আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লাষ্ট সাপার কি পৃথিবী ধংশের ভবিষ্যত বানী ? বিতর্কিত ছবি , বিতর্কিত শিল্পী এবং ড্যান ব্রাউন গং [শেষ পর্ব]।

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা । http://i.imgur.com/Fvh2e.jpg Leonardo da Vinci's The Last Supper superimposed with its mirror image [দ্বিতীয় এবং শেষ পর্ব] ( ক্ষমা চেয়ে নিচিছ ছবিগুলো দিতে পারছিনে ঠিক জায়গাতে । লিংকে ক্লিক করে দেখে নিতে হবে । এই অসুবিধার জন্যে দুঃখিত ) লাষ্ট সাপার কি পৃথিবী ধংশের ভবিষ্যত বানী ? বিতর্কিত ছবি , বিতর্কিত শিল্পী এবং ড্যান ব্রাউন গং ।

ছবিটির একটি “ মিরর ইমেজ” এ দেখা যায় মেয়েদের মাথার একটি মুকুট রয়েছে ইতিহাস বর্ণিত হলি গ্রেইলের মতোই কাঠের তৈরী একটি সাধারন পাত্রের উপরে । http://i.imgur.com/7hnEW.jpg A 2nd mirror image reveals a lady's crown held above a simple wooden drinking cup, similar to the Holy Grail as described in Celtic mythology. এটা নাকি আপনি দেখতে পাবেন বার্থলোমিউ এর ফিগারটির উপরের দিকে তাকালে । অথচ ভিঞ্চি যে এটাকেই হলি গ্রেইলের প্রতিরূপ বলেছেন এমোন কোনও নজিরও নেই । ছবিটিতে এটা তখোনই ফুঁটে উঠবে যখন আপনি ছবিটাকে “স্মল-স্কেল রিপ্রোডাকশন” এ দেখবেন । জুম করে দেখলে ছবিতে আপনি অনেকগুলো জ্যামিতিক আকৃতি দেখতে পাবেন ।

সম্ভবত যা দেয়ালের ডেকোরেশান হিসাবে দেখানো হয়েছে । এর ভেতরেই আপনি সেই ঐতিহাসিক হলি গ্রেইলকে দেখতে পাবেন যখোন কিছু কিছু আকৃতিকে আপনি বাদ দিয়ে দেখবেন । স্লাভিসা পেষ্কি, একজন ইনফর্মেশান টেকনোলোজিস্ট এবং এ্যামেচার স্কলার । লাস্ট সাপারের ভার্সন ছবির উপরে ছবিটির মিরর ইমেজটি সুপার-ইম্পোজ করে দেখলেন, দু’টো ছবি একটির উপরে আর একটি মিলে আর একটি ছবি দাঁড়িয়েছে । এখানে জেসাসের সর্ব বামে কমলা রঙের পোষাকে একজন গীর্জাবাসী মহিলার কোলে একটি শিশু আর জেসাসের সামনে একটি পানপাত্র হলি গ্রেইল রূপে ফুঁটে আছে ।

জিয়োভান্নি মারিয়া পালা নামের একজন ইটালিয়ান মিউজিশিয়ান এর ভেতরে আবার একটি মিউজিক্যাল কম্পোজিশান খুঁজে বের করলেন । তার দাবী - ছবিতে সবার হাত আর রুটিগুলো যেভাবে সাজিয়ে আঁকা হয়েছে তাকে একটা মিউজিক্যাল নোট হিসাবে ব্যাখ্যা করা যায় । লিওনার্দোর লেখার যেমন স্বভাবগত ধরন, ডান থেকে বামে ; তেমনি করে দেখলে এটি একটি মিউজিক্যাল কম্পোজিশান হয়ে উঠবে । এককালে য়্যুনিভার্সিটি অব কলাম্বিয়াতে ভিঞ্চির ম্যানুসক্রিপ্ট নিয়ে গবেষনা করেছেন এবং বর্তমানে যিনি একজন ভ্যাটিকান রিসার্চার সেই সাব্রিনা গ্লিৎজিয়া দাবী করলেন, তিনি ছবিটির ভেতরে ভিঞ্চির লুকানো “ম্যাথেমেটিক্যাল এবং এ্যাস্ট্রোলজিক্যাল” ধাঁধা ভাঙতে পেরেছেন । ভিঞ্চি এখানে দেখিয়েছেন, ৪০০৬ সালের ২১শে মার্চ থেকে শুরু করে ১লা নভেম্বর পর্য্যন্ত স্থায়ী নূহের বন্যার মতো এক বিশ্বব্যাপী বন্যায় পৃথিবী ধংশ হয়ে যাবে ।

