মনের মহাজন খুঁজে ফিরি....
চলতি মাসের ২৭ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যেই বাংলাদেশের প্রথম থার্ড জেনারেশন (থ্রিজি) প্রযুক্তি চালু হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে থ্রিজি প্রযুক্তি ব্যাবহারের জন্য সকল প্রস্ত্ততি সম্পন্ন করেছে রাষ্ট্রায়ত্ব মোবাইল অপারেটর কোম্পানি টেলিটক। তবে নতুন এ প্রযুক্তি চালু হওয়ার আগেই টেলিযোগাযোগ আইনে টেলিটকের থ্রিজি অবৈধ বলে বিতর্ক উঠেছে! কারণ টেলিটক এখন পর্যন্ত থ্রিজির মোবাইল প্রযুক্তির লাইসেন্স পায়নি। লাইসেন্স ছাড়া টেলিযোগাযোগ সেবা দিলে তিনশ কোটি টাকা জরিমানারও বিধান রয়েছে।
আর কয়েকদিন পরেই টেলিটকের থ্রিজি প্রযুক্তি চালু হচ্ছে, অথচ এখন পর্যন্ত কোন মোবাইল অপারেটরকে থ্রিজি প্রযুক্তির লাইসেন্স দেওয়া হয়নি।
লাইসেন্স না পাওয়ার তালিকায় রাষ্ট্রায়ত্ব মোবাইল অপারেটর কোম্পানি টেলিটকও রয়েছে। নিয়মানুসারে টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি থেকে এ বিষয়ে লাইসেন্স নেওয়া, এমনি কি যন্ত্রপাতি আমদানির জন্যেও তাদের অনুমোদন দেওয়ার কথা। কিন্তু এর কোনো কিছুই করা হয়নি আইন মেনে। বরং এর প্রতিটি ক্ষেত্রে আইনের লংঘন হয়েছে। টেলিটক রাষ্ট্রায়ত্ব অপারেটর বলে বিটিআরসি কিছু বলতেও পারছে না।
বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ আইন অনুসারে, লাইসেন্স ছাড়া টেলিযোগাযোগ সেবা দিতে পারবে না কেউ। আর এই আইন ভঙ্গ করলে অন্তত তিনশ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা আছে। কিন্তু সরকারের তৈরি করা এই আইন তারা নিজেরাই ভঙ্গ করতে যাচ্ছে। এদিকে বিটিআরসির জন্মের সময় নির্ধারিত উদ্দেশ্যেও সুস্পস্টভাবে বলা আছে, তারা অপারেটরগুলোর মধ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবে। কোন একটি সিদ্ধান্ত যাতে অপারেটর ভেদে বৈষম্য তৈরি না করে সেটিও নিশ্চিত করবে তারা।
কিন্তু টেলিটকের থ্রিজি সেবা দেওয়ার মাধ্যমে এক্ষেত্রে সুস্পস্টভাবে বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। উল্লেক্ষ্য, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির হিসাবে গত জুলাই মাস পর্যন্ত হিসাব মতে টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ। অন্যান্য অপারেটররা বাজারে আসার আগেই রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে টেলিটক গত মার্চ থেকে ছয় মাস পরীক্ষামূলক থ্রিজি সেবা দেওয়ার অনুমতি পায়। তবে কারিগরি সমস্যা ও অন্যান্য কারণে টেলিটকের থ্রিজি সেবা চালু পিছিয়ে যায়। থ্রিজি প্রযুক্তির মাধ্যমে উচ্চ গতিতে তথ্য পরিবহন সম্ভব বলে মোবাইল ফোনেই টিভি দেখা, জিপিএসের মাধমে পথ নির্দেশনা পাওয়া, উচ্চ গতির ইন্টারনেট ব্যবহারসহ ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেওয়া সম্ভব।
সূত্রমতে, এ লড়াই আপনার জন্য নয় শিরোনামে একটি বিজ্ঞাপন দিয়ে ইতিমধ্যে চার লাখ গ্রাহকের জন্যে থ্রিজি সেবা চালুর প্রস্ত্ততি নিয়েছে টেলিটক। ভ্যালিড গ্রাহক নির্বাচনের জন্য তিন মাসের প্যাকেজ অফারের আওয়তায় গ্রাভিটি ক্লাব নামের একটি বান্ডেল অফার দেয়। গত জুলাই মাস থেকে শুরু হয় এ অফার। প্রথমে ঢাকা এবং ঢাকার পাশ্ববর্তী এলাকায় এই সেবা দেয়ার প্রস্ত্ততি নেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে সাভার-আশুলিয়া এবং নারায়নগঞ্জ-গাজীপুর এলাকায়ও প্রথম থেকেই এই সেবা পাওয়া যাবে।
ঢাকার পাশাপাশি ডিসেম্বরের মধ্যেই চট্টগ্রামে থ্রিজি সেবা দিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠনটি। পরিকল্পনা অনুযায়ী জানুয়ারিতে সিলেটেও এই সেবার বিস্তার ঘটাবে টেলিটক। তখন আট লাখ গ্রাহক হবে। প্রসঙ্গত, চীনের দুটি কোম্পানির কাছ থেকে ঋণ চুক্তিতে থ্রিজি প্রযুক্তি আমদানি করেছে টেলিটক। দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবার এই প্রযুক্তি চালু হলে দেশে তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।