আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধুমপান মুক্ত সমাজ চাই

i love my country ধুমপান ধীরে ধীরে মানব জীবনকে অসুস্থ ও বিকৃত নেশার দিকে ঠেলে দেওয়ার এক অন্তহীন প্রচেষ্টার নাম। গবেশনায় দেখা গেছে সমাজে যারা অপরাধ করে বেজায় তাদের ৯৮% ধুমপানে অভ্যাস্ত। যারা মাদক সেবন করে তাদের ৯৫%ভাগ মানুষ প্রথমে ধুমপান করে তারপর অনন্য ভয়ংকর নেশায় নিজেকে জড়িয়ে ফেলে। যে ব্যাক্তি ধুমপানকে ঘৃনা করে তাকে মদ পান করানো সম্ভব নয়। কিন্তু ধুমপায়ী ব্যাক্তি অন্য নেশাকে অপছন্দ করে না।

তাছাড়া ধুমপায়ি একটি সময় পর নির্দিষ্ট পরিমান ধুমপানে নেশা সৃষ্টি হয় না তাই আস্তে আস্তে ধুপপানের পরিমানও বাড়তে থাকে। একসময় ধুমপানের নেসাও তার শরীলের সাথে বিলিন হয়ে যায় ফলে সে অনাণ্য জীবন ধবংশকারী নেসার সাথে জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হয়। সুতরাং একথা নির্দিধায় বলা যায় সমস্ত নেসার প্রথম স্তর ও মুল কেন্দবিন্দু হচ্ছে ধুমপান। ধুমপানের খারাপ দিক সম্পর্কে সকলেই একমত। কোন স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী ধুমপানে শরীরের জন্য ছোট্র একটি উপকারও বর্ননা করেননি বরং ধুমপানে অসংখ্য ক্ষতি ও খারাপ দিক উল্ল্যেখ করা হয়েছে।

তাছাড়া এটি এমন একটি পান যাতে তৃঞ্চা নিবারন হয় না খাদ্যের অভাবও পুরন হয় না। সুতরাং এটাকে জাহান্নারের পানীয় বলা যায়। কেননা জাহাননামীদের খাবারের বর্ননা দিতে গিয়ে আল্লাহ বলেন لَا يُسْمِنُ وَلَا يُغْنِي مِنْ جُوعٍ “এটা তাদের পুষ্টিও যোগাবে না ক্ষুধা ও নিবারণ করবে না। ” (সূরা আল-গাশিয়াহ : ৭) ইসলামী দৃষ্টিকোন থেকে ওলামাগন ধুমপানকে হারাম বলেছেন। কেননা ধুমপানে যে অর্থ ব্যায় হয় তাতে লাভ পাওয়া যায় না পয়সা দিয়ে শুধু ক্ষতিই কিনতে হয় সুতরাং এটা অপচয়।

এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন إِنَّ الْمُبَذِّرِينَ كَانُوا إِخْوَانَ الشَّيَاطِينِ “তোমরা অপচয় করো না। অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই। ” (সুরা আল-ইসরা :২৭) রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন : إن الله كره لكم ثلاثا : قيل وقال وكثرة السؤال وإضاعة المال. “আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তোমাদের তিনটি বিষয় ঘৃণা করেন। ১-ভিত্তিহীন ও সনদ-সুত্র বিহীন কথা-বার্তা। ২- অধিকহারে প্রশ্ন করা।

৩- সম্পদ নষ্ট করা। ” (বুখারী ও মুসলিম) গবেষনায় দেখাগেছে সিগারেটের জলত্ব অংশ থেকে যে ধোয়া নিচ্ছরিত হয় তা ধুমপায়ীর গৃহীত ধোয়ার চেয়ে অধিক ক্ষতিকর। পিতা যদি ধুমপায়ী হয় তাহলে পাশে থাকা ছোট্র শিশুটি নিজে ধুমপান না করেও পিতার চেয়ে অধিক ক্ষতিরম্মুক্ষীন হন। তাছাড়া ধুমপানে অভ্যাস্ত নয় এমন ব্যাক্তির সামনে ধুমপান করলে তাদেরকে কষ্ট দেওয়া হয়। কোন মানুষ কে অনিষ্ট করা বা কষ্ট দেওয়া উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য হরাম করা হয়েছে।

সুতরাং রাসুলের উম্মত দাবীদার ব্যাক্তিরা ধুমপায়ী হতে পারে না। রাসুল সঃ বলেন من كان يؤمن بالله واليوم الآخر فلا يؤذي جاره “যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাস রাখে সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়। ” (বুখারী) তাছাড়া ইসলামের সেীন্দর্য রক্ষা করা প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের নৈতীক দায়িত্ব। ধুমপান ইসলামের সৌন্দর্যকে বিনষ্ট করে। রাসুল সঃ বলেন من حسن إسلام المرء تركه ما لا يعنيه “যে সকল কথা ও কাজ মানূষের কোন উপকারে আসে না, তা পরিহার করা তার ইসলামের সৌন্দর্য।

” (মুসলিম) ধুমপানে অসংখ্যা মরনব্যাধী মানবদেহে বাসা বাধে যে সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। ধুমপানের ক্ষতি ও ভয়াবহতা এত বেশি যে একটি সিগারেট কিছুক্ষন পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি যদি ধুমপায়ীকে পান করানো হয় তাহলে কিছুক্ষনের মধ্যে সে মৃত্যু বরণ করবে। সুতারাং আমাদের শ্লোগান হওয়া উচিত করবো নাকো ধুমপান, মানবো মোরা আলকোরআন আর নয় ধুমপান, ধুমপানে বিষপান। স¤প্রতি উইনকনসিন বিশ্ব বিদ্যালয়ে ৩৭৫০ জন লোকের উপর এক সমীক্ষায় দেখা যায় যে অধুমপায়ীদের চেয়ে ধুমপায়ীদের শ্রবন শক্তি কমার সম্ভাবনা শতকরা ৭০ ভাগ বেশী থাকে এবং তারা খিটখিটে মেজাজের হয় । ধুমপায়ীর মুখের চরম দুর্গন্ধ সর্হ্য করা কষ্টকর।

দীর্ঘদিন ধুমপান কারণে ফুসফুসে ক্যানসার অবসম্ভাবী। সুতরাং আসুন ধুমপান পরিহার করে সুস্থ জীবন সুন্দর সমাজ ও সুশৃংখল রাষ্ট্র গঠনে অঙ্গীকারাবদ্ধ হই।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।