আপাতত ঘুরপাক খাচ্ছি! ১। দেহঘড়ি একদিন এরকমও জীবন ছিল বইয়ের পাতার গন্ধ শুকে নদীর ঘ্রান বাতাসের ঘ্রান পাওয়া যেত দূর থেকে মহাসমুদ্রের গর্জন কানে ভেসে আসতো। তালগাছ এক পা এর তলে দাঁড়িয়ে বক সব দৃশ্য জ্যান্ত হয়ে সন্মুখে অফূরন্ত উন্মাদনার ছায়াচিত্র ভেসে উঠতো। বইগুলো আজ উইপোকার ঢিবিতলে চাপা পড়েছে মাটি সরিয়ে ঘ্রান নেয়ার অবকাশ নেই, সেই সাথে এক অদৃশ্য ঢিবিতলে ঢেকে যাচ্ছে দেহঘড়ি উইপোকারা সার বেঁধে খেয়ে যাচ্ছে এক একটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ মাটি সরিয়ে উঠে আসার শক্তি সামর্থ্য উবে যাচ্ছে উইপোকার মুখপাঙ্গে। ২। খরগোশ রোদ্দুরে যা কিছু আসে তা রাতের জানালা খুলে স্মৃতির সর্পিল দাগ টেনে আনে সুপ্রাচীন এই বৃক্ষমূলে। সুন্দর সব শামুকের খোলে বাস অন্তর্দাহ হয় জ্বালায় পোড়ায় অসুন্দরেরা সরীসৃপের মত গুটিয়ে নেয় শ্বাস প্রশ্বাস। রাতের পরতে পরতে মন্থিত জীবন আয়ু বায়ু ফুরিয়ে স্মৃতির অর্গল টেনে পা বাড়ায় খরগোশ রোদ্দুরে। ছবিঃ নিজস্ব এ্যালবাম। (ন্যাশনাল বোটানিক্যাল গার্ডেন, মিরপুর, ঢাকা)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।