জামায়াত ও হেফাজতের দুই নেতার গোপন ফোন আলাপের তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে। তাদের আলাপের মধ্যে বেশির ভাগ কথা ছিল মুক্তিযুদ্ধবিরোধী। যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করা। ধর্মের নামে গ্রামগঞ্জে তাদের কথা পৌঁছে দেয়া।
এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে প্রভাবশালী একটি গোয়েন্দা সংস্থা।
গোয়েন্দা সংস্থাটি জামায়াত ও হেফাজতে ইসলামের দুই নেতার ফোনালাপ ‘ট্র্যাকিং’ করে এমন তথ্য পেয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে ডিফারেন্ট নিউজ।
প্রকাশিত ওই সংবাদে বলা হয়েছে, হেফাজতে ইসলাম আমার দেশ পত্রিকার বিকল্প হিসেবে নতুন একটি পত্রিকা বের করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের ফোনালাপ থেকে এই তথ্য ফাঁস হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের কন্ট্রোল রুম থেকে মাওলানা সাখাওয়াত ও জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলামের মোবাইল কথোপকথন পুরোটাই রেকর্ড করে ওই গোয়েন্দা সংস্থা।
গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা জানান-তারা ফোনে আরও অনেক কথাই বলেছেন।
জামায়াত, বিএনপি ও হেফাজতে ইসলাম তাদের কার্যক্রম পরিচালনা ও প্রচার কাজ করার জন্য আমার দেশকে একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে আসছিল।
এতদিন এই কাজটি করত আমার দেশ। এখন পত্রিকাটি বন্ধ রয়েছে। তাই বলে আমাদের বসে থাকলে চলবে না। যত টাকাই লাগুক একটি পত্রিকা বের করতে হবে।
একই সঙ্গে একটি ওয়েবসাইট খুলতে হবে। তা না হলে আমরা পেছনে পড়ে যাব।
আমার দেশ পত্রিকা সাময়িকভাবে বন্ধ থাকার কারণে এবার জামায়াত ও হেফাজতে ইসলাম বিকল্প প্রচার মাধ্যম ‘হেফাজতবার্তা’ নামে একটি পত্রিকা বাজারে নিয়ে আসছে। বিএনপির পক্ষ থেকে এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমার দেশ পত্রিকার মাধ্যমে তারা সারাদেশে ধর্মীয় উম্মাদনা এবং নানা মিথ্যাচার করে দেশজুড়ে সম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরি করা হয়েছে।
আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান গ্রেফতারের পর থেকে পত্রিকা কর্তৃপক্ষ ইচ্ছেকৃতভাবে এর প্রকাশনা বন্ধ রেখেছে। ফলে জামায়াত ও হেফাজতে ইসলাম নামের উগ্রবাদী সংগঠন তাদের মিথ্যা এবং ধর্মীয় উম্মাদনা ছড়াতে পারছে না।
গোয়েন্দা সংস্থাটি ইতোমধ্যে তথ্য পেয়েছে, জামায়াত-শিবির ও হেফাজতের বেশ কিছু লোক সংবাদকর্মী পরিচয় দিয়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ঢুকে পড়ছে। কোথায় কোথায় নাশকতা চালাতে হবে তার জন্য কয়েক শ’ সংবাদ সংগ্রহকারীকে পরিকল্পিতভাবে মাঠে নামানো হয়েছে। তারা আগাম তথ্য দিয়ে নাশকতায় সাহায্য করছে।
মিডিয়ার যত রকম অপব্যবহার আছে মূলত সেগুলোর মাধ্যমেই দেশব্যাপী হামলা তা-বের জন্য গণমাধ্যমকেই সহায়ক হিসেবে দেখছে জামায়াত ও হেফাজত নেতাকর্মীরা।
ফেসবুকের ফ্যান পেজ, ওয়ার্ডপ্রেসে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, অনলাইন পত্রিকা, ভুয়া ব্লগ এ্যাকাউন্ট, স্কাইপি, ইয়াহু মেসেঞ্জার, ভুয়া মোবাইল নাম্বার, বাঁশের কেল্লা ফ্যান পেজ, মিডিয়া ওয়াচ বাংলাদেশ, দিগন্ত টিভি, আমার দেশ পত্রিকার মাধ্যমে জামায়াত তাদের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা ও কর্মোদ্দীপনা দিয়ে আসছে।
এসব নির্দেশনার আদলেই তারা বিভিন্ন রকম নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। ঝটিকা মিছিল, মসজিদের মাইক ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আক্রমণ, ফটিকছড়িতে হামলামসহ নানা রকম অপকর্ম করছে জামায়াত, হেফাজতে ইসলাম ও শিবির। Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।