দীর্ঘ ১ মাসের প্রেমের পরে ডেটিং এর তারিখ ধার্য করা হইলো। যথারিতি ডেটিং তারিখ সবারই মনে থাকার কথা, দুর্ভাগ্যবশত আমি ভুইল্যা গেছি। সকাল বেলায় ৮টায় কল দিয়া কয় দেখা করবা নাহ?? ((মনে মনে কই কল দেয়ার আর টাইম পাইল্যা নাহ, হুদাই ঘুমের আমেজ নষ্ট করলা))। আমি কই দেখা হয় নাই আমাদের?? আমি তো মাত্র স্বপ্নে দেখছি তুমারে কত সুন্দর ডেটিং দিলাম দুইজনে। ধুর হুদাই কল দিয়া স্বপ্নটা নষ্ট করলা।
জিন্দেগী পার হইয়া যাইবো মাগার আমার ঘুম থাকবো অক্ষয়। ফোন রাইখ্যাই আবার ঘুম। ওমা হাফ ঘন্টা পরেই আবার কল, মেজাজ গেলো বিগড়াইয়া। আমারে কত সুন্দর কইর্যা জিগায়- আইচ্ছা আমি কি ড্রেস পরমু? আমি কই স্বপ্নে বড় বড় কমলা দেখছি, কমলা কালার পড়তে পারো। আমারে কয়- ওরেঞ্জ কালার, তুমার চয়েস দিন দিন এইরকম হইতাছে ক্যান? না পাইর্যা কই-তুমারে তেনা পড়লেও ভাল্লাগবো এই জন্যে কইছি।
এই কথা হুইন্যা মাইয়্যা দেখি চরম খুশি
ঘুম ভাংগল ১১টায় ভাংগা নাস্তা করতে বইছি, আবার কল দিয়া বলে বাসা থেইক্কা বের হইছো?? আমি নাস্তা চাবাই আর কই হু বাসে আছি, আওয়াজ হুনতে পাইতেছো নাহ? তুমি কি কিছু খাচ্ছ?? আমি কই নাহ গাড়ির সাউন্ডই এইরাম ১২টা বাজে কিন্তু তুমি থাকবা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে( শপিং সেন্টারের নাম কমু নাহ )।
গোসল কইর্যা ঘুমাইয়া ঘুমাইয়া রওনা দিলুম ১২.৩০টা বাজে মার্কেটের সামনে যথারিতি পৌঁছাইলাম। এবার আমি কল দিলুম, আপ্নে কই? আমারে কয় তুমি আসছো? একটু ওয়েট করোনা আমি আসতেছি আমি উপরে গিয়া এক রেস্টুরেন্টে বইলাম।
ঠিক হাফ ঘন্টা পরে আইলো, আইস্যা কয় সরি একটু লেট হয়ে গেছে বাসা থেকে বের হইতে। (( মনে মনে কই মুখে যেই হারে আটার বস্তা থেইক্কা আটা নিয়া মাখছো সেইটা দেইখ্যাই বুঝছি )) আমি জিগাইলাম আসার পথে কি কুনো আটার মিল পড়ে?? মাইয়্যা দেখি আমার দিকে তাকাইয়া না বুইজ্যাই টিস্যু দিয়া মুখ ঘষে আর মুচকি মুচকি হাসে শার্টের কালারে ময়লা পড়লে যেমনে ঘষে, মাইয়্যা দেখি এমনে মুখের মইধ্যে টিস্যু ঘষা শুরু দিছে ((মনে মনে কই, যেমনে টিস্যু যেমনে ঘষতাছো মাইনষ্যে টয়লেট করার পর পুটকিও এত ঘষে নাহ ))।
সহ্য করতে না পাইর্যা কইয়াই ফেল্লুম, তুমারে পুরা জামাই জামাই লাগতেছে
খাওনের লিস্ট আগাই দিতেই দেখি ৩৮ দাঁত বাইর কইর্যা ব্যাফকমার্কা ভেটকি । লক্ষন ভালা না দেইখ্যা লিস্ট দেইখ্যা আমি নিজেই খাওনের অর্ডার করলুম। আর মনে মনে প্রশান্তিবোধ হইলো, বাইচ্চা গেছি ভাইব্বা।
ওমা একটু পরে দেখি মাইয়্যা আমারে কয়, এই শুনো তুমি তো আমাকে একবারও বল্লে না আমাকে কেমন লাগতেছে উত্তরে আমি কইলাম আমার ঘুম ভাংগার পাখির লাহান। হুইন্যা আরো দুইটা দাঁত বাইর কইর্যা দিলো ব্যাফক ভেটকি ((ঘুম ভাংগার পাখি লইয়্যাও একটা ইস্টোরি আছে, আমার ঘুম ভাংগার পাখি হইলো কাওয়া, বিগত দুই বছর ধইর্যা সকাল হইলে কর্কশ সূরে আমার ঘুম ভাংগায় ))
মাইয়া ইস্টাইলের ঠেলায় খাইতে পারতেছে নাহ, চামচ লইয়্যা খালি খাবারের মইধ্যে গুতায় ।
এইদিকে আমার খাওন শেষ, আমি হাত মুইছ্যা বইস্যা আছি। তাকাইয়া দেখি মাইয়্যার প্লেটের সব খাওন-ই বাকি ((মনে মনে কই আমারে খাইতে কইতেও তো পারে )) সবুরে মেওয়া ফলে এইটার প্রমান খাপে খাপ মিল্লা গেছিলো, একটু পরে আমারে কয় এই শুনো তুমি শেয়ার করো নাহ, আমার খাইতে কষ্ট লাগতেছে
একটু পরে বিল দেওয়ার কাগজ আইলো বিল দেইখ্যা মেজাজটাই বিলা হইয়া গেল। কি খাইলাম আর না খাইলাম এত বিল বইস্যা রইলাম, একটু পর মাইয়্যা কয়, এই তুমি না সকালে কি স্বপ্ন দেখছিলে আমাকে নিয়ে?? আমি বেশরমের মত কইয়া বইছি স্বপ্নে দেখছি তুমি বিল দিয়া দিছো। ওমা মাইয়া দেখি মীরজাফরের লাহান পল্টি লইলো
আমারে কয়, এই শুনো আমার একটু কাজ আছে আমি এখন আসি এই বলে মেয়েটি চলিতে থাকিলো, ছেলেটি বিলের কাগজের দিকে তাকাইয়া থাকিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।