( এ পর্য্যন্ত পৃথিবীকে তিন তিন বার ধংশের আলামত দেখানো শেষ হয়েছে তাই এবার সত্য হলেও ভয় নেই, এই বন্যা আপনাকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারবেনা ! ) “দ্য টাইমস” পত্রিকার ২০১০ সালের ১৫ই মে সংখ্যায় তার এই গবেষনার খবরটি ছাপা হয়েছে । পত্রিকাতে তিনি বলেছেন “There is a da Vinci code — it is just not the one made popular by Dan Brown,” অর্থাৎ তিনি বলতে চাইছেন, আসলেই ছবিটিতে কিছু কোড রয়েছে । এইগুলো আর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য গুজব যখোন ছবিটিতে রহস্য খুঁজতে ব্যস্ত তখোন কিন্তু আর্ট হিষ্টোরিয়ান এবং সাইন্টিফিক কমিয়্যুনিটি তাদের পক্ষে যেতে পারছেন না তেমন একটা । তারপরেও গল্প লিখিয়েরা কিন্তু পেছিয়ে নেই । প্রকাশের সাথে সাথেই এগুলো বেষ্ট সেলারের তালিকাতে উঠে যাচ্ছে ।

তাই লেখক গোষ্ঠীর কাছে এই সব কাল্পনিক ধারনার কদর বেশী । সবাই গিলছেও এগুলো গোগ্রাসে । Click This Link “দ্য টেম্পলার রিভিলেশান” তেমন একটি বই । বইটিতে জেসাস, জন দ্য ব্যাপ্টিস্ট এবং মেরী ম্যাগদালেনের সম্পর্ক বিষয়ক একটি দূর্বল হাইপোথিসিস তুলে ধরা হয়েছে । বইটিতে বলা হয়েছে - রোমান ক্যাথলিক চার্চ আসল সত্যকে চেপে গিয়ে নিউ টেষ্টামেন্ট এ বেছে বেছে টেক্সট সংযোজন করেছেন যাতে বিরূদ্ধ মতাবলম্বী আর নন-ক্রিশ্চিয়ানদের বিরূদ্ধচারীতা বন্ধ করা যায় ।

লেখকদ্বয় ভিঞ্চির জীবন আর শিল্পকর্ম নিয়ে গবেষনা করতে গিয়ে “তুরিন শ্রাউড” ( রহস্যময় এক চাদর “দ্য তুরিন শ্রাউড” (X-file ) ) Click This Link নামের বিতর্কিত কাপড়খন্ডের নকল সৃষ্টিতে ভিঞ্চির অংশগ্রহন তুলে ধরেছেন “তুরিন শ্রাউড – ইন হুজ ইমেজ ?” নামের তাদের আর একটি বইতে । সেখানে নিউ টেষ্টামেন্টের কিছু কেন্দ্রীয় চরিত্র বিশেষ করে জন দ্য ব্যাপ্টিস্ট এর চরিত্র নির্মানে অপ্রচলিত ত্রিশ্চিয়ান ধর্মবিশ্বাসের কাল্পনিক বেশকিছু চিহ্ন দেখিয়েছেন যা ভিঞ্চির কালোহাতের (বিশ্বকাপে ম্যারাদোনার ঈশ্বরের হাত এর মতো) নমূনা । যে সমস্ত ছবিগুলো তারা ঘেটেছেন তার মধ্যে রয়েছে ‘লাস্ট সাপার’ আর ‘ম্যাডোনা অব দ্য রকস’ ছবি দু’টি । তারা দাবী করছেন, জেসাসের ডানদিকে বসে থাকা মানুষটি জন দ্য এ্যাপসল নন বরং মেরী ম্যাগদালেন । ভিঞ্চি তাদের দু’জনার শারীরিক অবস্থান দিয়ে একটি “এম” অক্ষর তৈরী করে মেরী ম্যাগদালেনকেই বোঝাতে চেয়েছেন ।

