গার কিছু ঠিকানা দিচ্ছি, অনেকেই এসব জায়গায় যেতে যেতে পচায়া ফেলছেন, তারা নাক বন্ধ করে একবারে জন্য হলেও সবুর করেন, , , , কোথায় যাবেন?????/ ১। টি.এস.সি :- এ জায়গাটা ঢাকার সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা, হাসি খুশী মণে প্রেমিকার পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকুন, কেও কিচ্ছু বলবে না। কিন্তু ক্যাচাল একটু বেশি, মানুষের আনাগোনা বেশি, কু-কাম করার চিন্তাও করবেন না, হাত ধরেই খুশী হয়ে বসে থাকুন। এর বাইরেও বসা যায়, জায়গাটা আসলেই রোমান্টিক। (নিজের ক্যাম্পাস, ছোট পোলাপানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ, স্কুল ড্রেস পরা কাওকে পাইলে মাইর সিউর) ২।

ধানমণ্ডি লেকঃ- আমার চোখে প্রেম করার জন্য এর চেয়ে শান্ত, নিরাপদ, ভাল জায়গা আর একটাও পাবেন না। এখানে ঘুরে ফিরে অনেক গুলা স্পট আছে, বঙ্গবন্ধু এর বাড়ির সামনে ৩২ নাম্বার, আরও একটু সামনে গেলে পাবেন ৮ নাম্বার। অনেক জায়গা আছে বসার জন্য এবং সবা কয়টা স্পট নিরাপদ। স্কুল পলাতক কাপল থেকে শুরু করে জামাই পলাতক মহিলা পর্যন্ত এখানে নিরাপদে প্রেম করে যায়। তবে ধানমণ্ডি ৮- এ সিকিউরিটি গার্ড আছে, হাত ধরা ছাড়া অন্য কিছু করতে গেলেই পিছনে এসে দাড়িয়ে থাকে, সুতরাং সাবধান।

৩। জাহাজ বাড়িঃ- জিগাতলা পার হয়ে আরও একটু সামনে গেলেই(মেডিনোভা এর পাশে) রাস্তার পাশেই খুব সুন্দর একটা জায়গা। শীতকালে কিংবা বিকেল বেলায় জাহাজ বাড়ির পাশে পা ঝুলিয়ে বসে থাকা যে কি মজা বলে বুঝাতে পারবনা। দুপুরে অনেক রোদ থাকে তাই একটু সমস্যা। জায়গাটা অনেক নিরাপদ, কিন্তু সন্ধ্যার পরে না থাকাটায় ভাল।

৪। জিয়া উদ্যানঃ- প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের পিছনেই এর অবস্থান। যায়গাটা সবাই খারাপ বলেই জানে এবং আসলেই খারাপ, কিন্তু আপনি যদি নিজেকে ভাল মণে করেন তবে বিনা টেনশন-এ যেতে পারে, কিন্তু দয়া করে বেশি ভেতরে যাবেন না। লেক-এর পাশে পা ঝুলিয়ে অনেকে বসে থাকে, এখানেই বসে পড়ুন। মাথার উপরে গাছের ছায়া, সামনে লেকের পানির খেলা, পানিতে ছোট ছোট মাছের ছুটাছুটি, কোমল বাতাস, , , , আর কি চান? এ জায়গাটাও নিরাপদ, কিন্তু কখনই সন্ধ্যার পরে অবস্থান করবেন না।

জান মাল(????) এর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ৫। শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেম্পাসঃ যদি প্রেমিকাকে নিয়ে গ্রামের হাওয়া খাওয়ার ভাবনা থাকে, তবে চলে আসতে পারেন এখানে। খুব সুন্দর এবং মনোরম একটা জায়গা। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ এর ঠিক পিছনেই এর অবস্থান।

একেবারেই নিরব এবং শান্ত সবুজ একটা পরিবেশ এখানে। সন্ধ্যার পরে (বেশি রাত কইরেন না) ইচ্ছা করলেই অবস্থান করা যায়, গোধূলির সময় সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পায়। ৬। চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রঃ দেখার কিছুই নাই, কিন্তু সন্ধ্যার পরে এখানে বসে রাতের আকাশের তারা দেখার মধ্যে যে কি রোমান্টিকতা তা আপনিই ভাল বুঝেন। সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে রাস্তার পাশে বসে থাকা যায় অনেক ক্ষন।

অনেকেই আসে এখানে বসে থাকার জন্য। কিন্তু বেশি রাত কইরেন না। কোনদিন পূর্ণিমা দেখতে ইচ্ছা হলে চলে আসতে পারেন এইখানে। ৭। লালবাগ কেল্লা; জায়গাটা সুন্দর কিন্তু বসার জায়গা অনেক কম।

তাই শীতকালে যাওয়াটা সবচেয়ে ভাল। অনেক ক্ষণ বসতে পারবেন। ঐখানে ঘুরতে গেলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা হবে, ঐতিহাসিক কোন জায়গা দেখাও হল আবার ডেটিং মারাটাও হয়ে যাবে, সপ্তাহে কোনদিন জানি বন্ধ থাকে, আজিমপুর নেমে রিক্সা নিয়ে সহজে চলে যেতে পারেন। ৮। কার্জন হল; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরের পাশেই এর অবস্থান।

আমার চোখে ঢাকার সবচেয়ে সুন্দর জায়গা এটি(ভাই আমার ক্যাম্পাস, আমার ক্লাসরুম একটু তো চাপা মারবই)। খুবি সুন্দর চিমচাম জায়গা, নিরাপদ তো বটেই। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের না, তারা কিভাবে আসবেন কোথায় আসবেন সেটাই বলি এইবার। প্রতিদিনি আসতে পারেন,কিন্তু যেদিন সরকারী ছুটি থাকে সেদিন, অথবা বৃহস্পতিবার ২টার পরে আসতে পারেন। কার্জনের বারান্দা, বাইরে ঘাসের উপর, হলের পুকুর পারে খুব সহজেই বসতে পারেন, কিন্তু অনুরধ করে বলি, কোন কুকাম করার চিন্তাও করবেন না।

হাত ধরে পাশাপাশি খুব সুন্দর করে সারাদিন বসে থাকুন, কেও কিচ্ছু বলবে না। কিন্তু দয়া করে একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অঙ্গন কে নোংরা করবেন না। , , , , , , আর টাকা পয়সা থাকলে যাওয়ার জায়গার অভাব থাকেনা। কম খরচ করতে চাইলে এইসব জায়গায় যেতে পারেন আজকে আর না, আমি থাকি মোহাম্মদপুর। তাই এর আশে পাশের জায়গা গুলোর কথায় বললাম, পরের পর্ব ; কোথায় কোথায় যাবেন না।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।