বোবা আর বোকার কোনো শত্রু নাই আজ প্রথম আলোর একটা সংবাদে দেখলাম স্ত্রীকে বেতন দিতে হবে । হ্যাঁ, এমনই একটি আইন প্রণয়নের কথা চিন্তা করছে ভারতের নারী ও শিশু উন্নয়ন (ডব্লিউসিডি) মন্ত্রণালয়। তালিয়া!!!!! নারীবাদিরা এবার দুইহাত কইস্যা হাততালি দিতে থাকেন।
কিছু সস্তানারীবাদিরে নিয়ে আমার আগে থেকেই চুলকানি আছে। এরা আম, জাম, কাঁঠাল বলতে গেলেও নারীবাদি বিষয় টেনে আনেন।
আপনারা কি একটু ভেবেও দেখেন না আপনাদের কিছু কিছু হঠকারি সিদ্ধান্ত নারীকে আরো বেশী ছোট করে তুলছে।
যাই হোক আমার মত আবাঙ্গাল নারীবাদের কি বুঝে? যেখানে ভারতের মত একটা দেশে নারী উন্নয়ন নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সেখানে আমার বলার কি আছে। তারপরও নারীবাদিরা পারলে এ মূর্খসূর্খ বেকুবের নিচের প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেন।
১। এতে কি সংসার নামক শব্দটি আর অফিস, আদালতের মাঝে কোন তফাৎ থাকবে?
২।
সামনে যদি একজন বিবাহিত মহিলাকে স্বামীর বেতনভুক্ত ভুয়া ডাকা হয় তাতে কি অনেক বেশি অন্যায় হয়ে যাবে?
৩। এতে কি স্বামী-স্ত্রীর মাঝে স্পষ্ট বিভাজন রেখা টেনে দেয়া হবে না?
৪। এর ফলশ্রুতিতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার যে মধুর সম্পর্কের কথা বলা হয় তা কি আর আদতে থাকবে?
আমার উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তরে একটাও যদি "না" আসে তবে সস্তানারীবাদিদের বলব যেকোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে একটু ভেবেচিন্তে দেখেন আপনারই উঁচু গলার কোন উঁচু কথা নারীকে আরো বেশী নারী করে ফেলছে কিনা।
অঃটঃ পোস্টটি লেখার একটাই উদ্দেশ্য আমাদের দেশের অনেকেই বাইরের দেশের নীতিমালা ফলো করে থাকেন। ঐ অতি উৎসাহীদের একটু সচেতন(!) করার জন্যই লিখাটা।
বাকী কথাগুলো কমেন্টে হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।