আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাগান্বিত গালিবাজ মুসলিম (??)

আমিই হিমু। এই সাধারন বাস্তবের হিমু। দরজার ওপাশে, পারাপার, দ্বিতীয় প্রহর, নীল পদ্ম আর ঝি ঝি পোকার হিমু নই। ইসলাম বিরোধী এইরকম আক্রমনাত্বক পোস্ট কিম্বা সাধারন মুসলিম দের ধর্মানুভূতিতে বিনা কারনে আঘাত আসলে, আমাদের প্রথম যেই অনুভূতিটা আসে, তা হোল রাগ !! মুখে দলা বেধে আসে থুতু, আর সেই ঘৃণাভরা থুতু কুতসিত গালির সাথে ছুড়ে দিতে ইচ্ছা হয় আক্রমন কারীর মুখে। যেমন, '' তুই আমারে গাইল দিলি; মা***দ !!" এই রকম আর কি !! এটাই কি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া !!?? যদিও আমি বিতর্কিত পোস্ট টা সরাসরি দেখিনি, কিম্বা এর প্রতিক্রিয়া গুলোও না।

পরে দেখেছি অন্যান্য ব্লগে। প্রিয় সামুকে নিয়ে অন্য ব্লগে এরকম লেখা দেখে সত্যি খুব কষ্ট পেয়েছি। যাই হোক, মাথা একটূ ঠান্ডা হলেই, কিম্বা রাগ টা একটু কমালেই, আমরা বুঝতে পারি, এই গালি যদি আমিও দেই, তাহলে তো আমিও সেই নরাধমের কাতারে নেমে গেলাম !! আমার গুনাহ হোল !! প্রিয় নবীজি আমাদের রাগ কে নিয়ন্ত্রন করতে বলেছেন এবং এর কুফলও বলেছেন। Mohammad (peace and blessings of Allah be upon him) said: “ A strong man is not one who defeats (another) in physical combat. Verily, a strong man is he who controls his self at the time of anger. (Bukhari Muslim) ” "Give me some advice", someone asked. The Holy Prophet (PBUH) said, "Be not angry." "O dear Ayesha, say: O God, you are the Lord of my prophet Muhammad, forgive my sins and remove the anger from my heart and save me from misguidance." কাউকে গালি দেয়াতো খুব গুনাহর কাজ। কুকুরের কামড়ের গল্পটাই এখানে প্রযোজ্য।

কাউকে গালি দিয়ে কি আমার প্রিয় নবীজির সম্মান উদ্ধার করা যাবে? কিম্বা ইসলাম কে অনুকরনীয় করা যাবে? মুসলিম হিসাবে তাহলে আমাদের আর স্বাতন্ত্র থাকলো কোথায়? যা হচ্ছে ইসলাম কে নিয়ে; তর্কাতীত ভাবে তা খারাপ। কিন্তু প্রতিবাদের ভাষা কি এই? নোংরা কথার জবাব যদি নোংরা কথা দিয়েই দেই, তাহলে আমি আর আলাদা হলাম কোথায়? ইসলাম কে নোংরা ভাবে আক্রমন করলে, তার জবাব নোংরা ভাবে দিলে, সাধারন মানুষের জান মালের ক্ষতি করে কিম্বা সহিংসতা দিয়ে দিলে কি ইসলামের হারানো মর্যাদা পুরুদ্ধার করা যায়? In another narration, Prophet (swt) said: "Anger comes from the devil and the devil is made of fire." কিছু সুশীল, আতেল বুদ্ধিজীবি কিম্বা নাস্তিক’রা বলে; মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে যা খুশী তাই করা জায়েজ। কোন গোষ্ঠীর একান্ত ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগলেও কিছু যায় আসে না। অপরপক্ষে মৌলবাদী মোল্লা, ডিজিটাল ধর্মপ্রচারকদের মতে; ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগলে প্রতিবাদের একমাত্র ভাষা; সহিংসতা আর সাধারন মানুষের জান মালের ক্ষতি সাধন। উভয়পক্ষেরই স্পর্শকাতর স্থানে একজিমা আছে!! মগজ’ও একটি স্পর্শকাতর জায়গা !! এক লেখায় পড়েছিলাম, আল্লাহ পাক সব চেয়ে ধৈর্যশীল।

না হলে এত ভিন্নধর্মী তাকে অমান্য করে অন্য রবের প্রার্থনা করছে, নাস্তিক গুলো তাকে কত খারাপ কথাই না বলছে, সাধারন মানুষ তাকে ভুল ভাবে বুঝতে পারছে - কই , আল্লাহ তো তাদের আসমান থেকে ঠাডা ফেলে কাঠকয়লা বানিয়ে দিচ্ছেন না !! তাদের রিজিক তো কেড়ে নিচ্ছেন না !! আল্লাহ পাক বলেছেন, “ Imbue yourself with the colour of Allah, who can give a better colour than Allah. It is Allah whom we worship. ” - Sura al-Baqara 2, Verse 138. "আমার রংয়ে নিজেকে রাঙ্গাও। " মানে আল্লাহর গুনাবলীতে নিজেকে পরিশুদ্ধ কর !! আমি নিজে একজন খুব অল্প জানা সাধারন মুসলিম, আমার কাছে আমার বিশ্বাস টাই অনেক বড়। আমার কাছেই আমার ধর্ম, আমার রব আর আমার পথ প্রদর্শক মুহাম্মাদ (সাঃ) এর সম্মান। আমি জানি, আমার প্রতিটি কর্মকান্ডই ইসলাম কে রিপ্রেজেন্ট করছে। আমার কথাবার্তা, আমার আচরনের মধ্যেই আমার ধর্মের সম্মান।

আমার অন্যান্য লেখার মত এই লেখাটি কোন হিট কামানোর অভিসন্ধী মূলক লেখা না, শুধুই প্রতিবাদ। নোংরা, জ্ঞানপাপী নাস্তিক’দের কর্মকান্ডের প্রতিবাদ ও ইসলাম উদ্ধারের নামে ইসলামকে হেয় করার প্রতিবাদ। পরম করুণাময় রব আল্লাহ, তার কাছেই আমাদের সমস্ত প্রার্থনা, তিনি আমাদের অন্তর’কে জানেন; এবং তার কাছেই আমাদের আত্মসমর্পন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।