আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আবারও বিতর্কের সৃষ্টি করেছে কানিজ আলমাসের বিউটি পার্লার পারসোনা । পার্লারে ঢুকতে চাইলে তাদের কাছে মুচলেকা দিতে হবে। পার্লারে প্রবেশের পর ভেতরে কোন অপ্রীতিকর বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে পার্লার কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না ওই মুচলেকায় বলতে হবে!!!!!!!!

কাঁঠাল পাকুক আর নাই পাকুক আজ জ্যৈষ্ঠ মাস , গরমে করি খালি হাঁসফাঁস আবারও বিতর্কের সৃষ্টি করেছে কানিজ আলমাসের বিউটি পার্লার পারসোনা । পার্লারে ঢুকতে চাইলে তাদের কাছে মুচলেকা দিতে হবে। পার্লারে প্রবেশের পর ভেতরে কোন অপ্রীতিকর বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে পার্লার কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না ওই মুচলেকায় বলতে হবে । আগেই অভিযোগ রয়েছে- বিশেষ কক্ষে গোপন ক্যামেরা স্থাপন, স্বর্ণালঙ্কার চুরিসহ অসংখ্য কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছে কানিজ আলমাসের বিউটি পার্লার পারসোনা । অনেক গ্রাহক পারসোনার এমন সিদ্ধান্তকে ধৃষ্টতাপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করেছেন ।

রাজধানী ঢাকার বনানীর ১১ নম্বর রোডে অবস্থিত পারসোনার শাখায় এ নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গ্রাহকদের বচসা লেগেই আছে। আর এ বচসার জের ধরে অনেক গ্রাহকের মেম্বারশিপ কার্ড ফেরত না দেওয়ার অভিযোগও ওঠেছে। নজিরবিহীন এমন সিদ্ধান্ত চরম স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে অভিহিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা । গ্রাহকদের অভিযোগ- কানিজ আলমাসের পার্লারের ভেতর গোপন ক্যামেরায় গ্রাহকের চিত্রধারণ বা চুরির মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলেও যেন কেউ আইনের আশ্রয় গ্রহণ করতে না পারে, সেজন্যই এই মুচলেকার পথ বেছে নেয়া হয়েছে। সেখানে যারা নিয়মিত ফেসিয়াল করেন এমন একজন গ্রাহক জানান, মুখে ফেসপ্যাক লাগানোর পর চোখ দুটি শশা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।

এ সময় পুরোপুরি চোখ দুটি বন্ধ থাকে । আর চোখ বন্ধ থাকা অবস্থায় গ্রাহকের মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ বা মূল্যবান যে কোনো সামগ্রী চুরি গেলে এসবের দায় দায়িত্ব অবশ্যই পার্লার কর্তৃপক্ষের থাকে। কিন্তু পারসোনা এই দায়িত্ব নিতে চাচ্ছে না। যদি কোনো গ্রাহকের কিছু চুরি যায়- সেই গ্রাহক সেই মালামাল আর ফেরত পাবেন না। অথচ প্রায় নিয়মিতভাবেই পারসোনায় গ্রাহকদের মূল্যবান সামগ্রী খোয়া যাচ্ছে।

অথচ কেউ কোনো অভিযোগ করতে পারছেন না। বনানীর ১১ নম্বর রোডে অবস্থিত পারসোনায় বারডেম হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসক দুই বছর আগে স্পা করাতে যান। অথচ ওই নারী চিকিৎসক একটি বিশেষ কক্ষে স্পা করাতে চাইলে তাকে আলাদা একটি কক্ষে নেওয়া হয়। এরপর সেখানে তাকে প্রথমে পোশাক পরিবর্তন করে নির্ধারিত পোশাক পড়তে বলা হয়। পোশাক পরিবর্তন শেষে তিনি ওই কক্ষে একটি গোপন ক্যামেরা আবিষ্কার করেন এবং তার স্বামীকে খবর দেন... তার ডাক্তার স্বামী এসে ভিডিও করা দৃশ্য মুছে ফেলার জন্য চাপ দিলেও পারসোনার কর্মীরা তা পেনড্রাইভে সেভ করার চেষ্টা করেন।

ওই নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গুলশান থানা পুলিশ পারসোনায় অভিযান চালিয়ে একটি ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা ও কম্পিউটার হার্ডডিস্ক জব্দ করেন। পারসোনার কানিজ আলমাস খান মিডিয়াকে জানান, `একজন ইলেকট্রিশিয়ানের ভুলের কারণে সিসি ক্যামেরাটি সামান্য ঘুরে যায়। এ নিয়ে কানিজ আলমাস ও তার পার্লারের কর্মীদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। এর পরের ঘটনাটি ঘটে স্বর্ণালঙ্কার চুরি। ফেসিয়াল করতে যাওয়া এক গ্রাহকের ভ্যানিটি ব্যাগ খুলে চুরি করে নেয় স্বর্ণালঙ্কার।

ওই সময়ে পারসোনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এসব ঘটনায় থানা পুলিশ পর্যন্ত যেতে হয়েছে কানিজ আলমাসকে। আর যেন তাকে ওখানে যেতে না হয়, এ কারণেই তিনি মুচলেকার আইন তৈরি করেছেন। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.