তার উপর, জেসাস যে রঙের কাপড় পরে আছেন পাশের ব্যক্তিটিকে ঠিক তার বিপরীত রঙের কাপড় পরিয়ে তিনিই যে ম্যাগদালেন তা বোঝাতে চেয়েছেন ভিঞ্চি । লেখকদ্বয় এটাকে বলছেন , “ আ নেগেটিভ ইমেজ অব ইচ আদার” । (মূল ছবিটি দেখুন) বইটিতে তারা তাদের আরো অনেক সিদ্ধান্তের কথা বলেছেন যা বাইবেলের সাথে সাংঘর্ষিক । তারা দেখাতে চেয়েছেন , জেসাস মূলত জন দ্য ব্যাপটিষ্ট এর শিষ্য । জন এর প্রচারিত ধর্ম ছিলো আইসিস-অসিরিস–হোরাস এই ত্রয়ীকৃত মিশরে প্রচলিত রহস্যময় ধর্মের অনুকরন ।

আর জনের পরেই দলের নেতৃত্বে আসার জন্যে নির্বাচিত ছিলেন সীমন ম্যাগাস । অথচ এসেছেন জেসাস । তাই জেসাস কোনও মতেই জন কে ছাড়িয়ে যেতে পারেননা । এটা হয়েছে জেরুজালেমের তৎকালীন রাজনৈতিক ঘুটি চালের কারনে । উপরে উপরে ছবিতে বাইবেল বর্নিত সাধারন চিত্র থাকলেও আসলে ভিঞ্চি এর ভেতরে এই তথ্যটিই প্রকাশ করেছেন ।

তারা মূল যে কথা বলতে চেয়েছেন তা হলো – ভিঞ্চি জেনেশুনেই ছবিটিতে এই অবগুন্ঠিত মেসেজটি দিতে চেয়েছেন যা কেবল মাত্র তারাই বুঝবেন যারা এর অর্থ জানেন । ড্যান ব্রাউন এর বই “ দি দ্য ভিঞ্চি কোড” এর গল্পটি কিন্তু এই বইটি থেকেই নেয়া তথ্যগুলিকে ঘিরেই জমে উঠেছে । আর বইটির নামকরনও হয়েছে “দ্য টেম্পলার রিভিলেশান” বইটির একটি অধ্যায় “"The Secret Code of Leonardo Da Vinci" অনুকরনে । “দ্য টেম্পলার রিভিলেশান” বইটি আবার লেখা হয়েছে ১৯৮২ সালে প্রকাশিত “দ্য হলি ব্লাড এ্যান্ড দ্য হলি গ্রেইল” বইটির কিছু তথ্যের উপর ভিত্তি করে । যেখানে বলা হয়েছে “Priory of Sion”নামে সত্যিকার ভাবেই একটি মধ্যযুগীয় গোপন সংস্থার অস্তিত্ব আছে ।

ড্যান ব্রাউনের গল্পটিও এই তথ্যটিকে ঘিরেও আবর্তিত হয়েছে । ছবিটি নিয়ে এতো হৈচৈ কেন ? কারন প্রথমত; ভিঞ্চি এখানে সত্যিকারের চরিত্রগুলির সত্যিকার “ইমোশান” দারুনভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যা এর আগের আর পরের ছবিগুলোতে নেই । দ্বিতীয়ত; এর টেকনিকক্যাল পারসপেকটিভ এতোই অবিশ্বাস্য যে, এই ছবিতে থাকা প্রত্যেকটি বস্তুর যে কোনটির দিকে তাকালেই আপনার দৃষ্টি সরাসরি চলে যাবে একটি কেন্দ্রীয় বিন্দুতে । আর তা হলো জেসাসের মাথাটি । তর্কস্বাপেক্ষ ভাবে এ পর্য্যন্ত “ওয়ান পয়েন্ট পারসপেকটিভ” নিয়ে আঁকা এটিই একমাত্র ছবি ।

রহস্যের শেষ নেই, নেই জল্পনা কল্পনার । অবিরাম ভাবে ছবিটি ষ্টাডি করা থেকে শুরু করে ছবিটির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষন আর ছবিটিকে বিদ্রূপের আঘাতে ঘায়েল করার পরেও ছবিটি “রহস্য” তৈরী করেই যাচ্ছে । য়্যুনিভার্সিটি অব মন্ট্রিল এর থিয়লজি বিভাগের চার বিষেশজ্ঞ - অলিভিয়ের বয়্যার, ন্যান্সী লাবন্তে, জোনাস সেইন্ট-মার্টিন এবং সেবাস্তিয়ান ফিলিওন ভিঞ্চির ছবিতে থাকা খাদ্যসামগ্রীর নতুন অর্থ বের করেছেন । গোসপেল এর লেখকদের(ইভানজেলিষ্ট)বর্ণনার সাথে এই খাবার মিলছেনা । ভিঞ্চি এখানে কেন রুটি-মাছ-লবন-ফল এবং মদের ছবি একেছেন ? জুডাসের সামনের লবনদানীটি উল্টে পড়ে আছে এমোনটা তিনি কেন আঁকলেন ? রুটিগুলোই বা এতো ফুলে আছে কেন ? Click This Link The Last Supper – relentlessly studied, scrutinized, satirized and one the world's most famous paintings – is still revealing secrets. (Credit: Image courtesy of University of Montreal) ড্যান ব্রাউন তার বইতে যে অবিশ্বাস্য হাইপোথিসিস ঢুকিয়েছেন এই চার বিশেষজ্ঞ কিন্তু তা গিলে ফেলেননি সবার মতো ।

তারপরেও তারা মনে করেন শিল্পী এখানে বেশ কিছু সংকেত আর তার ব্যাখ্যা ঢুকিয়ে দিয়েছেন । দর্শকদেরকে দ্বিধাগ্রস্থ এবং একই সাথে বোকা বানাতে ভিঞ্চি উদ্দেশ্যমূলক ভাবে এখানে বিপরীতার্থক সংকেত এবং তার দ্বৈত-অর্থযুক্ত কিছু আঁকতে চেষ্টা করেছেন । যেমন – উল্টে পড়া লবনদানী খারাপ ভাগ্য বয়ে নিয়ে আসে সাধারনতঃ এমোনটা মনে করা হয় । তারা প্রশ্ন রেখেছেন, জুডাসের ভাগ্যে খারাপ কিছু ঘটার ঈঙ্গিতের পরিবর্তে উল্টে পড়া লবনদানী দিয়ে তার পূনর্বাসনের ঈঙ্গিতই বোঝানো হয়েছে কিনা এখানে । এবং কেবলমাত্র তার সামনে রাখা প্লেটটি ই বা খালি কেন ? এটার অর্থ হতে পারে যে, জুডাসের ক্ষুধা ছিলোনা এবং তিনি ঠাট্টার পাত্র ছিলেন ! কিম্বা এও তো হতে পারে যে, জেসাস তাকে বোকা বানাতে পারেননি ? কোনটি ? ছবিতে আঁকা মাছ নিয়েও গবেষনার শেষ নেই ।

মাছের ধরনই বলে দিচ্ছে, জেসাস তার জীবনের বেশীরভাগ সময়ই কাটিয়েছেন লেক তিবেরিয়াস এর পাশে । এবং তিনি তার অনুসারীদের জুটিয়েছিলেন স্থানীয় জেলেদের ভেতর থেকে । তার পরেও এটা পরিষ্কার নয় যে, এগুলি আসলেই হেরিঙ না ঈল মাছ । কেউ কেউ বলেন, ভিঞ্চি ইচ্ছেকৃত ভাবেই মাছ আঁকাতে অস্পষ্ট ছিলেন । ইতালিয়ান ভাষাতে “ ঈল” হলো “aringa” আর যখন এটাকে এভাবে লেখা হয় “arringa” তখন তার অর্থ দাড়াঁয় – “মতবাদ” ।

এবং উত্তর ইটালীতে “renga” শব্দের অর্থ “ধর্ম মানেনা যে” । যদি তা ই হয় তবে ভিঞ্চি কি বোঝাতে চেয়েছেন ? প্রত্নতত্ব সংরক্ষন শিল্পী এবং একই সাথে ইতিহাসের ছাত্রী মেরী এ্যালিস বেনেটের কাছে কিন্তু ড্যান ব্রাউনের বইটি নতুন কিছু বলে মনে হয়নি । বরং তিনি বলেছেন এর বাইরেও ছবিটিতে আরো মজার জিনিষ আছে । বেনেট ছবিটির বিশেষ বিশেষ অংশ তুলে ধরে ব্যাখ্যা দিয়েছেন নিজের মতো করে । Click This Link তার কথা মতো উপরের ছবিটিতে আপনারা যা দেখছেন তা আসল ছবিটির মূল রঙ (original colors)সহ একটি পরিচ্ছন্ন ভার্সন ।

“দি দ্য ভিঞ্চি কোড” ছায়াছবিতে আপনারা যে স্পেসাল ভিডিও চিত্রটি দেখেছেন তা কিন্তু মূল চিত্রের টাচড-আপ প্রিন্ট । মূল ছবিতে জনের গায়ের উত্তরীয়র রঙ হালকা গোলাপী যা কিনা “ ফেমিনিনিটি” নির্দেশক । অর্থাৎ ভিঞ্চি গোলাপী রঙ ব্যবহার করে মেরী ম্যাগদালেনকেই বুঝিয়েছেন প্রকারান্তরে । ছবিটির অনেক ভার্সনেই আপনারা লাল সিনা-ব্রাউন এর রিটাচ দেখতে পাবেন । কারন ? এই ফিগারটির “আইডেনটিটি” লুকানোর চেষ্টা ।

চার্চের নির্দেশে ? Click This Link Hand forms a "V" symbol for femininity Click This Link Threatening hand on shoulder also forming "V" Click This Link The "V" represents femininity. Also note, gown left of Jesus is pink জেসাসের ডান দিকে থাকা অনুসারীদের হাতের অবস্থানের দিকে দৃষ্টি ফেলুন । মেরীর কাঁধে রাখা হাতটি হুমকি স্বরূপ দেখানো হলেও একটি "V" চিহ্ন রচনা করেছে । একই ব্যাপার ঘটেছে তার পেছনে থাকা অনুসারীর হাতটির বেলাতেও । এই দু’টি "V" জেসাস আর মেরীর মাঝখানে তৈরী বড় আকারের ফাঁকা স্থান যা "V" আকৃতির মতো দেখাচ্ছে তাকেই বোঝাচ্ছে । আর "V" হলো স্ত্রী-বিষয়ক চিহ্ন ।

জেসাসের ডানে বসা প্রথম তিন অনুসারীর একজনের উর্দ্ধে তুলে ধরা হাত দু’টি খেয়াল করুন । বিহ্বলতার প্রকাশ । কি কারনে ? জেসাস যে মেরীর হাত ধরে আছে, তাই । Click This Link Mary and Jesus are holding hands Click This Link Disciple is shocked that Jesus is holding hand of Mary এই সব মিলিয়ে “ভিঞ্চি” নামের এক যাদুকরী প্রতিভা যিনি একাধারে গনিতজ্ঞ, আবিস্কারক, বৈজ্ঞানিক, চিত্রশিল্পী ; তাকে কি বলবেন ? যে কিনা একাধারে নিজেই মোনালিসা আবার লাষ্ট সাপারের জেসাস ? কথা উঠেছে তেমনটাই । রহস্যময় এই শিল্পীর রহস্যের শেষ হবে কি ? ৪০০৬ সাল পর্য্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে আমাদের সেটা জানতে ।

প্রধম পর্বের লিংক -http://www.somewhereinblog.net/blog/GSA1953happy/29672519 ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৩২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।